মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়ি ঘেরাও করে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। গতকাল মঙ্গলবার তাঁর বাড়ির গেট এবং পাঁচিলের মধ্যে চলল ব্যাপক ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রীর বাড়িতে গেল বিশাল পুলিশবাহিনী। মন্ত্রীর দাবি চক্রান্ত করে এই আক্রমণ করা হয়েছে।
কীভাবে ঘটল ঘটনা (Purba Bardhaman)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রায়নার (Purba Bardhaman) কামারহাটি গ্রামের বাড়িতে পুকুরে মাছ ধরতে যান এক আদিবাসী যুবক। এই আদিবাসী যুবকের নাম মহেন্দ্র হেমব্রম। এরপর মাছ চুরির অপরাধে মন্ত্রীর কেয়ারটেকর তাঁকে চোর বলে আটক করে রাখে। শুধু তাই নয় অভিযোগ আরও যে তাঁকে ব্যাপক মারধরও করা হয়।
এরপর মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসী আদিবাসী যুবকের সমর্থনে, হাতে লাঠি, লোহা নিয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় মন্ত্রীর বাড়িতে। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলে পুলিশ বাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করে। এখনও পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি বলে জানা গিয়েছে।
এলাকাবাসীর বক্তব্য
স্থানীয় এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, "একজন সাধারণ গরিব আদিবাসী যুবককে চোর বলে ধরে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁকে মারধর করা হয়। এলাকায় তৃণমূল মন্ত্রীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।"
পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বক্তব্য
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী এই ঘটনায় বলেন, “ওই রায়নার (Purba Bardhaman) বাড়িতে কেউ থাকে না। আমি গত কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুরে রয়েছি কাজে। কোভিডের সময় অনেক লোক গ্রামে ফিরে এসেছেন। আমি নিজে মাছচাষে উৎসাহ দিয়েছিলাম। আর তাই এই বাড়ির পুকুরে অনেকে মাছ ধরে খান। শুনেছি মাছ নিয়ে গোলমাল হয়েছে। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও পেছন থেকে কেউ ইন্ধন দিয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ তদন্ত করছেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours