মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি চলো ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকা আদায়ের দাবিতে। অথচ, নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্লাবগুলি (Club Donation) আর কোনও সরকারি টাকাই পাবে না। এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন। অভিযোগ বহু ক্লাবই নাকি খরচের যথাযথ হিসাব দেয়নি। প্রসঙ্গত, শাসকদলের অনুগ্রহে থাকা ক্লাবগুলি সাধারণভাবে সরকারি অনুদান পায়। সাধারণভাবে দেখা যায় রাজ্য জুড়ে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ক্লাবগুলির সম্পাদক, সভাপতি বা সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হন। এবার সেই ক্লাবের সরকারি টাকা নয়ছয় এর অভিযোগ যখন সামনে এল তখন প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের বিরুদ্ধেই কি অভিযোগ আনলেন?
দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার করে অনুদান
এরই মাঝে দুর্গাপুজোয় প্রতিটি ক্লাবকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার রাজ্য সরকারের অনুদান (Club Donation) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শুক্রবার বলেন, ‘‘আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি পাচ্ছেন না, পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!’’ প্রসঙ্গত ক্ষমতা আসার পর পরই ক্লাবগুলিকে দখল করার অভিযোগ ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন লাখ লাখ টাকা খরচ করে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে কিনতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোট কত ক্লাবকে অনুদান (Club Donation) দেওয়া হতো?
পরিসংখ্যান বলছে ২০১১ সালে ৭৮১টি ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং ১৫০০ ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয় আরও ৪০ কোটি টাকা। প্রথমে বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা দেওয়া হতো ক্লাবগুলিকে। পরবর্তী তিন বছর এক লাখ টাকা করে মোট পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার কণ্ঠে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ক্লাবগুলিকে এই প্রকল্প মারফত টাকা দিয়ে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। অনুদানের জন্য নতুন ক্লাবের নাম নথিভুক্ত (Club Donation) করার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাসকদলের বিধায়কদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours