Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

গোটা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত বলেই ব্রিজটি সারানোর বিষয়ে প্রশাসন নজর দিচ্ছে না, অভিযোগ বিজেপির
Bridge
Bridge

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকা সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুঘাট ব্লকের বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াডাঙা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, হেলদোল নেই প্রশাসনের। সমস্যায় বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে।

কীভাবে ভেঙে পড়েছিল ব্রিজ?

২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি বহনকারী একটি লরি ওই পাকা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ব্রিজের উত্তর প্রান্তে রয়েছে বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দক্ষিণ দিকে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও ব্রিজটি বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ফলে ওই এলাকার দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা যাতায়াতে চরম সমস্যায় রয়েছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে বাঁশের মাচার উপর বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি ফেলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও পাকা ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, এটাই কি উন্নয়নের নমুনা!  

কী বলছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি?

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ললিতার টিগ্গা বলেন, আমি ওই ব্রিজটির কথা শুনেছিলাম। তবে আজ সবটা ভালো করে জানলাম। দ্রুত ওই ব্রিজটির কাজ করা হবে। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং অতি দ্রুত যাতে ব্রিজটির মেরামতির কাজ শুরু হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

'দ্বিচারিতা', বলছে দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্ব

দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপী সরকার বলেন, কাশিয়াডাঙা ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ওই গোটা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। আমার বিশ্বাস, সেই কারণেই শাসকদল ওই ব্রিজটি সারানোর বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। এখানে অন্য কোনও সম্প্রদায় থাকলে এই ঘটনা ঘটত না। এটা এই সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। মিডিয়াতেই তো দেখলাম আদিবাসী সেলের সভাপতি এসেছেন। উনাকে বলব, ওই ব্রিজটা একবার ঘুরে আসুন। আদিবাসীদের প্রতি তৃণমূল সরকার যে বঞ্চনা করে, কাশিয়াডাঙা ব্রিজ তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles