River Ganga: গঙ্গা বুজিয়েও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হোটেল! তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল  

'সর্বভূক' তৃণমূল ছাড়ছে না পবিত্র গঙ্গাকেও? হাওড়ায় কী চলছে জানেন?
River_Ganga
River_Ganga

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পবিত্র নদী গঙ্গার (River Ganga) দুই পাড় জবরদখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হকারদের স্টল, বড় বড় অট্টালিকা, কারখানা, এমনকী হোটেল। হাওড়া ব্রিজ থেকে গঙ্গার ধার বরাবর রামকৃষ্ণপুর ঘাটের দিকে এগোলে দেখা মেলে, কীভাবে গঙ্গার পাড় দখল করে একের পর এক হোটেল ব্যবসা চলছে। হাওড়া পুরসভা এবং পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর এই জবরদখল চললেও তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরানোর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না। একরকম বহাল তবিয়তে গঙ্গার পাড় দখল করে ব্যবসা চলছে। শুধু গঙ্গার পাড়ে সারি সারি হোটেল বা হকারদের স্টল নয়, কোথাও কোথাও গঙ্গার ঘাটে নামার সিঁড়িও দখল করে দোকানদাররা বসে পড়েছে জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে। এবার হাওড়া স্টেশনের উল্টোদিকে হাওড়া গঙ্গার ঘাট ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে দেখা মিলল নতুন দৃশ্য। কাঠের পাটাতন তৈরি করে গঙ্গার জলের নিচে থাম লাগিয়ে তার উপরে গড়ে উঠেছে হোটেল।

যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা (River Ganga)

যাত্রীরা জানান, এতদিন শুধুমাত্র গঙ্গার (River Ganga) পাড় দখল করে হোটেল তৈরি হয়েছিল। এবার হাওড়া স্টেশনের দিকে আর হোটেল বাড়ানোর জায়গা না পেয়ে মালিকরা গঙ্গার ভিতরের দিকে পাড় বুজিয়ে, কোথাও গঙ্গার জলের মধ্যেই থাম দিয়ে তৈরি করেছে হোটেল। ফলে এতে যেমন একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট ক্রমশ তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। এক নিত্যযাত্রী তীর্থঙ্কর চ্যাটার্জি বলেন, তিনি নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করেন। ভাটার সময় গঙ্গার পাড়ের দিকে লঞ্চের জেটি থেকে তাকালেই এটা পরিস্কার বোঝা যায়, কীভাবে গঙ্গার নিচে বাঁশ ও কাঠের থাম পুঁতে তাতে কাঠের পাটাতন তৈরি করে তার ওপর হোটেল ও দোকান তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে যে শুধুমাত্র পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তাই নয়, যে কোনও সময় গঙ্গার জলের তোড়ে ওই কাঠ ও বাঁশের থাম হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনের উচিত এখনই বিষয়টিতে নজরদারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
আরেক লঞ্চের যাত্রী বাবলু সান্যাল বলেন, যখন গঙ্গায় (River Ganga) জোয়ার আসে, তখন প্রচণ্ড ঢেউ ওই পাড়ে ধাক্কা মারে। এমনকী লঞ্চ জেটিগুলিও দুলতে থাকে। তখন যে কোনও সময় জোয়ারের ধাক্কায় কাঠের থাম ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যত দিন যাচ্ছে, তত জবরদখল আরও বেড়ে চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, গঙ্গার পাড়ের উপরের অংশে হাঁটার জায়গা নেই, এত হকার সেখানে বসে পড়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই হকারি গঙ্গার জলের দিকেও বেড়ে চলছে। এখনই প্রশাসনের উচিত এ ধরনের জবরদখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ।

কাজ হয়নি পুলিশকে বারবার বলেও

কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখার্জি বলেন, জবরদখল (River Ganga) সরানোর কাজ পুলিশ-প্রশাসনের। বন্দরের পক্ষ থেকে তাঁরা পুলিশকে বারবার জানিয়েছেন এ ব্যাপারে। পুলিশকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি জানান।

তৃণমূলের মদতেই জবরদখল, তোলাবাজি

নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন গঙ্গার ধারে এভাবে অবৈধ হোটেল তৈরি করে সেখান থেকে বরাবরই তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বাম আমলেও স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলারের মদতে গঙ্গার পাড় বুজিয়ে এভাবে বড় বড় হোটেল তৈরি হয়েছে। সেই সব বাম নেতারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গা দখল করেই তৈরি হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং তাদের মদতেই এভাবে জবরদখল চলছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

 দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles