মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্ষরিক অর্থেই ঘোর আঁধারে পাকিস্তান (Pakistan)! হাঁড়ির হাল দেশের অর্থনীতির। এমতাবস্থায় সাহায্যের আশায় ফের আমেরিকার (US) দ্বারস্থ হয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। জানা গিয়েছে, সোমবার আচমকাই বসে যায় সে দেশের গ্রিড। তার জেরে দেশের জেনারেটরগুলিকে প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়েছে। অন্ধকারে ডুবে যান ২২০ মিলিয়ন পাক নাগরিক। পুরো একটি গ্রিড বসে যাওয়ার ঘটনা বিরল। তবে সেটাই হয়েছে পাকিস্তানে। গোটা একটা দিন কার্যত অন্ধকারেই কাটাতে হয়েছে পাকস্তানবাসীকে। কেন এই বিপর্যয়, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি পাকিস্তানের শক্তিমন্ত্রী।
পাক অর্থনীতি...
এদিকে, আক্ষরিক অর্থেই হাঁড়ির হাল পাক অর্থনীতির। দেশের ঋণ গিয়ে পৌঁছেছে ৬০ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। জানা গিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানে (Pakistan) এক ডলারের মূল্য ছিল ২৩০ পাকিস্তানি রুপি। ২৪ ঘণ্টা পরে তার দাম দাঁড়ায় ২৫৫ টাকায়। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার শর্ত দিয়েছে, রুপির দামের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না পাকিস্তান। তা ছেড়ে দিতে হবে বাজারের হাতে। ফলে দ্রুত গতিতে কমতে শুরু করেছে পাকিস্তানি রুপির দাম। সম্প্রতি পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক দেশের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সামনে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে পাকিস্তানের সরকারি ঋণ ছিল ৯ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি। ২০২২ সালের জুনের শেষে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের দেখভাল করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান। বর্তমানে এই ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে মাত্র ৪.৩৪৩ মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থে পাকিস্তানের চলবে মাত্র তিন সপ্তাহ।
আরও পড়ুুন: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিল ভারত, কেন জানেন?
এমতাবস্থায় আমেরিকার সাহায্য চেয়েছে পাক সরকার। তারা চাইছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ বরাদ্দ করুক, যাতে ডুবতে বসা অর্থনীতিকে টেনে তোলা যায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাকিস্তানকে (Pakistan) ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। জানা গিয়েছে, এই আর্থিক সঙ্কটের জন্য মূলত দায়ী ব্যাঙ্কের বাণিজ্যিক ঋণ পরিশোধ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার পরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার শোধ করতে হয় পাকিস্তানকে। এছাড়া, গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের রেমিট্যান্স অনেক কমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে গাড্ডায় ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলায়, এখন তাই দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours