শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: আজ অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি হল সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi) বা সংকটহরা চতুর্থী। পার্বতী পুত্র গণেশের পূজা করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসের কৃষ্ণা চতুর্থীর দিনকে বলে সংকষ্টী চতুর্থী। এই তিথিটি মঙ্গলবারে পড়লে তখন এর নাম হয় অঙ্গারকী সংকষ্টী চতুর্থী। সকল সংকষ্টী চতুর্থী তিথির মধ্যে অঙ্গারকী সংকষ্টী চতুর্থীকে অনেক বেশি পবিত্র মানা হয়।
সংকষ্টী চতুর্থীর (Sankashti Chaturthi) ব্রত কীভাবে পালন করা হয়
সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi) তিথিতে ভক্তরা কঠিন উপবাস করেন। কোনও কোনও ভক্ত জল পর্যন্ত স্পর্শ করেন না। রাত্রিতে চন্দ্র দর্শনের পর গণেশ বন্দনা করে, উপবাস ভঙ্গ করার রীতি দেখা যায়। ভক্তরা মনে করেন গণেশ বিঘ্ননাশকারী এবং বুদ্ধি ও সিদ্ধিদাতা। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিন উপবাস করলে সকল সমস্যার সমাধান হয়, সব বাধা বিপত্তি দূর হয়। চন্দ্র দর্শনের আগে গণেশের আশীর্বাদ লাভ করার জন্য গণপতি অথর্বশীর্ষ পাঠ করা হয়।
প্রতি মাসে গণেশ বন্দনা আলাদা আলাদা নামে করা হয়। সংকষ্টী চতুর্থীর (Sankashti Chaturthi) পূজাকে ‘সংকষ্টী গণপতি পূজা’ বলা হয়। প্রত্যেকটি ব্রতের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্যগুলি একটি ব্রতকথার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়। সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi) ব্রতের ১৩টি ব্রতকথার উল্লেখ রয়েছে। ১২টি ব্রতকথা বছরের ১২ মাসে পাঠ করা হয়। ১৩ তম ব্রতকথাটি ‘অধিক’ বা ‘মল’ মাসে পাঠ করা হয়।
মাস গণেশের নাম পীঠের নাম
- চৈত্র বিকট মহাগণপতি বিনায়ক পীঠ
- বৈশাখ চক্ররাজ একদন্ত গণপতি শ্রীচক্রপীঠ
- জ্যৈষ্ঠ কৃষ্ণপিঙ্গল মহাগণপতি শ্রীসংকষ্টী গণপতি পীঠ
- আষাঢ় গজানন গণপতি বিষ্ণুপীঠ
- শ্রাবণ হেরম্ব মহাগণপতি গণপতি পীঠ
- ভাদ্র বিঘ্নরাজ মহাগণপতি বিঘ্নেশ্বর পীঠ
- আশ্বিন বক্রতুণ্ড মহাগণপতি ভুবনেশ্বরী পীঠ
- কার্তিক গণাধিপ মহাগণপতি শিবপীঠ
- মাঘ অকুরথ মহাগণপতি দুর্গাপীঠ
- পৌষ লম্বোদর মহাগণপতি সৌরপীঠ
- মাঘ দ্বিজপ্রিয় মহাগণপতি সামান্যদেব পীঠ
- ফাল্গুন বালচন্দ্র মহাগণপতি আগমপীঠ
- অধিক মাস বিভুবন পলক মহাগণপতি দূর্বা বিল্বপত্র পীঠ
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours