মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ভোট গণনা। চরম ব্যস্ততা দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। স্বাভাবিক। তবে ছন্দ পতন ঘটল ৩টে ১৮ মিনিট নাগাদ। ঝুপ করে অন্ধকার নেমে এল দফতরে। বন্ধ হয়ে গেল কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ।
লোডশেডিং
বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র থেকে যে সব তথ্য আসছিল, লোডশেডিংয়ের জেরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অসহায়ভাবে বসে থাকতে দেখা যায় দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের। বিদ্যুৎ আসে ১৫ মিনিট পরে। কাজকর্ম শুরু হতে হতে লাগে আরও কিছুটা সময়। কাজকর্ম স্বাভাবিক হয় ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট কাটল বটে, তবে এদিন সকাল থেকেই সমস্যা দেখা দিচ্ছিল রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের (Panchayat Election 2023) ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইট বিভ্রাট
সকাল থেকে খানিকক্ষণ ধীরে ধীরে ওয়েবসাইট খুললেও, পরের দিকে আর দীর্ঘক্ষণ কমিশনের ওয়েবসাইট খুলছিল না। তাই যাঁরা এই ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচনী ফলের আপডেট পেতে চাইছিলেন, তাঁরা বারংবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, “আমরা তো সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়েছিলাম। সেন্ট্রাল ফোর্স থাকলে ভাল হত।” স্পর্শকাতর বুথের তালিকা বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও সবই গল্প।”
আরও পড়ুুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী
রাজীব বলেন, “সাধারণ মানুষ ও কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আমরা কাজ করেছি। প্রথমে (Panchayat Election 2023) আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশ সংশোধন করে বলা হয়, যে কটি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।”
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল গণনা। এখনও গণনা চলছে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে। গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা শেষ হলে হবে পঞ্চায়েত সমিতির ভোট গণনা। সব শেষে হবে জেলা পরিষদের গণনা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours