Chandrayaan 3: “আমরা তো চাঁদেই বাস করছি”! ভারতের ‘চাঁদমারি’তে শ্লেষ পাক নাগরিকের

চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে হাঁড়ির হাল পাক অর্থনীতির...
chandrayaan3-lbm1_(1)
chandrayaan3-lbm1_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চাঁদমারি’তে লক্ষ্যভেদ করেছে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এতেই ঈর্ষা আর শ্লেষের বাণ ডেকেছে পড়শি দেশ পাকিস্তানে। অল্প হলেও, পাক নাগরিকদের একাংশ অবশ্য খুশি ইসরোর সাফল্যে। বুধ-সন্ধ্যায় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ভারত। তার পরেই উচ্ছ্বাসে মেতেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে পাকিস্তানে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। 

ভারতের সাফল্যে খুশি প্রাক্তন মন্ত্রী

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ছিলেন ফাওয়াদ চৌধুরি। ইসরোর সাফল্যে খুশি প্রকাশ করেছেন তিনি। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই ঐতিহাসিক মুহূর্ত সরাসরি পাকিস্তানের সরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের জন্য সে দেশের সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ। পাক জনতার একাংশ ইসরোর (Chandrayaan 3) সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারতকে। মহাকাশ গবেষণায় পাকিস্তান পিছিয়ে থাকায় কয়েকজনের শ্লেষ, “চাঁদে যাওয়ার দরকার কী? আমাদের জাতীয় পতাকাতেই তো চাঁদ রয়েছে।” 

দেশীয় অর্থনীতিকে কটাক্ষ

চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে হাঁড়ির হাল পাক অর্থনীতির। এদিন সেই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে পাকিস্তানের কয়েকজন নাগরিক বলেন, “ওরা (ভারত) তো পয়সা খরচ করে চাঁদে গিয়েছে। আমরা তো চাঁদেই বাস করছি। চাঁদে জল, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ নেই। পাকিস্তানেও নেই।” এক নেটিজেনের সরস মন্তব্য, “অনেক কঠিন পরিস্থিতিতেও পাকিস্তানের মানুষজনের মশকরা করার ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই বোধহয় এই দেশ থেকে সব চেয়ে বেশি স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান পাওয়া গিয়েছে।” আর এক নেটিজেনের মন্তব্য, “এলওএল! এই ব্যক্তি স্ট্যান্ড আপ কমেডিতে নিজের কেরিয়ার গড়তে পারেন। দুই দেশের মানুষের জন্যই হাসির খোরাক জুগিয়েছেন এই ব্যক্তি।”

‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্যে ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সমালোচনা করেছেন মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। ফেসবুক পোস্টে লেখিকা লিখেছেন, “ভারত এখন চাঁদে। অনেকে বলবে এত দারিদ্র, এত লোক খেতে পায় না, এত লোকের বাড়িতে টয়লেট নেই, কী দরকার এত টাকা খরচ করে চাঁদে গিয়ে। আমি বলব, বিজ্ঞানের অগ্রগতির সব সময় দরকার। একই সঙ্গে দারিদ্র দূর করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সচেতনতাও বাড়ানো দরকার। একটি উন্নতি করতে গিয়ে আরও একটি উন্নতি স্থগিত রাখলে হয় না।”

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিশানা করে লেখিকার সংযোজন, “আগামী একশো বছরেও চাঁদে পা রাখা সম্ভব নয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। তারা ধর্মে ডুবে রয়েছে। বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে। কোরানই নাকি তাদের বিজ্ঞান। যতদিন কোরান তাদের বিজ্ঞান শেখাবে, ততদিন তাদের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত নয়।”

আরও পড়ুুন: ‘‘চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন’’! মমতার মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles