মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএফআই নিয়ে শীর্ষ স্তরের বৈঠকে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, এবার পিএফআই-কে ইউএপিএ আইনের আওতায় দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার জন্য জোরকদমে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে এই শীর্ষ স্তরের বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন এনআইএ ডিজি, ইডির প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। এই বৈঠকে পিএফআই-কে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের
সোমবার রাত থেকেই পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু হয়। দেশের আটটি রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA) এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা। প্রথম দফার অভিযানের পর দ্বিতীয় দফাতে এখনও পর্যন্ত ২৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানী দিল্লির রোহিনী, নিজামুদ্দিন, জামিয়া মিলিয়া চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা, শাহিনবাগে নেমেছে আধাসেনা। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি, অসম, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশের ১৩টি রাজ্যে অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। সেই অভিযানে ধৃত ১০৬ জন পিএফআই নেতার থেকে যে তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার আবার অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের
প্রসঙ্গত, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭ এর ৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, দেশে ৪২ টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সংগঠন সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে, বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে তাহলে সেই সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে গণ্য় করা হবে। এবার সেই আইনের আওতায় ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রস্তাব করতে পারে ইডি ও গোয়েন্দা সংস্থা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours