মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তার (India Defence) ক্ষেত্রে আবারও আত্মনির্ভর ভারতের হাতছানি। সীমান্তে চিন (China) ও পাকিস্তানকে (Pakistan) ঠেকাতে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ (Project Cheetah) শুরু করতে চলেছে ভারত (India)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইজরায়েল (Israeli drone) থেকে কেনা ‘হেরন’ ড্রোনগুলিকে (Israeli Heron drone) সশস্ত্র করে তুলবে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। এই প্রকল্পের কাজ করবে দেশীয় অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। অর্থাৎ বায়ুসেনাকে মজবুত করে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকেও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘হেরন’ ড্রোনগুলিকে এবার অস্ত্রবহনে সক্ষম করা হবে। হেরন ড্রোনগুলি ২৫০ কিলোগ্রাম ওজন বহনে সক্ষম। এতে রয়েছে থার্মোগ্রাফিক ক্যামেরা, রেডার সিস্টেম, চালকদলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ড্রোনটি নিজেই কমান্ড সেন্টারে ফিরে আসতে পারে। এবার ‘প্রোজেক্ট চিতা’র আওতায় ড্রোনগুলিতে মিসাইল মোতায়েন করা হবে। এই চালকহীন ড্রোন টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে। প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ এলাকার ছবিও স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে। প্রয়োজনে ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়েও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: শয়ে শয়ে ড্রোন আছড়ে পড়বে শত্রুর ওপর! ভারতীয় সেনার নয়া অস্ত্র 'সোয়ার্ম ড্রোন'
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control) পেরিয়ে ভারতের এলাকায় বহু পাক-ড্রোন ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই পাক-হানাদার ড্রোনের মোকাবিলায় এবার একটি ‘ড্রোন ফোর্স’ বা ‘মানববিহীন সেনা’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে নয়াদিল্লি৷ এক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা ফোর্স তৈরি হচ্ছে না। পরিবর্তে একটাই বিশাল ‘ড্রোন ফোর্স’ (Drone Force) তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান। এই ফোর্স তৈরি হলে ভারত যে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে তা, বলাই বাহুল্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours