মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপি-র দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। এবার দেখে নেওয়া যাক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী কী সুবিধা পেতে চলেছেন রাইসিনা হিলসের নয়া বাসিন্দা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন বিশ্বের সব চেয়ে বড় রাষ্ট্রপতি ভবন। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল এই ভবন। ৩২০ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছিল দিল্লির রাইসিনা হিলসের এই রাষ্ট্রপতি ভবন। রাইসিনা হিলসের মূল ভবনে ঘর রয়েছে ৩৪০টি। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও রাইসিনা হিলসে রয়েছে তাঁর আধিকারিকনিবাস, স্বাগত কক্ষ, অতিথিশালা এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। ভবনের বাইরে রয়েছে বিশাল আকারের বাগান, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা। রয়েছে আস্তাবলও। রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যেই রয়েছে মুঘল গার্ডেন, মিউজিয়াম। মুঘল গার্ডেনে রয়েছে ময়ূরও। টিকিট কেটে এগুলি ঘুরে দেখতে পারেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির
আগামী পাঁচ বছরের জন্য এখানকারই বাসিন্দা হতে চলেছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতি মাসে বেতন বাবদ তিনি পাবেন ৫ লক্ষ করে টাকা। জানা গিয়েছে, ১৯৫১ সালের আইন মোতাবেক নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ও পেনশনের পরিমাণ। রাষ্ট্রপতির জন্য দুটি ভ্যাকেশন রিট্রিটের ব্যবস্থাও রয়েছে। বছরে দু বার ছুটি কাটাতে যেতে পারেন তিনি। তাঁর জন্য ব্যবস্থা থাকে সিমলার দ্য রিট্রিট বিল্ডিং ও হায়দরাবাদের রাষ্ট্রপতি নিলয়মে। সফরের যাবতীয় খরচ বহন করে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
এ তো গেল রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন সুযোগ সুবিধা। অবসরের পরেও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। ফি মাসে রাষ্ট্রপতি পেনশন পান দেড় লক্ষ টাকা। রাইসিনা হিলস ছেড়ে গেলেও, রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয় সুসজ্জিত বাংলোর। এজন্য কোনও টাকা দিতে হয় না তাঁকে। পাঁচজন কর্মচারীও রাখতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই কর্মচারীদের বেতন দেয় ভারত সরকার। জীবনভর বিনা মূল্যে ট্রেন এবং বিমানে ভ্রমণের সুযোগও পান অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।
+ There are no comments
Add yours