মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে (Police Custody) মৃত্যু হয়েছিল মাহসা আমিনির। তার জেরে ইরানে (Iran) অব্যাহত প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ প্রদর্শন। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় সে দেশে ফাঁসি দেওয়া হল আরও একজনকে। গত বছর সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে মৃত্যু হয় বছর বাইশের আমিনির। অভিযোগ, ইরানের ড্রেস কোড মানতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। তাতে অংশ নেওয়ায়ই জাভেদ রাউহি নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পৃথিবীতে দুর্নীতিতে যুক্ত তিনি।
হিজাব...
ইরানে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। এই হিজাব না পরায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আমিনিকে। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরেই ইরানে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। আন্দোলন দমন করতে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। এদিকে, এদিন আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছেন। যদিও চার্জশিটে বলা হয়েছে, ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তাঁরা। যার সর্বোচ্চ সাজা প্রাণদণ্ড।
আরও পড়ুুন: অস্কারের দৌড়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘‘লাপিড যোগ্য জবাব পেলেন’’, বললেন মিঠুন
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে গত তিন মাসে ১৭ জনকে প্রাণদণ্ডের সাজা দেওয়া দিল ইরান (Iran) সরকার। এর মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। দু জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে। এদিন যাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সালে মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও সইদ ইয়াগুবি। এই তিনজনের চার্জশিটেও লেখা হয়েছে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় জেল হয়েছে আরও দুজনের।
শনিবারই মহম্মদ মেহদি কারামি এবং সইদ মহম্মদ হোসেনিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান সরকার। ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে মহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহানাবার্দ নামে দুই আন্দোলনকারীকেও। হিজাব বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গোটা বিশ্ব। ইরানের (Iran) এই সাজা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভোলকের টার্ক। তিনি বলেন, যাঁরা মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের দমন করতে মানুষ খুন করছে খোদ রাষ্ট্র।
+ There are no comments
Add yours