মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জিকা মতে দোলযাত্রা আর হোলি (Holi) উৎসবের দিনক্ষণ আলাদা। ২০২৩ দোলপূর্ণিমা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আবহ। রঙের উৎসবের আগমনী বার্তায় সাজছে চারিদিক। চলতি বছরে দোল পূর্ণিমা পড়ছে ৬ মার্চ বিকেল ৪ টে বেজে ১৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড থেকে। আর এই তিথি থাকবে ৭ মার্চ সন্ধ্যে ৬ টা বেজে ৪০ মিনিট পর্যন্ত। দেশের বহু প্রান্তে হোলির (Holi) আগের দিন পালিত হয় হোলিকা দহন উৎসব।
হিন্দু ধর্মে যেকোনও অনুষ্ঠানে তিথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। দোলের তিথি দেখেই বাঙালি গৃহস্থ বাড়িতে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। দোল পূর্ণিমা হিন্দুদের কাছে এক অত্যন্ত পবিত্র তিথি হওয়াতে, শাস্ত্র মতে এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম-কার্য পালন করলে মানুষের আর্থিক, পরমাত্মিক এবং সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধি লাভ সম্ভব হয়। বহু বাড়িতেই দোলের দিন শ্রীরাধাগোবিন্দের পুজো হয়। আবার শালগ্রাম শিলার পুজোও দেখা যায় এই দিন। পূর্ণিমার পুজো সকাল থেকেই চলে বাঙালি হিন্দু বাড়িতে। এই বিশেষ তিথিতে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে গোপাল পূজা করলে ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা লাভ করা যায়। নিম্নে গোপাল পুজোর নিয়ম কারণ সম্পর্কে জানানো হল। এছাড়া আপনারা নিজেদের আরাধ্য দেবতাদেরও পূজা করতে পারেন এই দিন।
দোল পূর্ণিমার দিন গোপাল পুজোর রীতি
শাস্ত্রমতে, মনে করা হয় এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে সংসারের সার্বিক সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এই দিনে বিশেষ কিছু নিয়ম পেলে গোপালের পুজো করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে। শাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই তিথি অত্যন্ত পবিত্র একটি তিথি। তাই এই দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি সর্বদা বজায় থাকবে আপনার উপর। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে সংসারের সমৃদ্ধিও। জেনে নেওয়া যাক আজ ঠিক কোন নিয়মে পুজো সারবেন। পণ্ডিতরা বলছেন, আগের দিনেই বাড়ি-ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। রান্না ঘরে মজুত রাখা খাবারের কৌট বা জায়গা কখনও একদম ফাঁকা করে রাখবেন না। কিছু না কিছু ভরে রাখবেন। এই দিনে সকালে স্নান সেরে নিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে বাড়ির প্রধান দরজার সামনে এক বালতি জল রেখে দিন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দরজার সামনে সেই জল ঢেলে ধুয়ে দিন। স্নানের জলে একটা বা দুটো তুলসী পাতা দিয়ে স্নান করুন। স্নানের পর ইষ্ট দেবতার স্মরণ করে পুজো সেরে নিন। গোপাল পুজো আপনি যেভাবে করেন সেই ভাবেই সারুন সঙ্গে শুধু উল্লিখিত নিয়মগুলো মেনে চলুন। এরপর ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম সেরে নিন। ফুল মিষ্টি দিয়ে পুজো সেরে নিন। এই দিনে খাদ্য শষ্য দান অত্যন্ত পুণ্যের বলে মনে করা হয়। দুঃস্থকে খাদ্য এবং বস্ত্র বা সামর্থ অনুযায়ী এই দিনে দান করলে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। সেই সঙ্গে মনের ইচ্ছাও পূরণ হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours