মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচমাস আগে ঘটা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন 'মডেল গ্রামে'র। কিন্তু এই পাঁচ মাসের মধ্যে সাধের 'মডেল গ্রাম' পরিণত হয়েছে ভূতুরে গ্রামে। পরিত্যক্ত জনপদ, নেই লোকজন সবটাই কি তাহলে বৃথা! উপভোক্তাদের অবশ্য দাবি, "গ্রাম তৈরির ভাবনার মধ্যে গোলমাল রয়েছে, কাটমানি খেয়ে খারাপ জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে।" তাহলে কি রাজ্য সরকার যে উন্নয়নের ঢাক পেটায় কার্যত সবটাই ফাঁকা! আসলে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার কাজ চলছে-ঠিক এমন ভাবেই প্রকল্পে কাটমানির অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার মানুষ। এই নিয়ে বাঁকুড়ায় (Bankura) তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বাঁকুড়ার কোথায় মডেল গ্রাম (Bankura)?
এই 'মডেল গ্রাম হল বাঁকুড়ার (Bankura) শুশুনিয়া পাহাড়ের পাশে একটি ছোট্ট গ্রাম ভরতপুর। মোট ১৮ টি পরিবার কয়েকশো বছর ধরে বহন করে চলেছেন প্রাচীন পটচিত্রের ঐতিহ্যকে। গ্রামের মানুষের তেমন আর্থিক নির্ভরতা নেই। অন্যের জমিতে সামান্য চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করে থাকেন। এই পরিবারের জীবনযাত্রাকে উন্নয়নের আলো দিতে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন এই গ্রামকে 'মডেল গ্রাম' তৈরির উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে ব্যর্থ হয়ে যায়।
কেমন মডেল গ্রাম?
'মডেল গ্রামে'র (Bankura) বাড়িগুলি ছিল অত্যন্ত সুন্দর পাকা বাড়ি, পাকা রাস্তা, সৌরবাতি দিয়ে 'মডেল গ্রাম' তৈরি করা হয়েছিল। গত ৯ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন এই মডেল গ্রামের। কিন্তু মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই অত্যন্ত হতশ্রী হয়ে গিয়েছে এই 'মডেল গ্রাম'। বাড়ির দেওয়ালে এখন ফাটল, টালির ছাদ ভেঙে গিয়েছে। পচে গিয়েছে ছাদে ব্যবহারের কাঠ, টয়লেট, বাথরুমগুলির ব্যবহারের অত্যন্ত অনুপযুক্ত। গ্রামে নেই বিদ্যুৎ পরিষেবা। মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই গ্রাম।
উপভক্তাদের বক্তব্য
উপভক্তা চিত্রকররা বলেন, “বাড়ি (Bankura) নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রীর মান ভালো ব্যবহার করা হয়নি। আর তাই সময়ের আগেই সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাকা ছাদের কথা জেলা শাসকদের বলা হলেও তা বাস্তবে করা হয়নি।”
বিজেপির বক্তব্য
স্থানীয় (Bankura) বিজপির বক্তব্য হল, "আর পাঁচটা প্রকল্পের মতো এক্ষেত্রেও শাসক দলের নেতারা লাখ লাখ টাকা কাটমানি খেয়েছে। গোটা প্রকল্প এবং মডেল গ্রামের ভাবনাটাই ফেল করেছে।" আবার পালটা স্থানীয় ছাতনা (Bankura) তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, "উপভোক্তারা এই এলাকায় বসবাস করতে আগ্রহী নয়। উপভোক্তারা বসবাস করলেই ধীরে ধীরে বসবাসের যোগ্য হয়ে যাবে। ভূতুরে ভাব কেটে যাবে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours