মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মহিলারা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নির্মম অত্যাচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। মহিলাদের অভিযোগ, “লুট করেছে, শোষণ চালিয়েছে, রাতবিরাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহ করেছে। তারা সন্দেশখালির বাইরের লোক।”
অপরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধীরা সন্দেশখালি নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে পুলিশের সঙ্গে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এলাকায়। অবশেষে মামলায় হাইকোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অত্যাচারিত মহিলার বক্তব্য (Sandeshkhali)
সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক মহিলা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বলেন, “গ্রামের বাঁধ নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকা আমাদের দেওয়ার কথা নয়। আমাদের জীবন জীবিকা রয়েছে। আমরা মার খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। আর টাকা না দিলে রাতবিরেতে লোক ঘরে এসে ঢুকে যাবে। তুলে নিয়ে যাবে আমাদের। আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।”
আর কী অভিযোগ?
গ্রামের (Sandeshkhali) এক বয়স্ক মহিলা বলেন, "আমরা ১০০০ টাকার কাজ করলে ৫০০ করে টাকা দিত। না দিলে রাতে এসে তুলে নিয়ে যেত। বাড়ির সামনে কোদালের বাঁট মেরে দিয়ে যাচ্ছে। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার আমাদের এলাকার লোক নয়। আমাদের টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার ক্যামেরার সামনে মুখ খুললে আমাদের অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। আমার চোয়ালে এখনও রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। কোলের একরত্তি বাচ্চাদের পর্যন্ত মারধর করা হয়।” এই প্রসঙ্গে আরও এক মহিলা বলেছেন, “শেখ শাহজাহান কোনও মুসলমান মহিলাদের তুলে নিয়ে যায় না, বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তুলে নিয়ে যায়।” এদিকে শিবু হাজরা এখনও নিখোঁজ। অপর দিকে উত্তম সর্দার সোমবার জামিন পেলেও রাতে আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের অবশ্য দাবি, “আমার কাজ আগুনে ঘি ঢালা নয়। আমি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসনকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours