মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে আটটি চিতা (Cheetah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে এই চিতাগুলো ভারতের মাটিতে পা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে চিতাগুলোকে খাঁচামুক্ত করেছে তাঁর জন্মদিনে। ভারতে আসার মাত্র কয়েকদিন হলেও ভালোই খোশমেজাজে রয়েছে চিতাগুলো, বলে জানা যায়। এবার এই চিতাগুলোকেই পাহারা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ২টি হাতিকে। একজনের নাম লক্ষ্মী আর একজনের নাম সিদ্ধনাথ।
সূত্রে খবর অনুযায়ী, নর্মদাপুরমের সাতপুরা টাইগার রিজার্ভ থেকে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসেই। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথকে। জঙ্গলে যে জায়গায় চিতাগুলোকে রাখার জন্য যে বিশেষ জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই জায়গার পাশেই এই হাতি দুটি কড়া নজর রাখছে। সিদ্ধনাথ এবং লক্ষ্মী বন কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে, যাতে অন্য কোনও বন্যপ্রাণী চিতাগুলোর আশেপাশে না আসে।
আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?
উল্লেখ্য, কুনোতে নতুন চিতাদের জন্য যে বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে কিছু দিন আগে পাঁচটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। তখন তাদের সেখান থেকে তাড়ানোর কাজেও সহযোগিতা করেছিল এই দুই হাতি। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিএফও প্রকাশ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, সিদ্ধনাথের বয়স ৩০ বছর। বিভিন্ন এলাকায় বাঘ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে সে। তবে মাঝেমধ্যে সিদ্ধনাথের মেজাজ বিগড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ২০১০ সালে তার আক্রমণে দু’জন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে ২৫ বছরের লক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির কিন্তু তার কাজে দক্ষ।
এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে আইসোলেশনে রেখেছে চিতাগুলোকে। সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে তাদের খাবার। জানা গিয়েছে, তাদের নামিবিয়া থেকে আনার সময় এক বিশেষ উদ্দেশে খালি পেটে আনা হয়েছিল। আর তাদের এখন মহিষের মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এও জানা গিয়েছে যে, আইসোলেশনে থাকাকালীন আগামী এক মাস তাদের মহিষের মাংসই খেতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে চিতাগুলোকে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাদের প্রত্যেককে তিন কেজি করে মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল।
+ There are no comments
Add yours