Sheikh Shahjahan: “থানায় চা-টোস্ট আনতেন শাহজাহান”, দাবি করলেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর

শাহজাহানের সম্পর্কে নতুন তথ্য দিলেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, কী বললেন?
Untitled_design_-_2024-04-03T125524197
Untitled_design_-_2024-04-03T125524197

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থী হয়ে মঙ্গলবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে বীরভূমে প্রচার শুরু করলেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। চষে বেড়ালেন এলাকা। এবার সন্দেশখালির "বেতাজ বাদশা" শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী। ওসি-র ফাইফরমাশ খাটা সেই শাহজাহানের তৃণমূলের জমানায় এই উত্থান দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান।

থানায় চা-টোস্ট নিয়ে আসতেন শাহজাহান! (Sheikh Shahjahan)

বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর বলেন,তৃণমূল আমলে সমাজের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষিত মানুষদের এড়িয়ে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) মতো 'বাহুবলীদের' নেতা বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই আমলে পুলিশের চাকরি করায় তফাত কী, সে প্রশ্নে তাঁর ব্যাখ্যা, বাম আমলে সরকারের মাথারা ছিলেন অত্যন্ত শিক্ষিত। আইন-সহ বিভিন্ন বিদ্যায় দক্ষতা ছিল। রাজ্যের মানুষ দু'টি জমানা দেখেছেন। বাম আমলে এত চুরি দেখেননি! কিন্তু, তৃণমূলের সময়ে অনেক ভাললোক থাকা সত্ত্বেও উত্থান হয়েছে শাহজাহানদের। প্রাক্তন আইপিএস আরও বলেন "আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি শাহজাহানকে। বসিরহাটের এসডিপিও ছিলাম ২০১০-'১১ সালে। এই সরকার আসার আগেই। শাহজাহান তখন সন্দেশখালি থানার বাইরে বসে থাকতেন। আমি গেলে বড়বাবু বলতেন, এই দ্বীপে কিছু পাওয়া যায় না। আমি চা খেতে ভালবাসি। বড়বাবু শাহজাহানকে বলতেন, 'সাহেব এসেছে, ভাল চা পাতা আর বিস্কুট নিয়ে আয়। শাহজাহান নদী পেরিয়ে চা ও টোস্ট বিস্কুট নিয়ে আসতেন।

আরও পড়ুন: "বালু-শাহজাহানের মতো শওকত-জাহাঙ্গিরও গ্রেফতার হবে", বিস্ফোরক শুভেন্দু তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন?

 ইটভাটায় কয়লা সরবরাহ করতেন শাহজাহান!

দেবাশিসের কথায়, "বাম আমলে যার এমন দশা ছিল, যে লোক ইটভাটায় কয়লা সরবরাহ করতেন, সেই তৃণমূল আমলে নেতা হয়ে গেলেন, হল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ! আগে সে ওসির ফাইফরমাশ খাটতেন। পরবর্তীকালে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ফাইফরমাশ খাটতেন বড়বাবু। ১২ বছর ধরে অন্ধকারের রাজত্ব চালিয়ে গেল।"

শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

দেবাশিসকে আক্রমণ শানিয়েছে বাম শিবির। তোপ দেগেছে শাসকদলও। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের বিরোধিতা যে কারণে করি, সেটা হল দুর্নীতি, গণতন্ত্রের ওপরে আক্রমণ, মানুষকে কথা বলতে দেয় না বলে। কিন্তু, উনি যে দলে গিয়েছেন, সেই দল সুশাসন করে বলে তাঁর মনে হলে, তিনি বিভ্রান্তির চূড়ান্ত জায়গায় আছেন। তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "যে দলে তিনি যোগ দিয়েছেন, সেই দলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা ভুলে গেলেন। তিনিও তো চা বিক্রি করতেন। এমন কোনও নিয়ম নেই, কম শিক্ষিত হলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন না।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles