TET Examination: ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ নিয়েছেন কারা? তথ্য তলব পর্ষদের

কলকাতা হাইকোর্ট এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি নির্দেশ দিয়েছে...
tetexams
tetexams

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও (TET Examination) দুর্নীতির গন্ধ! সেই কারণে ২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় বিভিন্ন জেলায় ইন্টারভিউয়ের সময় কারা কারা ছিলেন বিশেষজ্ঞ হিসেবে, তাঁদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই বিশেষজ্ঞদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার জানান, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ওই ব্যক্তিদের টেলিফোন নম্বর সহ সবিস্তার তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি নির্দেশ দিয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

দুর্নীতির গন্ধ...

জানা গিয়েছে, অ্যাকাডেমিকসে নম্বর কম অথচ ইন্টারভিউতে (TET Examination) নম্বর পেয়েছেন ভূরি ভূরি। সাম্প্রতিক অতীতে প্রাথমিকে ইন্টারভিউ হয়েছে দুবার, একবার ২০১৬, তারপর ২০২১। এই ২০১৬য় বিস্তর গোলযোগ হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই বছরের নিয়োগ নিয়ে আগেও নানা প্রশ্ন উঠেছে। অ্যাপটিটিউট টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলার শুনানিতে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে কাঠগড়ায় তুলে সাক্ষ্য গ্রহণও করেছেন বিচারপতি। অনেকেই বলেছেন, বেশিরভাগ জেলায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। শ্রেণিকক্ষের বদলে বারান্দায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে নম্বর কীভাবে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীর আইনজীবীরা।

আরও পড়ুুন: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

প্রাথমিক শিক্ষকপদের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, প্রথম দফার ইন্টারভিউয়ে (TET Examination) শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। অথচ অনেকেই তাতে পুরো নম্বর পেয়েছিলেন। এই গোলমাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালের পর ২০২১ সালে ফের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। তবে দু দফার ইন্টারভিউয়ের মধ্যে পার্থক্য ছিল। প্রথম দফায় ইন্টারভিউ হয়েছিল জেলা ভিত্তিক। তার আয়োজন করা হয়েছিল জেলা সংসদের অফিসে। ২০২১ সালে ইন্টারভিউ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে।

এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ফের ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্ধারিত টাকা দিয়ে পর্ষদে ওএমআর শিট চেয়েও পাননি সহিলা পারভিন নামে এক টেট পরীক্ষার্থী। ওই সময় পর্ষদ সভাপতি ছিলেন মানিক। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles