মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি বাচ্চাদের উপর। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে ঠিক ততটাই জোরাল হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রভাব। এই ভাইরাসের হানায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শিশু ওয়ার্ডে প্রায় সমস্ত বেড ভর্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার বাড়ির খুদের পাশাপাশি, বড়দের শরীরেও বাসা বাঁধছে অ্যাডিনো ভাইরাস (AdenoVirus)। ভ্যারিয়েন্ট বদলে (Variant Change) শক্তিশালী হচ্ছে অ্যাডিনো।
বড়রাও আক্রান্ত!
চিকিৎসকের অনেকে বলছেন, করোনার মতো অ্যাডিনো ভাইরাসও ভ্যারিয়েন্ট বদলে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। শিশুদের নিয়ে যখন চিন্তার শেষ নেই, তখন বড়দের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। চিকিৎসকদের চেম্বারে অনেকেই আসছেন, যাঁরা প্রায় এক মাসের উপর কাশির সমস্যায় ভুগছেন। শিশুদের পাশাপাশি বড়দের শরীরেও বাসা বাঁধছে অ্যাডিনো ভাইরাস। অনেকের কাশি সারছে না, কারণ ধরা যাচ্ছে না। বড়দেরও অ্যাডিনো ভাইরাস কি না, জানার জন্য টেস্ট করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কেউ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানতে PCR টেস্ট করাতে হয়। বেসরকারি সংস্থায় যে টেস্টের খরচ ৯ থেকে ২০ হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই যা অনেকের পক্ষেই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই সচেতনতার উপরেই জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশিকা
সচেতনতা প্রচারে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনও অসুস্থ শিশু, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে, অভিভাবকদের কাছ থেকে অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানার কথা বলা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা বুঝে শিশুটির চিকিৎসা বাড়িতে রেখে হবে না, হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন রয়েছে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন মেডিক্যাল অফিসাররাই। স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেবেন। যদি কোনও শিশু অসুস্থ থাকে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া ফার্মাসিস্টরা যেন কোনও ওষুধ না দেন। ল্যাবরেটরিতে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। শিশু অসুস্থ হলে যে বাড়িতে রাখা যাবে না, তাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলেই কাছের কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অসুস্থ শিশুকে কোনও ভাবেই, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours