মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ আজকের নয়। সেই কোন প্রাচীন কাল থেকে পুজো-অর্চনার কাজে লেগে আসছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। দুর্গাপুজোর অন্যতম অনুষঙ্গ শঙ্খ। পুরোহিতের মন্ত্র, ঢাকের আওয়াজ, শঙ্খধ্বনি এই শব্দগুলো সনাতন পুজো মণ্ডপের পরিচিত অনুষঙ্গ। এগুলো ছাড়া পুজোই হয় না। শঙ্খ প্রতিটা হিন্দু বাঙালি বাড়িতে থাকে, প্রতিটা বাঙালি বাড়িতে সকাল ও সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজানো একটা রীতি।
হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে, নিত্যপুজোর পরে যদি নিয়ম করে তিনবার শঙ্খ বাজানো যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে অশুভ শক্তির প্রভাব কমতে থাকে এবং শুভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ভাগ্যও ফিরে যায়। ফলে জীবন সুখ -শান্তিতে এবং আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
আরও পড়ুন: শঙ্খের উৎপত্তি কোথায়? কোন শঙ্খের মূল্য সবচেয়ে বেশি?
শাস্ত্রে বলা হয় বাড়িতে শঙ্খ তিনবার বাজানো উচিত। তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজানো উচিত নয়। এর কারণ হিসেবে শাস্ত্রে বলা হয় যে, ৩ বার শঙ্খ বাজালে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ এই তিন দেবতার সঙ্গে সমস্ত দেবদেবীরা আমন্ত্রিত হন। কিন্তু তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজালে দেবের সঙ্গে দানব বা অসুরকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়।
হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে বলা হচ্ছে যে, সমুদ্র মন্থনের সময় অসুররা চারবার শঙ্খধ্বনি করে “বলি অসুর”-কে নিমন্ত্রণ পাঠিয়ে জাগ্ৰত করেছিল। তাই, তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজালে সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের দেবতা মহাদেব, বিষ্ণু, ব্রহ্মার পাশাপাশি আসুরি শক্তিও নিমন্ত্রণ পেয়ে আপনার গৃহে প্রবেশ করে। দেবতার পাশাপাশি অসুরকে নিমন্ত্রণের ফলস্বরূপ আপনার ও আপনার পরিবারের উপর নেমে আসতে পারে এইসব দেবতাদের অভিশাপ। তাই শাস্ত্রে তিনবার করেই শঙ্খ বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা দেওয়া হয় কেন? এর ঐতিহ্য, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাই বা কী?
+ There are no comments
Add yours