Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Bhatpara: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    Bhatpara: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় শতাধিক বোমা উদ্ধার হল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া (Bhatpara) থেকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বোমাগুলিকে ম্যাটাডোরে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা এই বোমা রেখে গেল তা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।

    কী জানা গেল?  

    জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার থেকে ১৫০ কৌটো বোমা উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গোপন সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। নয়াবাজারের এক মাঠের গর্তের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বোমাগুলি। খবর পেয়ে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। এরপরেই ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাটি ফাঁকা করে ঘিরে ফেলা হয়। এর পর বোমাগুলি ব্যাগে রেখে তা তোলা হয় ম্যাটাডরে। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

    এই ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আশেপাশের এলাকাতেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা বা কী উদ্দেশ্যে বোমাগুলি ওইখানে রাখা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর আগেও একাধিক বার বোমা উদ্ধার এবং বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেছে ভাটপাড়ায় (Bhatpara)।

    আরও পড়ুন: ফের মস্কো থেকে গোয়ামুখী বিমানে বোমাতঙ্ক, রুট বদলে উজবেকিস্তানে জরুরি ল্যান্ডিং

    গত বছরের অক্টোবর মাসেও ভাটপাড়া (Bhatpara) থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। রিলায়েন্স জুটমিল শ্রমিক লাইন থেকে সেই বোমাগুলি উদ্ধার হয়। তার কিছুদিন আগে বোমা ফেটে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে ভাটপাড়াতে। ভাটপাড়া ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের দু’টি বোমা রাখা ছিল। তিনজন কিশোর সেটিকে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। এরপরই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। একজনের মৃত্যু হয়। জখম হয় দুজন। মৃত বালকের নাম নিখিল পাসোয়ান। রেল গেটের পাশেই দুষ্কৃতীরা বোমা রেখে যায় বলে অভিযোগ। সেটিকেই এলাকার তিন বালক বল ভেবে ভুল করে। তা নিয়ে খেলতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। ছুড়ে মারতে সজোরে ফেটে যায় বোমা। এই ঘটনা রেস কাটেনি এখনও। তারই মাঝে আবার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আবারও এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উস্কে দিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Chinese New Year: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ

    Chinese New Year: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার মধ্যেও রয়েছে এক টুকরো চিন! চায়না টাউন বা ট্যাংরা। আর ঐতিহ্য মেনে সেখানে এবছরও পালিত হচ্ছে চিনা নববর্ষ (Chinese New Year)। আমরা যেমনভাবে নববর্ষ পালন করে থাকি ঠিক সে ভাবেই চিনারাও তাঁদের নববর্ষ পালন করে থাকেন। নতুন জামাকাপড় পরে চার্চে যান, মোমবাতি জ্বালান। ঘরে তৈরি হয় চিনা খাবার এবং বাঁশপাতায় জড়ানো চং, স্ট্রিট আর্ট, গান, ক্যালিগ্রাফি, হস্তশিল্প দিয়ে সাজিয়ে তোলেন এলাকা। নববর্ষের ঠিক আগের রাত থেকেই প্রস্তুতি চলে। এ বছর বাইশে জানুয়ারি চাইনিজ নিউ ইয়ার, মানে লুনার নিউ ইয়ার। অর্থাৎ চাইনিজ ক্যালেন্ডারে প্রথম দিন। সূর্য দক্ষিণায়নে যাওয়ার পরে প্রথম অমাবস্যা ছেড়ে দ্বিতীয় অমাবস্যার দিন থেকে শুরু হয় এই লুনার নিউ ইয়ার। ২০২৩ খরগোশের বছর মানে র‍্যাবিট ইয়ার। চাইনিজ মতে র‍্যাবিট হল সহিষ্ণুতা এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।

    আরও পড়ুন: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল? 

    ১৯৬২-র ইন্দো-চিন যুদ্ধের পর কর্মসংস্থানের খোঁজে এ দেশে চলে আসেন বহু চিনা পরিবার (Chinese New Year)। সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। বেশ কয়েক হাজার। সেই সময় থেকে আজও কলকাতায় রয়ে গিয়েছেন তাঁরা ।

    চিনা কালী মন্দিরের দায়িত্বে থাকা চেন ইয়ে সেং সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবছর লাল এবং হলুদ আলোতে সাজানো হবে চায়না টাউন। লাল রঙের বড় ব্যানারে লেখা হবে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ (Chinese New Year)। আরও এক চিনা কলকাতার বাসিন্দা বলেন, “আমরা খুব খুশি। প্রায় দুবছর পর উৎসব পালিত হবে। এশিয়ার অন্যতম বড় উৎসব এটি।”

    চিনা বিশ্বাস 

    মূলত পক্ষকাল ধরে চিনারা নববর্ষ পালন করেন। চিনা নববর্ষের (Chinese New Year) বৈশিষ্ট্য , দিন ও বছর গণনা হয় সূর্য কেন্দ্রিক। কিন্তু মাস গণনা হয় চন্দ্রকে কেন্দ্র করে। চান্দ্র মাসে প্রথম দিন হয়  পূর্ণিমা। মাসগুলির প্রতীক হিসেবে থাকে টোটেম বিশ্বাস। খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, বানর, বাঘ, মোরগ, কুকুর, শুয়োর, ইঁদুর , কাক, ভেড়া ইত্যাদি। এই বছরের প্রতীক খরগোশ। ফলে নতুন বছর চিহ্নিত হবে র‍্যাবিট মান্থ হিসেবে। ২০২২ এর প্রতীক ছিল বাঘ। আগামী বছরের প্রতীক ড্রাগন। চিনা নববর্ষ আসলে বসন্ত ঋতুর আবাহন উৎসবও বলা যেতে পারে। চিনা নববর্ষ প্রাচীনত্বের বিচারে প্রায় ৩৫০০ বছর আগের। প্রতীকগুলি আবার ফিরে ফিরে আসে পাঁচটি তত্ত্বের ভিত্তিতে। জল, সোনা, পৃথিবী, আগুন ও কাঠ। ২০১১ ছিল সোনা খরগোশ। এবার জল খরগোশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Bomb Threat: ফের মস্কো থেকে গোয়ামুখী বিমানে বোমাতঙ্ক, রুট বদলে উজবেকিস্তানে জরুরি ল্যান্ডিং

    Bomb Threat: ফের মস্কো থেকে গোয়ামুখী বিমানে বোমাতঙ্ক, রুট বদলে উজবেকিস্তানে জরুরি ল্যান্ডিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মস্কো থেকে গোয়া অভিমুখী বিমানে বোমাতঙ্ক। ২৩৮ জন যাত্রী নিয়ে রাশিয়া থেকে ভারতের উদ্দেশে ওড়ে বিমানটি (Bomb Threat)। গোয়া ডাম্বোলিম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ইমেল আসে যে, গোয়ামুখী একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। তারপরেই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে উজবেকিস্তানে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে ১১ দিনে দু’বার এমন বোমাতঙ্ক  ছড়াল মস্কো-গোয়া বিমানে।

    কী জানা গিয়েছে? 

    বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার পার্ম আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট (Bomb Threat) থেকে গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আজুর এয়ারের একটি চার্টার্ড বিমান। ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার আগেই একটি ইমেল আসে গোয়া বিমানবন্দরে। তারপরই বিমানটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় উজবিকেস্তানের দিকে। 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৪:১৫ নাগাদ গোয়ার ডাম্বোলিম বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল বিমানটির। রাত সাড়ে ১২:৩০ নাগাদ বিমানবন্দরের ডিরেক্টরের কাছে হুমকি ইমেল আসে। 

    প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি মস্কো-গোয়া বিমানে বোমাতঙ্ক (Bomb Threat) ছড়িয়েছিল। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে আসা একটি ফোনে দাবি করা হয়েছিল, বিমানের মধ্যে বোমা রয়েছে। সেই বিমানে ছিল ২৪৪ জন যাত্রী। সেই সময় বিমানটিকে গুজরাটের জামনগরে নামানো হয়। তবে বিমানের মধ্যে তল্লাশি চালিয়েও কোনও বোমার সন্ধান মেলেনি। একইভাবে দিন কয়েক আগেও দিল্লি-পুণের স্পাইস জেট বিমানের মধ্যে বোমা রয়েছে বলে খবর মেলে। যদিও শেষ অবধি কোনও বোমা পাওয়া যায়নি।

    উজবেকিস্তানের বিমানবন্দরে অবতরণ করবে ওই বিমান। ওর পরই যাত্রীদের নামিয়ে এনে চলবে তল্লাশি। সূত্রের খবর, পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই ফের ওই বিমানকে গোয়ার উদ্দেশে রওনা করা হবে।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    এর আগের বিমানটিকে (Bomb Threat) জামনগরে অবতরণ করতেই তা ঘিরে ফেলেন এনএসজির কমান্ডোরা। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডকে। প্রথমে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। প্রায় ন’ঘণ্টা ধরে তন্ন-তন্ন করে খোঁজা হয় বিস্ফোরক। খুঁজে দেখা হয় উড়ানের প্রতিটা কোনা। কিন্তু তাতে কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর বিমানটি ফের গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • BBC: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    BBC: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তথ্যচিত্রটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্র। 

    নির্মাতারা (BBC) দাবি করেন, মোদির সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে, মূলত মুসলিমদের সম্পর্কের তিক্ততার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে।

    আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি 

    বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “তথ্যচিত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠা এবং সত্যতার চরম অভাব রয়েছে। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।”   

    সংবাদ সম্মেলনে (BBC) আরও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র ভারতে দেখানো হয়নি। তথ্যচিত্রটিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা রীতিমতো পক্ষপাতদুষ্ট।

    এদিকে, নয়াদিল্লির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সুনাক বলেন, ডকুমেন্টারিতে যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরা হয়েছে এর সঙ্গে তিনি একমত নন।  

    এই সিরিজ় নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকেই ট্যুইটারে বিবিসির এই উদ্যোগ নিয়ে উপহাস করেছে। অনেকেই বলেছেন, বিবিসির উচিত ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপরও একটি সিরিজ তৈরি করা উচিত, যার নাম হবে ‘ইউকে: দ্য চার্চিল কোয়েশ্চন’। প্রসঙ্গত, এই মন্বন্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ভারতীয়দের থালা থেকে খাবার তুলে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের খাওয়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেই খাদ্য। যার বলি হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন।   

    অনেকেরই ধারণা গুজরাট হিংসা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও এই তথ্যচিত্রের কী ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল।

    যেই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এই বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি সরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিবিসি যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে, তা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চর্চা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Gyanvapi: এবার জানা যাবে জ্ঞানবাপীর ‘শিবলিঙ্গের’ বয়স? পুরাতত্ত্ববিদদের আট সপ্তাহ সময় আদালতের

    Gyanvapi: এবার জানা যাবে জ্ঞানবাপীর ‘শিবলিঙ্গের’ বয়স? পুরাতত্ত্ববিদদের আট সপ্তাহ সময় আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi) মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গে’-র বয়স নির্ধারণের জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষা করা যাবে কি না, সে বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে আরও ৮ সপ্তাহ সময় দিল বেঁধে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।  

    শুক্রবার এএসআই-এর (Gyanvapi) তরফের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানান, পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতামত জানাতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন। আইনজীবীর আবেদন মেনে পুরাতত্ত্ববিদদের আরও ৮ সপ্তাহ সময় দিল আদালত। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ওই দিন এএসআই-এর গবেষকদের কার্বন ডেটিং পরীক্ষা করা যাবে কী না সেই সংক্রান্ত মতামত লিখিত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    কেন কার্বন ডেটিং টেস্ট? 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে রয়েছে শৃঙ্গার গৌরী। যা আপাতত ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত। সেখানে পুজোর অধিকার চেয়ে মামলা করেন তাঁরা। মামলাকারীদের আরও দাবি, মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এর পরেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নির্দেশে এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। মসজিদের (Gyanvapi) ভিতরে তদন্ত করে তারা। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। এর পরেই ভিডিওর একটি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মসজিদের ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের মতো আকৃতির কিছু একটা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, সেটি শিবলিঙ্গ। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, সেটি পুরানো ফোয়ারার অংশ। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ শিবলিঙ্গের বয়স জানার জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আর্জি জানায় সুপ্রিম কোর্টে। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বারাণসী আদালতের মতে, কার্বন ডেটিং হলে শিবলিঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে। কার্বন ডেটিং একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রত্নতাত্ত্বিক কোনও বিষয়ের গবেষণার জন্য যা প্রয়োগ করা হয়। 

    চলতি বছরের ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, জ্ঞানব্যাপী (Gyanvapi) মসজিদে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে, সেটি রক্ষা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় ওই রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে এও বলা হয়েছিল, মসজিদে মুসলিমদের অধিকারও রক্ষা করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bye Election: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    Bye Election: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের (Bye Election) দিন ঘোষণা করল নির্বাচন করমিশন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের সুব্রত সাহা। এই বিধায়ককে মন্ত্রীত্বও দেয় রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত বাবু। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্য সরকারের এই মন্ত্রীর। সুব্রত সাহার মৃত্যুর জেরেই উপনির্বাচন হবে সাগরদিঘি বিধানসভায়।

    সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের টানা তিন বার জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন (Bye Election) সুব্রত সাহা। ২০১১ সালে তিনি ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার এক মাত্র তৃণমূল বিধায়ক। এর পর ২০১৬ এবং ২০২১ সালেও জিতেছিলেন। সাগরদিঘিতে সুব্রতের বিধানসভার নয়া শাসক বেছে নেওয়া হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ২ মার্চ প্রকাশিত হবে সেই উপনির্বাচনের ফল। সাগরদিঘি-সহ দেশের মোট ৬টি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র, অরুণাচল প্রদেশের লুমলা বিধানসভা কেন্দ্র, ঝাড়খণ্ডের রামগড়, তামিলনাড়ুর ইরোদে পূর্ব, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি, মহারাষ্ট্রের কেশব পীঠ ও চিচওয়াড়। 

    ৩১ জানুয়ারি সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Bye Election) নোটিফিকেশন প্রকাশ করার দিন ধার্য করেছে কমিশন। ৭ ফেব্রুয়ারি নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৮ ফেব্রুয়ারি নমিনেশনের স্ক্রুটিনি হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীপদ বাতিলের শেষ দিন। ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন এবং ২ মার্চ নির্বাচনের ফলপ্রকাশিত হবে।

    আরও পড়ুন: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    তৃণমূলের প্রার্থী অভিজিৎ?  

    এদিকে সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Bye Election) তৃণমূলের হয়ে লড়তে পারেন প্র‍য়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়৷ ১৬ জানুয়ারি সাগরদিঘির ধুমারপাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভামঞ্চে অভিজিতের উপস্থিতি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল। বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম নেন ৷ সেই সময় তিনি নিজের আসন ছেড়ে হাতজোড় করে উঠে দাঁড়ান। এরপরেই সাগরদিঘির প্রার্থী হিসেবে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

     

  • TB Vaccine: ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বকে যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    TB Vaccine: ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বকে যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ২০২৫- এর মধ্যে গোটা বিশ্বকে যক্ষ্মামুক্ত (TB Vaccine) করার পরিকল্পনা করেছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি আরও বলেন, ভারত গবেষণার জন্যে সম্পূর্নভাবে প্রস্তুত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভা ২০২৩-এ ‘এন্ডিং যক্ষ্মা’ বিষয়ক একটি অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “যেমন টিকাগুলি কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জার হয়ে দাঁড়িয়েছিল, ২০২৫ সালের মধ্যে একটি নতুন টিবি টিকা অনুমোদন করার আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা রয়েছে। যক্ষ্মা আক্রান্ত দেশগুলিতে এই টিকা প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য উপলব্ধ হবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এই টিকা প্রস্তুত করার জন্যে সম্পূর্নভাবে তৈরি। আরও উন্নত টিকা তৈরি করা হবে।”

    কী বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী? 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ১৬ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় (TB Vaccine)  প্রাণ হারান। করোনার আগেই এই রোগেই সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়। মাণ্ডব্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রভাগে রয়েছে।

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “‘স্টপ টিবি (TB Vaccine) পার্টনারশিপ বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী টিবি ব্যবস্থাপনার চেষ্টায় আমার অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, টিবি (TB Vaccine) লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের ক্ষতি করেছে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই তার হৃদয়ের কাছাকাছি। 

    তিনি আরও বলেন, “আমরা কেস ফাইন্ডিংকে আরও জোরদার করতে, প্রতিটি যক্ষ্মা (TB Vaccine) রোগীকে টেলি পরামর্শ পরিষেবা-সহ ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।” 

    মন্ত্রী বলেন যে, ভারত সম্প্রতি একটি নতুন এবং অনন্য প্রচারাভিযান চালু করেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী টিবি (TB Vaccine) মুক্ত ভারত অভিযান’। এই অভিযানের লক্ষ্য টিবি রোগীদের সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সরবরাহকৃত পুষ্টির ডায়াগনস্টিক এবং বৃত্তিমূলক সহায়তা প্রদান করা। 

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী টিবি (TB Vaccine) মুক্ত ভারত অভিযান ইতিমধ্যেই ৫০,০০০ টিরও বেশি নি-ক্ষয় মিত্রদের ১৩ লক্ষেরও বেশি টিবি রোগীর দায়িত্ব নিতে দেখেছে।” মাণ্ডব্য বলেন, “আমরা গোটা বিশ্বকেই টিবি মুক্ত করতে সহযোগিতা করব। নজরদারিতে উদ্ভাবন – প্রযুক্তি সরঞ্জাম, অভিনব ডায়াগনস্টিকস এবং ওষুধ – টিবি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।” 

    তিনি আরও বলেন, “স্টপ টিবি (TB Vaccine) পার্টনারশিপ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আগামী 8 বছরে ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই প্রকল্প প্রতি ডলার বিনিয়োগের জন্য ৪০ মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক রিটার্ন প্রদান করবে।” 

    মন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী এই উদ্যোগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যদি এখনই যক্ষ্মার (TB Vaccine) বিনাশ করতে বিনিয়োগ না করি, তাহলে পরবর্তীতে আমাদের অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

  • Pathaan: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Pathaan: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংকটে শাহরুখের কামব্যাক ছবি ‘পাঠান’ (Pathaan)! সেন্সর বোর্ডের পরে এবার দিল্লি হাইকোর্টের স্ক্যানারে এই ছবি। গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে ছবিটির ট্রেলার। কিছুদিন আগেই সেন্সর বোর্ড বেশ খানিকটা ছুড়ি কাঁচি চালিয়েছে ছবিটির ওপর। এমনকি ছবির ট্রেলারেরও বেশ কিছু অংশ বাদ পড়েছে। তারপরেও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে শাহরুখ, দীপিকা, জনের এই ছবির ট্রেলার।

    কী নির্দেশ আদালতের?

    দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ছবিতে সাব টাইটেল, ক্লোজ ক্যাপশনিং এবং যাঁরা দৃষ্টি এবং শ্রবণে প্রতিবন্ধী তাঁদের জন্য হিন্দিতে বিশেষ বিবরণ যোগ করতে হবে প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মসকে। একই সঙ্গে এপ্রিল মাসে ওটিটিতে ছবি-মুক্তির (Pathaan) নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    আদালতের বার এবং বেঞ্চ অনুসারে, দিল্লি হাইকোর্ট (Pathaan) প্রযোজকদের ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশদ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবং সিবিএফসিকে ১০ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ছবিটি। আদালত আরও নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, ছবিটি এপ্রিল মাস থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখাতে হবে। বিচারকের মতে, তার আগে যাবতীয় যা পরিবর্তন তা সেরে নেওয়ার সময় পাবে প্রযোজনা সংস্থা।  

    কিছুদিন আগেই সেন্সর বোর্ড (Pathaan) ছবিতে বেশ কিছু পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল। ছবির বেশ কিছু ডায়ালগ এবং দৃশ্যে কাঁচি চালানো হয়েছে। এছাড়াও দীপিকা পাড়ুকোনের কয়েকটি দৃশ্য বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। তারপরেই সেন্সর বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফ থেকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল পাঠানকে। কিন্তু ছবি মুক্তির মাত্র কয়েকদিন আগে ফের পরিবর্তনের নির্দেশ পেয়ে বেজায় মুশকিলে নির্মাতারা।

    আরও পড়ুন: কবে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরা-মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে? আজই ঘোষণা করবে কমিশন

    সম্প্রতি বুর্জ খলিফায় ছবির ট্রেলার দেখিয়ে অভিনব প্রচার সেরেছেন (Pathaan) শাহরুখ। ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ছবিটির ট্রেলার! ছবিটির নির্দেশক সিদ্ধার্থ আনন্দ। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে ডিম্পল কাপাডিয়া এবং আশুতোষ রানাকে। হিন্দি, তামিল এবং তেলুগু ভাষায় দেশে এবং সারা বিশ্বে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা (Jhalda) পুরসভা নিয়ে নাটকে নয়া মোড়। আদালতে মুখ পুড়ল রাজ্যের শাসক দলের। ঝালদা পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে গতকাল পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।

    কাউন্সিলর (Jhalda) পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। বিকেলে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

    গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি।

    এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা (Jhalda) পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাত, ফের ভূমিধসের আশঙ্কা! আস্তে আস্তে বসছে জোশীমঠ    

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda) এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নে প্রশাসনকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “বিধানসভায় বিজেপি সেজে জনসমক্ষে তৃণমূল বিধায়ক হয়ে ঘুরছেন গিরগিটিরা। এই বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচের জোরে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে সুরক্ষিত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে অমিত আগরওয়াল নামক এক ব্যবসায়ী এবং কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, নগদ টাকার বিনিময়ে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্তরা। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি কলকাতা এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতার একজন ব্যবসায়ী, কলকাতা পুলিশের অজ্ঞাত পরিচয় আধিকারিক এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    কী জানা গেল? 

    সিবিআইয়ের একজন প্রবীণ আধিকারিক জানান, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল অর্থ তছরুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ব্যক্তি রাঁচি হাই কোর্টের আইনজীবী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা (CBI) দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতবছর ঝাড়খণ্ডের ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে সেই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত আইনজীবীর নাম রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহারের জন্য সেই আইনজীবী এক ব্যবসায়ীর থেকে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই আইনজীবী ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে মনরেগা সংক্রান্ত মামলা লড়ছেন। এই মনরেগা মামলাতেই ইডি প্রাক্তন খনি সচিব পুজা সিংহলকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে মনরেগা মামলা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে চলা এক মামলাও লড়ছেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির   

    এই পরিস্থিতিতে রাজীবকে কলকাতার একটি শপিংমল থেকে গ্রেফতার (CBI) করা হয়েছিল। ধৃত ব্যক্তির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বলেও চার্জশিটে জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ, “অভিযুক্ত আইনজীবী কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রথমে ব্যবসায়ীর কাছে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। আলোচনার পরে তিনি তাঁর দাবির পরিমাণ কমিয়ে কমিয়ে ৪ কোটি করেন। পরে ১ কোটি টাকায় রফা হয় মামলাটি। আরও অভিযোগ, এই এক কোটি টাকা দুই কিস্তিতে নেওয়ার কথা ছিল আইনজীবীর। সেই কিস্তি নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন রাজীব।  

    সিবিআই- এর (CBI) অভিযোগ, ধৃত অমিত আগরওয়াল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বেআইনি টাকা পাচার করত। হেমন্তের বিরুদ্ধে রাজীব যাতে মামলা লড়তে না পারে, তাই তাঁকে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়। আর মিথ্যে মামলা সাজাতে অমিতকে সাহায্য করেন কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। আর তার জেরেই কলকাতা পুলিশের এই আধিকারিকদের এবং অমিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share