মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএলএসটি (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার দু'ঘণ্টার সেই বৈঠকের পরও বাস্তবে অবস্থার তেমন বদল হচ্ছে না। ২২ ডিসেম্বর আবারও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের (SLST) বৈঠক হবে। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালানোর পর হঠাৎ ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। সামনে লোকসভা ভোট। রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধির জন্যই কি সরকারের এই পদক্ষেপ? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
নিয়োগের তারিখ চায় চাকরিপ্রার্থীরা
সোমবার বিকাশ ভবনে নিয়োগ-জট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে বৈঠক করেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সাত প্রতিনিধি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। এ দিনের বৈঠক শেষে বেরিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেছেন, তাঁরা নিয়োগের আশ্বাস পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে। আইনি জট কাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, 'আমরা আমাদের কথা জানাতে এসেছিলাম। আমারা জানতে পারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে যেন চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই নিয়োগ দেওয়ার কাজ নাকি শুরু হয়েছে। আমরা চাই তাড়াতাড়ি নিয়োগ হোক। আমরা নিয়োগের তারিখ চাই।'
আরও পড়ুন: শীতের প্রথম স্পেলেই ১০ ডিগ্রি দক্ষিণে! শীঘ্রই তুষারপাত দার্জিলিং-কালিম্পঙে?
নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
হাজার দিনের বেশি সময় ধরে গান্ধীমূর্তির সামনে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার এই ধর্নার হাজারতম দিনে ন্যাড়া হয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর ভোগপুরের বাসিন্দা রাসমণি পাত্র। তিনিও ছিলেন বৈঠকে। শিক্ষামন্ত্রীর থেকে আশ্বাস পেলেও কোথাও যেন অবিশ্বাস রয়েই গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মনে। এতদিন পর আন্দোলনকারীদের প্রশমিত করতে কেন এই উদ্যোগ নিল রাজ্য? প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের মনেও। সামনে লোকসভা ভোট, তাই কি? আবার সেই পুরনো প্রতিশ্রুতি-পন্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ভাবাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। তাই নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কথায়, "আমরা নিয়োগের তারিখ চাই। আলোচনায় বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে, তার রিপোর্ট দিতে হবে। আপাতত ২২ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট পেশের দিন ঠিক হয়েছে। ওই দিন মিটিংয়েই আমরা এ বিষয়ে জানতে পারব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours