মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমের পর মঙ্গলবার। ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। চলল গুলি। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। মঙ্গলবার রাতে কাংপোকপি জেলার খামেনলোক গ্রামের ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন ৪ থেকে ৫ জন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে। তবে কারা গুলি চালাল, মৃতেরাই বা কারা, তা এখনও জানা যায়নি। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে সেনা ও পুলিশ। সোমবারও হামলা হয়েছিল খামেনলোক গ্রামে। সেদিন গুলিতে অন্তত ১০ জন জখম হয়েছিলেন। এদিন গুলি চলে চূড়াচাঁদপুর জেলার লোকলাকফাই গ্রামেও। সেখানে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের।
শান্তিরক্ষক কমিটি বয়কট
হিংসাদীর্ণ মণিপুরে (Manipur) অশান্তির আগুন নেভাতে গড়া হয়েছিল শান্তিরক্ষক কমিটি। কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে নতুন করে হিংসা শুরু হওয়ায় কমিটি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। কমিটি বয়কট করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কুকি উপজাতির তরফেও। নতুন করে অশান্তি শুরু হওয়ার পরে ইম্ফল পূর্ব ও ইম্ফল পশ্চিম জেলায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কারফিউয়ের সময়সীমা। ওই দুই জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত।
আরও হিংসা
অশান্তি হয়েছে গোবাজং এবং টামেংলং জেলায়ও। হিংসার জেরে ওই দুই জেলায়ও জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তাই উপদ্রুত এলাকায় টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় তেঙ্গনৌপাল (Manipur) এবং ইম্ফল পূর্ব জেলায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬৩টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং জানান, সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩ হাজার ৬০১টি কার্তুজ এবং ২৩০টি বিভিন্ন ধরনের বোমা উদ্ধার হয়েছে এ পর্যন্ত।
আরও পড়ুুন: আরাবুল পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর
ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours