মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদের (Land Dispute) জেরে ভাইপোর হাতে খুন হয়েছেন কাকা এবং প্রকাশ্য দিবালোকে গলায় ছুরির কোপ মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রানিপুরা গ্রামের ঘটনা।
কীভাবে ঘটল ওই মর্মান্তিক ঘটনা?
রানিপুরা গ্রামের বাসিন্দা ইখতেয়ার হোসেন (৪৫)। একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে বিবাদ (Land Dispute) চলছিল তাঁরই ভাইপো মুশফিক রেজার (২৫)। জমির আল নিয়েই ছিল বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে ৩ দিন আগে মুশফিক রেজার হাতে আক্রান্ত হন ইখতেয়ার হোসেন। সেই সময় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে নিজের চিকিৎসা করান তিনি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তারপরেই কুশিদায় নিজের দোকানে যাচ্ছি্লেন ইখতেয়ার। সেই সময় প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার মাঝেই তাঁকে গলায় ছুরির কোপ মারে ভাইপো মুশফিক। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন ইখতেয়ার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে তুলসীহাটাগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় হরিশচন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠে যায় বিক্ষোভ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মুশফিক রেজাকে। এই মুহূর্তে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী। পরিবার এবং এলাকার লোকেরা 'খুনীর' দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। ইখতেয়ার হোসেনের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার।
কী বলছেন মৃতের আত্মীয়রা?
মৃতের আত্মীয় রমজান আলি বলেন, জমি নিয়ে ওদের মধ্যে বিবাদ (Land Dispute) চলছিল। তিনদিন আগেও ঝামেলা চলছিল। তারপর আজ এই ঘটনা ঘটে। মৃতের আরেক আত্মীয় ইফতেসার হোসেন বলেন, এইভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করে দিল! আমরা এই ঘটনার বিচার চাইছি। খুনিকে যেন কোনোভাবেই না ছাড়া হয়। মৃতের স্ত্রী নাজিমা খাতুন বলেন, আমার বাড়িতে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। এখন আমরা কী করবে, কোথায় যাব। রাস্তায় সবার সামনে ছুরি মেরেছে। খুনি যাতে আজীবন শাস্তি পায়, এটাই দাবি জানাবো।
পুলিশ কী জানালো?
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ অফিসার জাকির হোসেন বলেন, জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বারবার দেখা যাচ্ছে জমি নিয়ে বিবাদের ঘটনা। বিবাদের জেরেই হচ্ছে গণ্ডগোল। যেখান থেকে খুনোখুনি পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এইভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হওয়ায় এলাকার নিরাপত্তা প্রশ্নচিহ্নের মুখে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours