TMC: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

South Dinajpur: ঘুমের ওষুধ খেয়ে কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেতা?
TMC_(30)
TMC_(30)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির নামে তোলাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতির। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকে। ঘটনার পর থেকেই গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তপনের তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ী। শনিবার এই ঘটনা সামনে আসতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

ঠিক কী অভিযোগ ছিল তৃণমূলের (TMC)  ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে?

সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতে করে টাকার বান্ডিল নিচ্ছেন অনাদিবাবু। সম্প্রতি তাঁর এই টাকা নেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। যদিও এই ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নিতে দেখা যায়নি দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। যা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় দলের কর্মীদের একাংশের মধ্যেও। এরই মাঝে শুক্রবার রাতে ওই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আনোয়ার সরকার নামে ওই ব্লকের আজমতপুর এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, "তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ী আমার ছেলে রিয়াজুদ্দিন সরকারকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছে। টাকা ফেরত দিতে প্রথমে গড়িমসি করছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, এরপর ওই তৃণমূল নেতা আমাকে হুমকিও দেন। তারপরই থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। আমরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।" থানায় অভিযোগের পরই নিজের বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ী। যে ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। বর্তমানে গঙ্গারামপুর মহাকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন।

কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, বিজেপির আইটি সেলের পক্ষ থেকে অনাদি লাহিড়ীর ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল। চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাতে ওই ঘটনা নিয়ে একটি অভিযোগ হওয়ার পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তিনি এখনও দলের পদে রয়েছেন, তাঁর পাশে সব সময় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

জেলা বিজেপি নেতা বাপি সরকার বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা তো ঠিক, তিনি নিজে থেকে এ টাকা তোলেননি। দলের যাঁর নির্দেশে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা সকলের সামনে আনা উচিত অনাদিবাবুর। এই দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য সামনে আনলে তাঁর নিজের ও পরিবারের সম্মান বাঁচবে। আত্মহত্যার মতো পথও আর তাঁকে বেছে নিতে হবে না।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles