মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত একমাস ধরে টালমাটাল চলার পর সোমবার আস্থাভোটে জয়ী হলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮টি। এদিন আস্থাভোটের আগেই বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করে। বিজেপির শরিকদল AJSU এর দুই নির্দল বিধায়কও ‘ওয়াকআউট’ করেন বিধানসভা থেকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অভিযোগ, বিজেপি (BJP) ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান ও চিৎকারের মাঝেই সোরেন জানিয়েছেন, 'বিরোধীরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু আমরা আমাদের শক্তি দেখাব।' প্রসঙ্গত, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) একক বৃহত্তম দল। তাদের অধিকারের রয়েছে মোট ৩০টি আসন। কংগ্রেসের কাছে আছে ১৮ এবং আরজেডির রয়েছে একজন বিধায়ক। এদিকে বিজেপির হাতে রয়েছে ২৬ জন বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার ৪১-এর থেকে অনেকটাই বেশি ছিল জোটের আসন সংখ্যা। এদিন আস্থাভোটে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে তাই কোনও অসুবিধা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের।
আরও পড়ুন: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। এই রিপোর্টে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে কমিশন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন সোরেনকে অযোগ্য বলে রাজ্যপাল বেইসের কাছে রিপোর্ট জমা করে। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সোরেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানায় বিজেপি। বিরোধী দল বিজেপি দাবি করে, খনির ইজারা দিয়ে নির্বাচনী নিয়ম ভেঙেছেন হেমন্ত। তাই খারিজ করা হোক তাঁর বিধায়ক পদ। জেএমএম পাল্টা অভিযোগ করে, অসময়ের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের শাসক জোটের বিধায়কদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours