Titan Submarine: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হল ‘টাইটান’-এর ধ্বংসাবশেষ

গত সপ্তাহে 'টাইটানিক'-র থেকে ১৬০০ মিটার দূরে 'টাইটান'-র ধ্বংসাবশেষের হদিশ মেলে
Untitled_design(70)
Untitled_design(70)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ উদ্ধার হল সাবমেরিন 'টাইটান'-এর (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ। মহাসাগরের তলদেশে বিস্ফোরণের প্রায় দু'সপ্তাহে পরে তা উদ্ধার করল কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এই ধ্বংসাবশেষের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভেঙেচুরে তালগোল পাকিয়ে যাওয়া এই সাবমেরিনের ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা মুহূর্তে ভাইরাল হয় বিশ্বজুড়ে।

কোথায় পাওয়া গেল ওশেনগেটের এই ডুবোযানকে? 

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে,  বুধবার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন বন্দরের কাছে ডুবোযান 'টাইটান'-র (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। 'হরাইজন আর্টিক' নামের নজরদারি ভেসেল হদিশ পায় ওই ধ্বংসাবশেষের। তারপর তা উদ্ধার করে কানাডার কোস্ট গার্ড। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একতাল ধাতব পদার্থকে সমুদ্রের গভীর থেকে তোলা হচ্ছে।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধ্বংসাবশেষের ফরেন্সিক পরীক্ষায় বোঝা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। উত্তর মিলবে একাধিক প্রশ্নের। যেমন, জলে ডুব দেওয়ার কতক্ষণের মধ্যে ডুবোযান 'টাইটান'-এ সর্বনাশা বিস্ফোরণ হয়? ওই সময় জলের কতটা গভীরে ছিল ডুবোযানটি? আটলান্টিকের ওই অংশের জলের চাপই বা কতটা ছিল? 

কী বলছে কানাডার উপকূল রক্ষী বাহিনী?

'টাইটান'-র ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের পর বুধবারই বিবৃতি সামনে এসেছে কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনীর। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ। সমুদ্রের নীচ থেকে টাইটানের (Titan Submarine) অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু অংশ পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

১৮ জুন নিঁখোজ হয় টাইটান (Titan Submarine)

১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিকে বিরাট একটি হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় 'RMS টাইটানিক'। এই টাইটানিক নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ মানুষ থেকে ফিল্ম নির্মাতাদের। এনিয়ে তৈরি হয় হলিউডে ছবি। ১১১ বছর আগের মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে প্রাণ হারান প্রায় দেড় হাজার জন। সমুদ্রের গভীরে পড়ে থাকা সেই 'টাইটানিক'-র ধ্বংসাবশেষ আজও রয়েছে।  মার্কিন বেসরকারি সংস্থা 'ওশেনগেট এক্সপিডিশন' এখানে ট্যুর করে। প্রতি যাত্রী পিছু খরচ প্রায় আড়াই কোটি। সাবমেরিনে চড়িয়ে দেখানো হয় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। এই উদ্দেশ্যে গত ১৮ জুন নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করে 'টাইটান'। কিন্তু আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার পৌনে দু'ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা কমান্ড শিপের সঙ্গে ডুবোযানটির সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিনের মাথায় 'টাইটানিক'-র থেকে ১৬০০ মিটার দূরে 'টাইটান'-র ধ্বংসাবশেষের হদিশ পায় কোস্ট গার্ডের রোবট ডুবুরি। মৃত্যু হয় ৫ পর্যটকের।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles