মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে ১৪০ কোটি ভারতবাসী, অন্য দিকে ৩৭ কোটি পাকিস্তানি, পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়েই শনিবার মহালয়ার দুপুরে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হতে চলেছে মহারণ। বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) মঞ্চে ভারত-পাকিস্তান, (INDIA VS PAKISTAN) এটাই ক্রিকেটের সেরা উৎসব। শহরের হোটেলগুলিতে কোনও জায়গা নেই। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ৪০ হাজার মানুষ বাইরে থেকে শহরে এসেছেন শুধুমাত্র খেলা দেখার জন্য। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত গুজরাত পুলিশ।
All in readiness for #INDvPAK 😃👌🏻#TeamIndia | #CWC23 | #MeninBlue pic.twitter.com/sSvHS3xESB
— BCCI (@BCCI) October 13, 2023
নিরাপত্তার ঘেরাটোপ
ইডেন, চিপক, চিন্নাস্বামী কিংবা কোটলা—প্রতিটি মাঠই শহরের উপকেন্দ্রে। ফলে যে কোনও বড় ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের উত্তেজনার আঁচ সহজে উপলব্ধি করার সুযোগ মেলে। মোতেরায় সেটা নেই। সাধারণ দর্শক তো দূরে থাক, মাঠে আশেপাশের বস্তিগুলো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। বসেছে বড় গেট। দেওয়া হয়েছে পরিচয়পত্র। নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে পা ফেলার উপায় নেই। সত্যিই নজিরবিহীন নিরাপত্তা। গুজরাত পুলিশের হাজার হাজার কনস্টেবল থাকছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। দুই দলের জন্য নিযুক্ত হয়েছে এনসিজি কমান্ডো। ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা ঘন ঘন টহল দিচ্ছেন। চলছে নাকা তল্লাশি।
কেন বাড়ল নিরাপত্তা
কয়েক দিন আগে ই-মেল করে স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একটি 'উড়ো মেল' ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে গুজরাত প্রশাসনের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবুও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না রাজ্য সরকার। ম্যাচের আগের দিন আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হল আহমেদাবাদে। গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি ধনরাজ নাথওয়ানি বলেন, ‘‘আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের নির্দেশ মেনেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্বকাপের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছি না। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চলবে। পাশাপাশি অনেক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। শুধু স্টেডিয়াম নয়, আশপাশের এলাকার দিকেও নজর রাখা হবে। পাশাপাশি দর্শকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে দিকেও লক্ষ্য রাখব।’’
আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?
আকাশে উড়বে ড্রোন
নিরাপত্তার স্বার্থে ১২টি ড্রোন ওড়ানো হবে মাঠের চারপাশে। এক টানা ১২ ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। ১২০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে এই ড্রোনগুলি। প্রত্যেকটিতে উন্নত মানের ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তার ফলে অনেক নীচ থেকে নজর রাখা যাবে। মাঠের চারদিকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত নজর রাখা হবে ড্রোনগুলি দিয়ে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য থাকবে গুজরাত পুলিশ, এনএসজি, হোমগার্ড ও র্যাফ। সবমিলিয়ে মোট ১১ হাজার জনকে নিরাপত্তাকর্মী মাঠ ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকবেন বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বৈধ প্রবেশপত্র ছাড়া মাঠ চত্বরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours