মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএফ সেভেন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে চিনে এখন ভয়ঙ্কর অবস্থা চলছে। সেদেশে হাসপাতাল গুলিতে বেড পর্যন্ত খালি পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রয়েছে। সরকারি নথি বলছে ইতিমধ্যে সে দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ৫০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে প্রতিদিন। যদিও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র দাবি করেছে যে তথ্য গোপন করছে চিন। ওই সংবাদপত্রগুলির আরও দাবি,১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ২৫ কোটি মানুষ চিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চিনের বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক সেদেশের ২০১৯-২০২০ সালের কথা মনে করাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন নাকি খুব বেশি কার্যকরী নয় এবং বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় এটি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই কার্যকরী। সে কারণেই চিনে এত বেশি সংক্রমণ শুরু হয়েছে। চিনের এই পরিস্থিতির কারনে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যে নেওয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে তাঁরা যেন দাঁড়িয়ে থেকে হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উচ্চস্তরের একটি বৈঠক কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে মহড়া চলেছে, করোনা মোকাবিলাতে হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত রয়েছে সেটা দেখার জন্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity) নয় হাইব্রিড ইমিউনিটি ভারতীয়দের সুরক্ষা প্রদান করবে এই মহামারীর সময়। এবার আসুন আমরা জেনে নেই হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity) এবং হাইব্রিড ইউনিটির মধ্যে পার্থক্য।
হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity) এবং হাইব্রিড ইউনিটি
হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity) কোভিড ইনফেকশন থেকে তৈরি হয়। যেখানে একটি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় জনসাধারণের বৃহত্তর অংশের মধ্যে। অতীতে কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে, তার ভিতরে হার্ড (Herd Immunity) ইমিউনিটি তৈরি হয়ে। অন্যদিকে একধাপ এগিয়ে রয়েছে হাইব্রিড ইমিউনিটি। যদি কোনও ব্যক্তির ভ্যাকসিন ডোজ নেওয়া থাকে এবং অতীতে যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে শরীরের মধ্যে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। এটাই হল হাইব্রিড ইমিউনিটি।
বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন যে ভারতবর্ষে বেশিরভাগ মানুষই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই নিয়েছেন। আবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এই সংখ্যা কোটির উপরে। করোনার প্রথম তিনটি ঢেউয়ে ভারতবর্ষে হাইব্রিড ইমিউনিটি অনেকটাই তৈরি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিএফ সেভেনের যে দাপট চলছে সেটি ভারতবর্ষে অতটা কার্যকরী হবে না তার কারণ ভারতীয়দের মধ্যে হাইব্রিড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে।
+ There are no comments
Add yours