মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুদিন ধরে লোকসভায় চলছে অনাস্থা বিতর্ক। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বাগ্মিতায় তিনি যতটা না মাত দিতে পেরেছেন সরকার পক্ষকে, তার চেয়েও বেশি ফাউল করে ফেলেছেন রাহুল। অভিযোগ, মহিলা সাংসদদের উদ্দেশে ফ্লাইং কিস ছুড়েছেন রাহুল। এ নিয়ে স্পিকারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপির জনা কুড়ি মহিলা সাংসদ।
সকালে একপ্রস্ত বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
আজ, বৃহস্পতিবার অনাস্থা বির্তকে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি যে রীতিমতো প্রস্তুত হয়েই লোকসভায় যাচ্ছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছে এদিন দিনের শুরুতেই। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও অর্জুন রাম মেঘওয়ালের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত দুদিন ধরে নিজের চেম্বারে বসে অনাস্থা-বিতর্ক শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দেবেন জবাবি ভাষণ। বুধবারই রাজনাথ জানিয়েছিলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণ দিতে ১০ অগাস্ট সংসদে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
“শেষ বলে ছক্কা মারব”
কংগ্রেসের তরফে অনাস্থা প্রস্তাবটি এনেছিলেন গৌরব গগৈ। মঙ্গলবার অনাস্থা বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) মৌনব্রত ভাঙতে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছিলেন বিরোধীরা।” প্রধানমন্ত্রী যে এদিন ছক্কা হাঁকাবেন, মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে সেই ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “শেষ বলে ছক্কা মারব।” তাই এদিন তিনি কী ছাক্কা মারেন, তা-ই দেখতে মুখিয়ে গোটা দেশ।
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল আগেও একবার, ২০১৮ সালে। তবে সেবার আনা অনাস্থার সঙ্গে এবার আনা অনাস্থার বিস্তর ফারাক। কারণ সেবার বিরোধীরা সংঘবদ্ধ ছিলেন না। এবার তাঁরা গড়েছেন বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন ‘ইন্ডিয়া’র নানা দুর্নীতিকেই নিশানা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুুন: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে
সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ধোপে টিকবে না। মঙ্গলবার তাই বিজেপি সাংসদদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেই দিয়েছিলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল পাঠিয়ে দিতে হবে মাঠের বাইরে।” ৯ অগাস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের দিন ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তোষণের রাজনীতি কুইট ইন্ডিয়া।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এদিনও প্রধানমন্ত্রীর তুরুপের তাস হতে পারে ‘কুইট ইন্ডিয়া’র এই তিন ‘মন্ত্র’।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours