Arambagh: তৃণমূলের লাগামছাড়া তোলাবাজি, আরামবাগে তিতিবিরক্ত বাস মালিকরা ধর্মঘটের পথে

তৃণমূলের তোলাবাজিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু বাসরুট
Arambagh_(3)
Arambagh_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের তোলাবাজির জেরে বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জেলার সঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার যোগাযোগের বেশ কয়েকটি রুটের বেসরকারি বাস পরিষেবা। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাপানো হয়েছে পোস্টার। পুজোর মুখে রুটি-রুজি অনিশ্চিত পরিবহণ কর্মীদের। তার জেরেই উদ্বেগ আরামবাগে। আরামবাগের সঙ্গে সরাসরি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গণ পরিবহণের বাস বন্ধ হলে একদিকে যেমন সমস্যায় পড়বেন সাধারণ যাত্রীরা, অন্যদিকে রুটি রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে বাস কর্মীদের। ইতিমধ্যেই আরামবাগ মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও তৃণমূল ভবনেও এই তোলাবাজির অভিযোগ জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠন। এমনকি ধর্মঘটের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বাসগুলিতে পোস্টার লাগিয়ে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে। তাতে লেখা, ‘আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিক ইউনিয়নের তোলাবাজির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত যাত্রী পরিষেবা বন্ধ থাকবে।’ বাস কর্মী থেকে মালিক সকলেই বলছেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটা ছাড়া তাঁদের কোনও উপায় নেই।

বাস চালিয়ে খরচই উঠছে না (Arambagh)

এক বাস মালিক মধুমিতা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্রমিক কল্যাণের নামে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সফিকুল ইসলাম বাস প্রতি চল্লিশ টাকা করে বিল ছাপিয়ে জুলুম করে টাকা তুলছে। তিনি দাবি করেন, লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বাস চালিয়ে কোনওদিন টাকা পান, কোনওদিন পান না। খরচই তুলতে পারেন না বেশিরভাগ সময়। চরম উদ্বেগের ছবি আরামবাগ বাস টার্মিনাসে। তোলাবাজদের জোর-জুলুমে অতিষ্ঠ বাস মালিকরা। দক্ষিণবঙ্গের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আরামবাগ শহরের বাস টার্মিনাস। যেখন থেকে সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রায় ২৬টি রুটে ১৫০টির বেশি এক্সপ্রেস বাস চলাচল করে। তার সঙ্গে আরামবাগ মহকুমায় ২০০টিরও বেশি লোকাল বাস চলে। ৩০০ থেকে ৩৫০টি বাস প্রতিদিন আরামবাগ টার্মিনাস (Arambagh) থেকে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর সহ রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি জেলায় যাতায়াত করে। প্রায় দুই হাজার বাস কর্মচারী গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত। তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে পুজোর মুখে যদি বাস মালিরা ধর্মঘটে সামিল হন, তাহলে গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত দুই হাজার শ্রমিকের রুটি রুজিতে টান পড়বে। এর দায় কে নেবে? উঠছে সেই প্রশ্ন। কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতারা। আরও অভিযোগ, শাসকদলের এক গোষ্ঠীর নেতাদের মদতেই এই তোলাবাজি চলছে। এক বাস কর্মী বলছেন, শুধু মালিকরা নয়, আমাদেরও পেটে লাথি পড়ছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। প্রশাসন কোনও উদ্যোগ না নিলে অবস্থা আরও খারাপ হবে। তাই আমরা চাইছি ধর্মঘট হোক।

কী বলছেন অভিযুক্ত, কী অভিযোগ বিজেপির? (Arambagh)

যদিও অভিযুক্ত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা এই কাজ করছে আমার জানা নেই। এই ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজির জেরেই পশ্চিমবঙ্গের দুর্দশা। যার বিড়ি কিনে খাওয়ার পয়সা ছিল না, সেই এখন তৃণমূলের নেতা হয়ে বিশাল বাড়ি, দামি দামি গাড়ি। কোথা থেকে হয়? এটা তো আর নিজের রোজগারের টাকায় হয় না, অপরের টাকা তোলাবাজি করে জুলুমবাজি করে চালিয়ে নিচ্ছে। সময় এলেই মানুষ বুঝিয়ে দেবে, কতটা দুধ আর কতটা জল আলাদা হয়ে যাবে। এসব তৃণমূলের কালচার। ওরাই করতে পারে। সাধারণ মানুষ সব দেখছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles