মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্মান্দো সাদিকু-কে ছাড়াই আইএসএল ফাইনালে (ISL 2024) দল গড়তে হবে আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস-কে। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের দ্বৈরথে ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখেছিলেন সাদিকু। রবিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচেও খেলেননি তিনি। সোমবার সাদিকু-কে চার ম্যাচ নির্বাসিত করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তাঁকে ছাড়াই ফাইনালে নামতে হবে মোহনবাগানকে।
সাদিকুর অভাব
চলতি আইএসএলে (ISL 2024) দেখা গিয়েছে হাবাস প্রায়শই সাদিকুকে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামিয়ে বাজিমাত করেছেন। কখনও তিনি মনবীর সিং, কিংবা লিস্টন কোলাসোকে তুলে নামিয়েছেন আলবানিয়ার স্ট্রাইকারকে। সাদিকু না থাকায় তাই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হবে হাবাসকে। অনেক সমর্থক আবার মনে করছেন, সাদিকু মোহনবাগানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তাঁকে সামনের মরশুমে আর রাখবে না দল কর্তৃপক্ষ। সাদিকু এবার বহু ম্যাচে গোল করে দলকে উদ্ধার করলেও তাঁর সার্বিক পারফরম্যান্স ভাল নয়। তাই কামিন্স ও দিমিত্রিকে রেখে দিলেও সাদিকু বাতিল হতে পারেন।
ফাইনাল প্রসঙ্গে
ওড়িশাকে হারিয়ে সরাসরি আইএসএল ফাইনালে (ISL 2024) উঠেছে সবুজ-মেরুন। মোহনবাগান লিগ শিল্ড জয় করার ফলে ফাইনাল ম্যাচ হবে যুবভারতীতেই। কলকাতায় ঘরের মাঠে ফাইনাল হচ্ছে বলে উচ্ছ্বসিত কামিংস। তিনি বলেন,‘‘নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার অনুভূতিই আলাদা। ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধে পাব আমরা।’’ সেমির আর এক নায়ক সাহাল আব্দুল সামাদের কথায়, ‘‘সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ে জন্য তৈরি।’’ শনিবার দশম আইএসএলের ফাইনালে যুবভারতীতে থাকতে পারেন নীতা অম্বানী।
আরও পড়ুন: গরমে ৪৪ বছরের রেকর্ড ভাঙল কলকাতা! চাতক পাখির মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় বাংলা
কী ভাবছেন স্যার হাবাস
কলকাতায় খুব গরম। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে যুবভারতীতে হাল্কা অনুশীলন করেন মনবীর সিংরা। হাবাস জানালেন, টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তিই প্রধান চিন্তা তাঁর। এই কারণেই ফুটবলারদের এক দিন বিশ্রাম দিয়ে বুধবার থেকে ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে হারানোর প্রস্তুতি শুরু করবেন তিনি। ফাইনাল নিয়ে হাবাস বলেন, ‘‘দলের মানসিক শক্তি দুর্দান্ত বলেই এখানে পৌঁছেছি। ছেলেদের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বিশ্বাস করি, আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা আমাদের রয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours