মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্দুকবাজদের (Unknown Gunmen) হামলায় মৃত্যু হল পাকিস্তানের এক লস্কর জঙ্গির। জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লা নামের ওই সন্ত্রাসবাদী, যে কিনা ভোলা খান ওরফে খান বাবা নামেও পরিচিত ছিল, লস্কর-ই-তৈবার রিক্রুটমেন্ট সেলে কাজ করত।
উরি-পুলওয়ামা হামলায় জড়িত
শনিবার সন্ধ্যায়, অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের (Unknown Gunmen) হামলায় সে নিহত হয়। অসমর্থিত সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনখোয়া জেলার টঙ্ক এলাকায় হাবিবুল্লা তার বেশ কয়েকজন সহযোগী সমেত কোথাও একটা যাচ্ছিল। সেই সময় কয়েকজন বন্দুকবাজ তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত লস্কর-ই-তৈবার এই সন্ত্রাসবাদী পুলওয়ামা এবং উরি, এই দুই জায়গাতেই সেনাবাহিনীর উপর যে ভয়ঙ্কর হামলা হয়, তাতে অভিযুক্ত ছিল। জানা যাচ্ছে, হাবিবুল্লা ছিল ইমরান খানের দল পিটিআই-এর নেতা তথা প্রাক্তন পাক সাংসদ দাবর খান কুন্দির আত্মীয়।
২৩তম জঙ্গি নিকেশ
জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার হত্যার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছুটে আসে ওই জায়গায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হাবিবুল্লার মৃত্যু হল পাকিস্তানে ২৩তম জঙ্গি নিকেশের ঘটনা। পাকিস্তানে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের (Unknown Gunmen) হাতে সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর ঘটনা বেশ কয়েক মাসে বেড়েই চলেছে। এবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়াতে ঘটল ফের সন্ত্রাসবাদীদের ওপর হামলা। পাকিস্তানে জেলবন্দি এক জঙ্গির খাবারে দিন কয়েক আগে বিষ মেশানো হয়। ওই ঘটনার একমাস না যেতেই ফের বন্দুকবাজদের হামলায় সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর সামনে এল।
সম্প্রতি গুলি করে হত্যা করা হয় আদনান নামের জঙ্গিকে
কয়েকদিন আগেই আদনান আহমেদেরকে নিকেশ করা হয়। সে ছিল হাফিজ সঈদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ২৬/১১ এর মূল চক্রী হল হাফিজ সঈদ। আদনানকে বাড়ির সামনেই গুলি করা হয়। প্রসঙ্গত, গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে পোস্ট হতে থাকে যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯২ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিমের। রবিবার পাকিস্তানের ইন্টারনেট (Unknown Gunmen) মাঝখানে বন্ধ হয়ে গেলে এটি আরও বৃহত্তর আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours