মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর হাতে একটি জেরক্স কাগজ ধরিয়ে বলে, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আপনি মৃত। আর তাই আপনাকে পরিষেবা দিতে পারছি না।” শুনেই রোগী অবাক হয়ে যান! পরে টাকা ধার করে নিজের অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে বাড়িতে ফেরেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে অভিযোগ করেন জলপাইগুড়ির ওই (Jalpaiguri) রোগী। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রোগীর পরিবারের বক্তব্য, "রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, সেই চিত্র আরও একবার দেখা গেল এই ঘটনায়।"
কে এই রোগী (Jalpaiguri)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর নাম সৌমিত্র বসাক। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) লক্ষণ মৌলিক সরণিতে। তাঁর বয়স ৬৭। কয়েকদিন আগে তাঁর হার্টের সমস্যার জন্য ডাক্তার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করতে বলেছিলেন। এরপর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। তিনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কলকাতায় চিকিৎসা করার জন্য মনস্থির করেন।
কেন বিভ্রাট স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে?
প্রথমে সৌমিত্র বসাক ভেবেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নিজের চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটি হারিয়ে ফেলেছিলেন। যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী দফতরে। এরপর সেখান থেকে জানতে পারেন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এরপর সেই অভিযোগপত্রের একটা কপি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) স্বাস্থ্য সাথী দফতরে জমা করেন। তারপর তাঁকে একটি নতুন কার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু কার্ড নিয়ে কলকাতার বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান। এরপর সেখানে কার্ড জমা করলে জানতে পারেন যে কার্ডে তিনি মৃত। ঘটনায় তাঁর কার্ডের অস্তিত্ব নিয়ে চরম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যান।
রোগীর বক্তব্য
জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দা রোগী সৌমিত্র বসাক বলেন, “নতুন কার্ডের জন্য ৬০ টাকা দিয়ে ছিলাম। কোনও রসিদ পাইনি। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাব ভেবেছিলাম। আমি বয়স্ক মানুষ। দফতরের গাফিলতির জন্য এই হয়রানির শিকার হতে হল। আমার যে টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা আমি ফেরত চাই।” অপর দিকে জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য দফতরের কিয়স্ক ম্যানেজার কৌশিক বিশ্বাস বলেছেন, "অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours