Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

আসানসোলের স্কুলগাত্রে রক্ষিত গান্ধীজির ধন্যবাদ জ্ঞাপনের চিঠি  
Asansol
Asansol

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ অক্টোবর গান্ধী জন্মজয়ন্তী। গান্ধীজির সঙ্গে বঙ্গের আসানসোল (Asansol) বা রানীগঞ্জের যে সংযোগ ছিল, তার উল্লেখ অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে অবগত। সেই গান্ধীজির যুগের স্পর্শ রয়েছে আসানসোলের একটি স্কুলেও। তার আগে জানতে হবে আরও একটি বিষয়। জানেন কি আসানসোলে প্রথম তৈরি হয়েছিল সেপটিক ট্যাঙ্কের ফরমুলা, যা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং গান্ধীজি! সেটি পাওয়ার পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবার একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি আজও শোভা পাচ্ছে আসানসোলের ওই স্কুলগাত্রে।

গান্ধীজি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কোন স্কুলে (Asansol)?

গান্ধীজির পাঠানো চিঠি রাখা হয়েছে আসানসোলের (Asansol) ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে। এক সময় এই বিদ্যালয়টি ছিল খ্রিস্টান পরিচালিত, যা স্বাধীনতার পূর্বের সময়ের ইতিহাস বহন করেছে। জেলার অন্যতম পুরনো বিদ্যালয়, যেখানে পড়ুয়াদের জন্য প্রথম তৈরি হয়েছিল শৌচালয়ের সেপটিক ট্যাঙ্ক ফরমুলা, যা বর্তমানে বহুলভাবে প্রচলিত। সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষয়টি জানতে পেরে গান্ধীজি সেই ফরমুলা চেয়ে পাঠান। গুজরাটের সবরমতীতে গান্ধীজির আশ্রমের শৌচালয়ের জন্য এই ফরমুলা তিনি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তখন উষাগ্রাম বয়েজ হাইস্কুলের দায়িত্বে ছিলেন হিলিয়াম বায়ার্স। তাঁকেই প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজি। এরপর যে ইঞ্জিনিয়ার ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করেছিলেন, তিনি ফরমুলা পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজিকে। পরিবর্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একটি চিঠি গান্ধীজি পাঠিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এই চিঠি আজও সংরক্ষিত স্কুলে।

বর্তমানে এই চিঠি সংরক্ষিত স্কুলে

সঠিকভাবে সাল না জানা গেলেও, আনুমানিক স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনা বলে দাবি করা হয়। গান্ধীজির পাঠানো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা এই চিঠিটি ছিল হিলিয়াম বায়ার্স-এর পরিবারের কাছে। ২০১১ সালে হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি এই চিঠিটি বিদ্যালয় (Asansol) কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। আর তারপর থেকে গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি সাজিয়ে রাখা আছে বিদ্যালয়ে। গান্ধীজীর পাঠানো এই চিঠি বিদ্যালয়ের সঙ্গে গান্ধীজির যোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলেই দাবি করা হয়।

স্কুলের প্রতিক্রিয়া

ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলের (Asansol) কমিটির সম্পাদিকা সুশীলা মল্লিক বলেন, “হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি ২০১১ সালে একটি বই আকারে গান্ধীজির চিঠিটি পাঠান। এরপর স্কুলের প্রেস থেকে ফেস্টের সময় ছাপিয়ে স্কুলের দেওয়ালে সেটি লাগানো হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত জায়গা হল এই স্কুল।” স্কুলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সঞ্জীব নস্কর বলেন, “আমাদের স্কুলেই প্রথম স্যানিটারি বিষয়টি এসেছিল। গান্ধীজি লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর আশ্রমে প্রয়োগ করেন। সমাজে স্বচ্ছতা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সেই সময় থেকে গান্ধীজি সচেতন ছিলেন। বাপুর এই চিঠি, স্কুলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles