মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দণ্ডিকাণ্ডে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তারজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদ সনকইর এলাকার মিশনপাড়া গ্রামে দণ্ডি কাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেব টুডু। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ললিতা টিগ্গা, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সন্তোষ হাঁসদা, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম। দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখা করেন।
কী বললেন দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলা?
বিজেপি করার অপরাধে কয়েকদিন আগে তিন আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে বালুরঘাটে ডেকে দণ্ডিকাটার নিদান দিয়েছিলেন তত্কালীন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই আদিবাসী (Tribal People) সমাজ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁরা নির্যাতিতাদের পাশে থাকার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনা জানাজানি হওয়ার একদিনের মধ্যেই প্রদীপ্তাকে পদ থেকে সরিয়ে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার দণ্ডিকাণ্ডে এক নির্যাতিতা বলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ায় আমি খুশি। আর ওই নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভাল লাগছে।
কী বললেন তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি?
দণ্ডিকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নির্যাতিতাদের বাড়িতে যান। অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাতেও আদিবাসী (Tribal People) সমাজের বরফ গলেনি। মঙ্গলবারও সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে এবার আদিবাসী (Tribal People) নেতাদের গ্রামে পাঠিয়ে মন জয়ের চেষ্টা করলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, আদিবাসী যে মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁদের সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। দোষীদের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমো তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। আদিবাসীরা (Tribal People) সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে।
কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?
ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলন শুরু করেন। জেলা জুড়ে প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। জেলা প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিবাদ সভা করেন। ফলে, বিজেপির লাগাতার আন্দোলনে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিজেপি-র জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, আদিবাসী (Tribal People) মহিলাদের সঙ্গে গুরুতর অন্যায়ের বিষয়টি ধামাচাপা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে কোনও লাভ হবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours