মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC recruitment scam) শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে একই সময় পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজতে পাঠানো হল তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)।
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে শুক্রবার অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা দফতরের খামে মোড়া প্রায় নগদ ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে উদ্ধার হয় বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ সোনা। এরপরই, এই কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে পার্থ ও অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।
আরও পড়ুন: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস
আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকেও অর্পিতার নামে বিভিন্ন সংস্থার নথি ও সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে ইডি। ইডি-র মতে, এই দুজন বেআইনি আর্থিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, বেআইনি নিয়োগের এই দুর্নীতি-চক্রে বহু প্রভাবশালীই জড়িত। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন যে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা কিছুই নয়, বরং এর থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে।
ফলে, তদন্তের সুবিধার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। অর্পিতার জন্য ১৩ দিনের হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। অন্যদিকে, জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থর আইনজীবী। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষে পার্থর আবেদন খারিজ করেন বিচারক। মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত। শুনানির সময় আদালতের লক-আপেই ছিলেন অর্পিতা। রায় বেরনোর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে ইডি লক-আপে রাখা হয় অর্পিতাকে।
আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে
অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এইমসে (AIIMS Bhubaneswar) যাওয়া পার্থকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। এদিনই, ভুবনেশ্বর এইমসে যাওয়া পার্থকে 'ফিট' বলে উল্লেখ করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীর যা সমস্যা রয়েছে তা ক্রনিক। যে ওষুধ তিনি খাচ্ছেন তা চালিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই কারণ, ভর্তি করার মতো অবস্থা নয়।
হাসপাতালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার কিছু পরেই কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। পার্থকে আজই ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কলকাতায় বিশেষ আদালতের রায় বের হতে দেরি হওয়ায়, রাতে ভুবনেশ্বরেই থাকতে হয় পার্থকে। মঙ্গলবার, ভোরের বিমানে করে কলকাতায় ফিরেছেন তৃণমূল মহাসচিব। সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে পার্থ-র বিমান।
+ There are no comments
Add yours