মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে গরুপাচার মামলা এবার সরল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। এর ফলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে যাবতীয় গরু পাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানি দিল্লিতে হবে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত।
২৮ জুলাই মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছিল ইডি
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জুলাই আসানসোলের আদালত থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানিয়েছিল ইডি সেই আবেদনই দিন মঞ্জুর করলেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এরফলে মামলার যাবতীয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব দিল্লিতেই হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গেই তার বিচার প্রক্রিয়ার চলুক এনিয়ে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), তা খারিজ হয়ে যায় দিল্লি রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে। কেন এই মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে যান? বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এই প্রশ্নের জবাবে ২০০৫ সালে অর্থমন্ত্রকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিকে তুলে ধরে ইডি। ঐ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৪৪/১/সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে ইডি।
গরুপাচার মামলায় গত মার্চ থেকে তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। সিবিআই এর হাতে ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় আসানসলের সিবিআই আদালতে। যদিও পরবর্তীকালে ইডি তাঁকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে এবং দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যায়। গত মার্চ থেকেই দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন। এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এনামুল হক এবং বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার। মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরাতে চেয়ে এর আগেও দুবার আবেদন করেছিল ইডি তবে তৃতীয়বারের আবেদন গ্রহণ করেছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours