Murshidaba: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

হলদিয়া-ফরাক্কা রাজ্য সড়কে আগ্নেয়াস্ত্র সহ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার!
Murshidaba
Murshidaba

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলদিয়া-ফরাক্কা রাজ্য সড়কের উপর বাহাদুরপুর সংলগ্ন এক গ্যারেজে থেকে তৃণমূল নেতার বাইকের টুলবক্সে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে আজ। মুর্শিদাবাদ (Murshidaba) জেলার বড়ুয়ার থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় সবথেকে বেশি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং খুন, ধর্ষণ, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সব থেকে বেশি রক্তক্ষয় এই জেলায় হয়। বেশিরভার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা করেছিল। এবার লোকসভার আগে তৃণমূল নেতার কাছে অস্ত্র উদ্ধারে শোরগোল পড়েছে।

ধৃত তৃণমূল নেতার পরিচয় (Murshidaba)?

মুর্শিদাবাদে (Murshidaba) ধৃত এই তৃণমূল নেতার নাম শামসুল আলম রিপন শেখ। তিনি দাবি করেন যে তিনি তৃণমূলের কান্দি মহকুমা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। ধৃতকে আজ পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক, রিপন শেখকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা যায়নি। রিপন শেখ বলেন, "আমার গাড়িতেই এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসনো হয়েছে। আমি দোষী নই। আমি একজন তৃণমূল নেতা। আমি নির্দোষ, আল্লা আমায় মুক্ত করবেন।"

তদন্তে পুলিশ

স্থানীয় (Murshidaba) থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছেন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। রিপন শেখের টুল বক্সে এই আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণ সন্ধান করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই অস্ত্র, কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এই সব বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে। এই আগ্নেয়াস্ত্রর সাথে আর অন্য কোনও যোগ রয়েছে কিনা, এইসব তথ্য জানার জন্য বরোয়া থানার পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ 'দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক', বললেন অভিজিৎ

অধীরের বক্তব্য

অপর দিকে বহরমপুরে (Murshidaba) সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বোমা মজুত প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছিলেন, “সামনে লোকসভা ভোট। তাই বোমা অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। রিপন শেখকে পুলিশ ধরার পর আরও স্পষ্ট হল, দিদির দলের লোকেরা ভোটে জয়লাভ করার জন্য বোম-পিস্তল জোগাড় করছে। পুলিশ নাকা চেকিং এর সময় সেই আগ্নেয়াস্ত্র সমেত তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে মোটরসাইকেল সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কতটা দুর্বল, তা এখানেই প্রমাণিত হয়। ভোটের সময় যত এগিয়ে আসবে, দৌরাত্ম্য তত বাড়বে দুষ্কৃতীদের।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles