মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র র্যাগিংয়ের বলি হয়েছেন। যে-ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার হয়। এবার ফের র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রমৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মৃত ছাত্রের নাম উত্তম মারডি (২২)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন মালদার (Malda) বাসিন্দা ওই আদিবাসী ছাত্র। এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের দাবি, র্যাগিংয়ের জেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ায় বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পিএইচডি পাঠরত ওই ছাত্র।
ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)
গত ৩ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করতে ভর্তি হন উত্তম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নাকি ওই ছাত্রের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন সিনিয়র আন্তর্জাতি ছাত্রদের একাংশ, এমনই অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। দু'দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়তে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন বাড়ির লোকদের। এরপরই মালদার (Malda) গাজোল থানার শিসাডাঙা এলাকায় বাড়ির বাথরুম থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে চলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা কমলা মারডি ও মা মিনতি হাঁসদা।
মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?
মৃত ছাত্রের জ্যাঠা জোনাস মারডি পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, ভালো নম্বর নিয়ে ভাইপো উত্তম মারডি মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, তার আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় সেখানে গিয়ে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করে। তারপরই বাড়ি ফিরে আর সেখানে পড়তে না যাওয়ার কথা বলেছিল সে। ফলে, চরম আতঙ্কে ছিল তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours