Vishwakarma Puja: পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির মেলা 

Kite Flying: বিশ্বকর্মা পুজোয় কেন ঘুড়ি ওড়ানো হয় জানেন?
kiteinbengal
kiteinbengal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানেই আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক (Kite Flying)। প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট তারিখে পালিত হয়। ১৭ই সেপ্টেম্বর সারা দেশে ধুমধাম করে রাজা কারিগর বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাংলার আকাশে নানারকম ঘুড়ির মেলা। সকাল থেকেই কত রকমের ঘুড়ির শোভা চোখে পড়ে। বেলা বাড়লে পাড়ায় পাড়ায়, এ ছাদ থেকে ও ছাদে চলে ঘুড়ির লড়াই। ভো-কাট্টা...সুরে ফেটে পড়ে আকাশ।

কবে থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর চল

বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) দিন বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানো (Kite Flying) শুরু হয়েছে ১৮৫০ সাল থেকে। কলকাতা ও গ্রাম বাংলার কতিপয় বিরাট ধনী জমিদাররা ঘুড়িতে টাকা বেঁধে ওড়ানো শুরু করেন। তাঁদের বিশ্বকর্মা পুজোর উৎসব ও পারিবারিক শুভ কামনার উদ্দেশ্যে। যদিও অন্যান্য রাজ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর পৃথক দিন আছে। গুজরাটের উত্তরায়ণ উৎসব, তামিলনাড়ুতে পঙ্গাল আর ভারতের অনেক রাজ্যেই মকর বা পৌষ সংক্রান্তির দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা পর্যন্ত হয়। 

বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর পৌরাণিক ব্যাখ্যা

বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) এবং ঘুড়ি ওড়ানোর পিছনে পৌরাণিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পুরাণ মতে বিশ্বকর্মা দেবলোকের কারিগর। সোজা কথায় যাকে বলা যায় দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার অথবা প্রকৌশলী। ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মাদেব এই ধরাধামকে নিজে হাতে তৈরি করেন। ঋক বেদ অনুসারে বিশ্বকর্মা স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিদ্যার জনক। কৃষ্ণের বাসস্থান, গোটা দ্বারকা নগরী নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা দেবতা। যে জন্য শ্রমিক থেকে ইঞ্জিনিয়র সমাজের কাছে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটার গুরুত্ব চিরকাল অপরিসীম। সব দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ বানিয়ে ছিলেন বিশ্বকর্মা। সেটা স্মরণ করতেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কলকাতা তথা গোটা রাজ্যের আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। 

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

বিশ্বকর্মার আরাধনা

হিন্দু পুরাণ, বেদ, রামায়ণ ও মহাভারতে বিশ্বকর্মার মাহাত্ম্যও বর্ণনা রয়েছে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বকর্মাকে (Vishwakarma Puja) সমস্ত নির্মাণ শিল্পের দেবতা হিসেবে বলা হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, বৃহস্পতির ভগিনী যোগ সিদ্ধা হলেন বিশ্বকর্মার মাতা ও অষ্টম বসু প্রভাস হলেন তাঁর পিতা। কথিত আছে, বিশ্বকর্মা হলেন স্বর্গলোকের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতি ও ভাস্কর। কারিগরি ও নির্মাণ শিল্পের পুরোধা বলা যেতে পারে। ব্রহ্মার নাভিমূল থেকে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকর্মা। দেবকূলের এই গুরুত্বপূর্ণ দেবতার চারটি হাত, এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, অন্যহাতে থাকে হাতুড়ি। ধর্ম মতে, দাড়িপাল্লা হল জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক, অন্যদিকে, হাতুড়ি হল শিল্পনির্মাণের প্রতীক। বিশ্বকর্মার বাহন হল হাতি। বৃহদ্দেবতা গ্রন্থ অনুসারে বিশ্বকর্মা হলেন, ‘বর্ষাকালীন সূর্য’। গ্রীষ্মকাল শেষ হয়েছে। মাটি শুষ্ক, রুক্ষ হয়েছে। বর্ষার জল ব্যতিরেকে শস্য উৎপাদন সম্ভব নয়। যিনি বিশ্বের কর্ম বা কৃষিকর্ম সৃষ্টি করেন, সূচনা করেন, তিনিই বিশ্বকর্মা। তাই ভাদ্র সংক্রান্তিতে তাঁর আরাধনা করে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের পথ তৈরি করে বাঙালি। উৎসবের আগাম আনন্দ উদযাপনে আকাশে ওড়ে ঘুড়ি।



দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles