মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার রাতেই ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল ব্যাংকশাল আদালতে হাজির করানোর সময় সেখানেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিক (Manik Bhattacharya)পু্ত্র শৌভিকের রয়েছে একটি কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের (Souvik Bhattacharya) নামে একটি প্রোপ্রাইটরশিপ তথা ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানি ছিল। তার নাম ছিল অ্যাকুয়ার কনসালটেন্সি (Acuere Consultancy)। নামে বোঝা যাচ্ছে এই সংস্থা ম্যানেজমেন্ট ও কনসালটেন্সি পরিষেবা দিত কিন্তু আদতে কি তাই ছিল?
ইডির দাবি, এটি একটি কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।
প্রাইমারি চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন প্রার্থীর প্রশিক্ষণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এই বেসরকারি কলেজগুলোর সঙ্গে মানিকের (Manik Bhattacharya) সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এছাড়াও তারা অনুমান করেছে যে, হয়তো এইসব কলেজ থেকেই এক দুজন প্রার্থীকে টাকার পরিবর্তে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিকের ছেলের এই কোম্পানির সঙ্গে মানিকের সম্পর্ক ও টাকার এই লেনদেনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি।
তবে এখানেই থেমে নয়, গতকাল আদালতে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দুটি ফোল্ডার আছে। মানিকের (Manik Bhattacharya) কম্পিউটারের ২টি ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে। ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের থেকে চাকরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুষ দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।
এও দাবি করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমনও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রাইমারিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours