মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীগড় কাণ্ডে (Chandigarh University MMS Row) আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এবারে এই ভিডিও কাণ্ডে নাম জড়াল এক ভারতীয় সেনা জওয়ানের। জানা গিয়েছে, এই কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার গতকালই এই চার নম্বর ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল।
পাঞ্জাবের পুলিশ ডিজিপি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, এই অভিযুক্ত জওয়ানের নাম গৌরব কাঁথাওয়াল, কিন্তু সে জম্মু-কাশ্মীরে সঞ্জীব সিং নামে পরিচিত। আরও জানা গিয়েছে, এই জওয়ান অরুণাচল প্রদেশে কর্মরত ছিলেন। তাই একে সেখান থেকেই গ্রেফতার করেছে মোহালি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই জওয়ান অভিযুক্ত ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
যাদব আরও বলেন, ফরেনসিক এবং ডিজিটাল প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে মোহালি পুলিশের দলকে অরুণাচল প্রদেশে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, অভিযুক্ত সেনা সদস্যকে অরুণাচল প্রদেশের সেলা পাস থেকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ, আসাম পুলিশ এবং অরুণাচল প্রদেশের সেনা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস
এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা এই ধরনের কাজ কখনওই মেনে নেওয়া হবে না। তাই তদন্তের সময় তাঁরা পুরো সহায়তা করতে রাজি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা থেকে জানানো হয়েছে, একটি মামলায় পাঞ্জাব পুলিশ তদন্ত করার সময়ে এক তথ্য উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, একজন কর্মরত সেনা জওয়ান সম্ভবত আইপিসি এবং আইটি আইনের ধারার অধীনে কিছু কাজে জড়িত রয়েছে। আর এরপরেই পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, গ্রেফতার করতে এবং আরও তদন্তের জন্য পাঞ্জাব এবং অরুণাচল প্রদেশের পুলিশকে সম্পূর্ণ সাহায্য করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত জম্মুর বাসিন্দা এবং সেলা পাসে কর্মরত। অভিযুক্ত মেয়েটিকে আরও ছবি ও ভিডিও তোলার জন্য ফোন করে মেসেজ পাঠাচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠে আসছে। ফলে এই চক্রান্তের মূল ষড়যন্ত্রকারী এই জওয়ানকেই মনে করা হচছে। তার ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে। এসআইটি ইনচার্জ রুপিন্দর কৌর ভাট্টি নিশ্চিত করেছেন যে, এই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আরও তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই মামলায় একটি এসআইটি গঠন করা হয়েছে ও তাঁর নেতৃত্বে রয়েছেন, এসপি (কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স) লুধিয়ানা রুপিন্দর কৌর ভাট্টি, ডিএসপি খারর-1 রুপিন্দর কৌর এবং ডিএসপি এজিটিএফ দীপিকা সিং। পাঞ্জাব ডিজিপি বলেছেন, "এই মামলায় দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না এবং এই ঘটনার ন্যায়বিচার করা হবেই।"
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং ১৮ সেপ্টেম্বর সদর খারর থানায় IPC এবং IT আইনের ধারা ৩৫৪-সিধারার অধীনে এদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours