মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। ভক্তদের বিশ্বাস, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান হনুমানের জন্ম হয়েছিল। বিশ্বাস মতে, এই পবিত্র দিনে হনুমান চালিসা পাঠ করে বজরংবলীর পুজো করলে মনের সকল বাসনা পূরণ হয়।
বজরংবলীর পূজা কখন করবেন?
চৈত্র পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে, শেষ হবে ৬ এপ্রিল সকাল ১০.৪ মিনিটে। বজরংবলীর পূজার শুভ সময় ৬ এপ্রিল সকাল ০৬.০৬ থেকে ০৭.৪০ পর্যন্ত। এদিনের শুভ মুহূর্ত দুপুর ১২.০২টা থেকে দুপুর পর্যন্ত।
এমনিতে হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) দিনে ভক্তরা হনুমান চালিসা পাঠ করে থাকেন। এই দিনে বজরংবলির মন্ত্র জপ করতে হবে। শাস্ত্রবিদদের মতে, হনুমান চালিসার এমন কিছু শ্লোক আছে, যা পাঠ করলে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়। এর সঙ্গে ভক্তরা সম্পদ এবং বুদ্ধিমত্তার আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন। ভক্তদের বিশ্বাস হনুমান চালিসা দ্বারা সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। কোনও ব্যক্তি হয়তো সমস্যায় পড়েছেন এবং সামনের দিকের সমস্ত পথ বন্ধ বলে মনে হচ্ছে। সেই সময় তিনি যদি হনুমান চালিসা পাঠ করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। এমনকী, জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তিও দূর হয়।
কীভাবে করবেন বজরংবলীর পুজো?
হনুমানজিকে সিঁদুর বা লাল কাপড় এবং ফুলের মালা অর্পণ করুন। লাড্ডু, হালুয়া, কলা ইত্যাদি ভোগ হিসাবে দিন। জ্যোতিষীদের মতে, জন্মকুণ্ডলীতে শনির অশুভ প্রভাব থাকলেও এই দিনে রীতিমতো হনুমানজির পূজা করলে উপকার পাওয়া যায়। পুরাণ মতে, শ্রী বিষ্ণুর রাম অবতারের সময় সহযোহিতা করার জন্য রুদ্রাবতার বজরঙ্গবলীর জন্ম হয়েছিল। প্রতি মঙ্গলবার তাই সারাদেশে সকল ভক্তরাই ধুমধাম করে হনুমানজির পুজো করে থাকেন। হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) দিন সরষের তেলে সিঁদুর মিশিয়ে প্রথমে বজরঙ্গবলীকে লাগান। এরপর বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ঘরের দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours