মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান (HS Rank) অধিকার করেছেন আবু সামা। চাকুলিয়ার রামকৃষ্ণপুর প্রমোদ দাশগুপ্ত মেমোরিয়াল হাই স্কুলের ছাত্র তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। এদিন তাঁর ফলাফলে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সকলে। যুগ্মভাবে দ্বিতীয় বাঁকুড়ার সুষমা খান। বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তিনি। তাঁর এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা। খুশির আবহ পরিবারে।
কী বললেন আবু সামা (HS Rank)?
পরীক্ষার ফলাফল টিভিতে লাইভ দেখার সময়ই জানতে পেরেছিলেন, তিনি দ্বিতীয় স্থান (HS Rank) অধিকার করেছেন। স্বভাবতই এই খবরে বেজায় খুশি। কৃতী এই ছাত্র বললেন, এটা আসলে কঠিন পরিশ্রমেরই ফল। এরকম একটা ফল যে হবে, তা তাঁর আশাতেই ছিল। তবে তিনি ভেবেছিলেন, প্রথম হবেন। একটু ভুলের জন্য সেটা হাতছাড়া হয়েছে। তাঁর জীবনের লক্ষ্য কী, ভবিষ্যতে তিনি কী হতে চান, সেই বিষয়ে এদিন তিনি কিছু জানাতে চাননি। তাঁর ধারণা, সেটা বললেই হয়তো সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে। তিনি সেটা চান না। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাবা-মা এবং স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি। রামকৃষ্ণপুর হাই স্কুলের শিক্ষক সঞ্জয় সিনহা বলেন, আমাদের রাজ্যের মধ্যে সে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাই আমরা খুবই গর্বিত। ভবিষ্যতে যেন এভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে যায়, বড় মানুষ হয় এবং আমাদের নাম উজ্জ্বল করে, এটাই প্রার্থনা। এক কথায় আমরা খুবই আনন্দিত।
কী বললেন সুষমা খান (HS Rank)?
বাঁকুড়া শহরের চাঁদমারিডাঙার বাসিন্দা সুষমা খান। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় রাজ্যে যুগ্নভাবে দ্বিতীয় স্থান (HS Rank) অর্জন করেছেন। বাঁকুড়া মিশন গার্লস স্কুল থেকে ৬৯৪ পেয়ে মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিলেন। আর উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৫ পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হলেন। তবে একটুর জন্য প্রথম হতে না পারায় খানিক আক্ষেপ রয়ে গেলেও এই ফলাফলে তিনি খুশি। তাঁর প্রিয় বিষয় ভুগোল। শহরের বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুষমা ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হতে চান। সুষমার বাবা এবং মাও চান মেয়ে নিজের ইচ্ছে মতো পড়াশোনা করুক। সুষমার বাবা লবকুমার মণ্ডল রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মী। পুরুলিয়ায় কর্মরত। মা উমা সামলান সংসার। দুই মেয়ের মধ্যে সুষমা ছোট। তাঁর পড়ার পাশাপাশি গানেও প্রতিভা রয়েছে। তাঁর দিদি প্রিয়মা খান প্রাণিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এই জেনারেশনের মেয়ে হয়েও এখনও সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই সুষমার। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় নষ্ট না করে তিনি এখনও প্রতিদিন নিয়ম করে ডায়েরি লেখেন। এটা তাঁর বরাবরের অভ্যাস। তিনি বলেন, এই ফলাফলে ভালো তো নিশ্চয়ই লাগছে। তবে এতটা ভালো ফল হবে, আশা করিনি। ছোট থেকে যে সমস্ত স্কুলে পড়েছি এবং টিউশনের স্যারেরা আমাকে অনেকটাই সাহায্য করেছেন। এর সঙ্গে আমার মা-বাবার সাপোর্ট তো আছেই। আরও আছে আমার দিদি ভাই। এমন একটি আনন্দের দিনে তা উদযাপন করা নিয়ে তেমন কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। এখন শুধু তার চিন্তা ভবিষ্যতের যেসব পরীক্ষাগুলি আছে, সেগুলি ভালোভাবে দেওয়া। পড়াশোনার বাইরে রবীন্দ্র সংগীত তাঁর পছন্দের জিনিস। নিজেও ভালো গাইতে পারেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours