মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে কাটল আইনি জটিলতা। ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি কেলেঙ্কারি (PNB Scam) কাণ্ডে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে (Nirav Modi) ভারতে ফিরিয়ে আনার পথ আরও প্রশস্থ হল। ভারতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নীরব মোদির করা আবেদন খারিজ করে দিল লন্ডন হাই কোর্ট। নিজের মানসিক পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে প্রত্যর্পণ মামলা থেকে রেহাই চেয়েছিলেন ঋণখেলাপি হীরে ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি ছিল, ভারতে ফিরলে তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই যুক্তিতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল লণ্ডন আদালত। গত ফেব্রুয়ারিতেই ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জেলা জজ নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যার্পণের পক্ষে রায় দেন। নিজের মানসিক অবস্থার দোহাই দিয়ে প্রত্যর্পণ মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়েছিলেন পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদি। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিল না।
আরও পড়ুন: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?
নীরবের জন্যে আর কোন পথ খোলা থাকল?
সূত্রের খবর, লন্ডন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নীরব মোদি ১৪ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে পূরণ করতে হবে একাধিক শর্ত। সেই শর্ত পূরণে কতটা সফল হবেন নীরব, এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। এদিকে লন্ডনের আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরে নীরবের ভারতের হেফাজতে আসাটা অনেকটাই সহজতর হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কী অভিযোগ নীরবের বিরুদ্ধে?
গুজরাটের বাসিন্দা নীরব মোদি পিএনবির বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে একাধিক দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বিরোধীরা বার বার দাবি করেছে নীরব মোদীকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকারই। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে।
+ There are no comments
Add yours