মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক দশক অতিক্রান্ত! কিন্তু শিল্পের দেখা নেই রেজিনগর শিল্পতালুকে (Rejinagar Industrial Area)। বুদ্ধদেবের আমলে শিলান্যাস, মমতার আমলেও খাঁ খাঁ করছে রেজিনগর শিল্পতালুক। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর আসার কথা ছিল ‘কৌশিস ই মিবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেড’-এর। 'ই-বাস' নির্মাণ কারখানা গড়ে তোলা হবে বলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরও হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে কারখানার নির্মাণ কোথায়? এই বছর আবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে, কিন্তু শিল্পের দেখা কি সত্যিই মিলবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের মনে। শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকার কতটা ইচ্ছাশক্তি রাখে, তাও প্রশ্নের সম্মুখীন। তাই জেলার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনে সুযোগ পেলে বিষয়টি তুলে ধরবেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শিল্পতালুকে বিদ্যুৎ এবং জল নেই, জনমানুষের অভাব, খাঁ খাঁ করছে শিল্পতালুক। কারখানা হলে কিছু কর্মসংস্থান হত। তাই কবে কারখানা হয়, তাই এখন দেখার।
মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বক্তব্য
জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “গত বারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রেজিনগর শিল্প তালুকে (Rejinagar Industrial Area) ই-বাস তৈরির কারখানার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এবছর আরও একটি সম্মেলন আসতে চলেছে, কারখানার কোনও দেখা মেলেনি। মুর্শিদাবাদ জেলার বহু মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন কাজের জন্য। জেলায় কোনও শিল্প নেই, তাই এই জেলায় শিল্প হলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হতো।”
জেলা শিল্পকেন্দ্রের বক্তব্য (Rejinagar Industrial Area)
এই জেলার শিল্পকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আহমোদুল্লা তালিব বলেন, “আগামী ২১-২২ নভেম্বর কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন হবে। দুই দিন দুই পর্বে আমাদের জেলার বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন উদ্যোগী ব্যবসায়ী উপস্থিত থাকবেন। জেলা কেন্দ্রে আগামী শনিবার এই নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে।” আবার রেজিনগর প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমি সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। রেজিনগর শিল্পতালুকে (Rejinagar Industrial Area) ই-বাস তৈরির কারখানার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।"
জেলা প্রশাসনের বক্তব্য
মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৮ সালে তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রেজিনগরে ১৮৭ একর জমিতে শিল্পতালুকের শিলান্যাস করেছিলেন। সেই সময় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছেই এই শিল্পতালুক (Rejinagar Industrial Area)। কিন্তু তারপর আর কিছু এগোয়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours