Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Pakistan Drone: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা

    Pakistan Drone: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে পাকিস্তানি ড্রোনের (Pakistan Drone) ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন। আজ ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে একটি পাক ড্রোন। সেই ড্রোনকে গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, একটি পাক ড্রোন মঙ্গলবার সন্ধে ৭টা নাগাদ পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। ড্রোনটিকে আবার বুধবার সকালে ওই জায়গায় দেখা যায়। বিএসএফের তরফে তড়িঘড়ি গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে।

    কী জানা গিয়েছে? 

    এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, ড্রোনটি বেশ কিছুক্ষণ ধরে একটা নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে উড়ছিল। সেনার তরফে একটি ড্রোন দিয়ে ওই ড্রোনটির (Pakistan Drone) উপর নজর রাখা শুরু হয়। তার পরই গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে। এই ঘটনার পরেই পাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি আরও জোরদার করেছে ভারতীয় সেনা।    

    সেনার তরফে জানানো হয়েছে চলতি বছর ভারতে পাক ড্রোনের (Pakistan Drone) আনাগোনা বেড়েছে। এই বছর এই অবধি ২৩০টি ড্রোনকে পাকিস্তানের বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০৪। ২০২০ সালে ছিল ৭৭। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত শুধু পাঞ্জাবেই ২৯৭টি ড্রোন পাকিস্তান থেকে উড়ে এসেছে। পাঞ্জাব ছাড়াও গুজরাট, জম্মু, রাজস্থানে পাক ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতীয় সেনা দাবি করেছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই ড্রোনগুলির মাধ্যমে অস্ত্র এবং মাদক পাচার করে থাকে। 

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোর রাতে পাক সীমান্তে নজরে আসে আরও এক সন্দেহজনক পাক ড্রোন (Pakistan Drone)। ড্রোন থেকে ফেলা ২৫ প্যাকেট মাদক এপারে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার ত‍ৎপরতায় পাক সীমান্তের কাছে ভেঙে পড়ে ড্রোনটি। সেখান থেকে ড্রোনটি নিয়ে যায় পাক সেনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     

     

     

     

  • EPFO: অক্টোবরে ইপিএফও অ্যাকাউন্টের ১৩ লক্ষ নতুন সাবস্ক্রাইবার, বেশিরভাগই ১৮-২১- এর মধ্যে

    EPFO: অক্টোবরে ইপিএফও অ্যাকাউন্টের ১৩ লক্ষ নতুন সাবস্ক্রাইবার, বেশিরভাগই ১৮-২১- এর মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর অক্টোবর মাসে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPFO) ১২.৯ লক্ষ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় ২১,০২৬ জন সদস্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক।  

    ইপিএফও-এর (EPFO) অস্থায়ী বেতনের তথ্য অনুসারে অক্টোবর মাসে মোট ১২.৯ লক্ষ গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে, প্রায় ৭.২ লক্ষ নতুন সদস্য প্রথমবারের মতো ইপিএফও-এর সামাজিক সুরক্ষা কভারের আওতায় এসেছেন। 

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    নতুন সদস্যদের মধ্যে, ১৮- ২১ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি রয়েছেন। সেই সংখ্যা ২.২ লক্ষ। ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১.৯ লক্ষ সদস্য। মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন সদস্যদের মধ্য ৫৭.২%-ই ১৮-২৫ বছর বয়সী।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রায় ৫.৬ লক্ষ সদস্য ইপিএফও (EPFO) ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অনেকেই পুনরায় যোগদান করেন। পে-রোল ডেটার একটি লিঙ্গ-ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে ২০২২ সালের অক্টোবরে ২.৬ লক্ষ মহিলা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১.৯ লক্ষ মহিলা প্রথমবার ইপিএফও-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে মাসিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং হরিয়ানাতেও অক্টোবর মাসে ৭.৭ লক্ষের কাছাকাছি সদস্য যুক্ত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: মৃতদেহের স্তূপ, কাজ করছেন সংক্রমিতরা, চিনের করোনা পরিস্থিতিতে তস্ত্র গোটা বিশ্ব 

    কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড, সাধারণত প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPFO) নামে পরিচিত। এটি একটি অবসর বেনিফিট স্কিম, যা সমস্ত বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য উপলব্ধ। একজন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের অধীনে একটি ইপিএফ অ্যাকাউন্টে তাদের মূল বেতনের প্রায় ১২% পরিমাণ টাকা রাখতে পারেন। আপনার বুনিয়াদি বেতনের পুরো ১২% একটি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। বুনিয়াদি বেতনের ১২% এর মধ্যে ৩.৬৭% একটি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-তে বিনিয়োগ করা হয় এবং বাকি ৮.৩৩% আপনার ইপিএস বা কর্মচারীর পেনশন প্রকল্পে ডাইভার্ট করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুন মাসে এক মর্মান্তিক ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল নামে এক দরজিকে নির্মমভাবে খুন হতে হয় মৌলবাদীদের হাতে। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) এই মামলার দুই প্রধান আসামী, মহম্মদ রিয়াজ আত্রি এবং মহম্মদ গৌস সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে দুই পাকিস্তানি নাগরিকেরও।  

    আরও পড়ুন: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চায় পুতিন

    চলতি বছর জুন মাসে রাজস্থানের উদয়পুরের দরজি কানহাইয়ালালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এমনকী আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কানহাইয়ালালের মাথা কেটে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ গাউস ও রিয়াজ মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    কী জানিয়েছে এনআইএ?   

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (NIA) মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, “হত্যার ভিডিও সারা দেশে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” হত্যার ঘটনাটি প্রথমে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরে এনআইএ এই মামলার তদন্তভার কাঁধে তুলে নেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কার্যকলাপ আইন এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় জয়পুরের একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ওই গোয়েন্দা সংস্থা। 

    এনআইএ- র (NIA) মুখপাত্র আরও বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা, সন্ত্রাসী গ্যাং-মডিউল হিসাবে কাজ করে। প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরেই এই ষড়যন্ত্র।”  

    তিনি (NIA) আরও বলেন, “অভিযুক্তরা উগ্রপন্থী কার্যকলাপ থেকে এবং ভারতের ভিতরে এবং বাইরে প্রচারিত অডিও- ভিডিও বার্তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিল। অভিযুক্তরা পুরো পরিকল্পনা মাফিক হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা কানহাইয়ালালকে এবং তাঁর দোকানে এক সহকর্মীকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের।” 

    এনআইএ (NIA) চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, মোহাম্মদ রিয়াজ আত্তারি, গাউস মহম্মদ, মহসিন খান, আসিফ হুসেন, মহাম্মদ মহসিন, ওয়াসিম আলী, ফরহাদ মহম্মদ শেখ, মহম্মদ জাভেদ, মুসলিম খান ওরফে মুসলিম রাজা এবং পাকিস্তানি নাগরিক সালমান ও আবু ইব্রাহিম। দুজনই করাচির বাসিন্দা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: ১৬৯৮ জন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: ১৬৯৮ জন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার এই চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশেই কার্যত এসএসসি চাকরি প্রাপকদের ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একই প্রার্থীর ওএমআর শিটের মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর আর এসএসসি (SSC Recruitment Scam)-র তালিকায় থাকা নম্বরের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক নজরে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই তথ্য হাইকোর্টে জমাও দেওয়া হয়েছে। বুধবারই ‘গ্রুপ ডি’ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সেই ওএমআর শিট বিকৃতির কথা হাইকোর্টে তুলে ধরেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার নিয়োগ মামলায় ওএমআর বিকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যে সব প্রার্থীদের উত্তরপত্র নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে, এদিনই বেলা তিনটের মধ্যে তাঁদের তালিকা তুলে দিতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নাম, স্কুলের নাম, ঠিকানা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   

    এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “নিয়োগে দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে। আর নয়। এক মুহূর্তও আর চাকরি করবেন না ওই প্রার্থীরা। একদিনও এদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুন: বড়দিনেও জেলে, পার্থ-সুবীরেশদের জামিনের আর্জি খারিজ আদালতের

    কী দাবি করেছে সিবিআই

    সিবিআই- এর আদালতে জমা (SSC Recruitment Scam) দেওয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ওএমআর শিটের নম্বর বদল করা হয়েছে। সিবিআই উদাহরণ তুলে ধরে বলে, “যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৩, তিনি ওএমআর শিটে আসলে পেয়েছেন শূন্য।” গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসার দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান এমন প্রার্থীর সংখ্যা কত। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে ১৬৯৮। তাঁদের সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে বলেন বিচারপতি।  

    পর্ষদ তার জন্য সময় চায়, কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনও সময় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবারই তাই নাম, ঠিকানা জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিনই হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ ডি পরীক্ষার ১০০ টি ওএমআর শিট প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    অভিযুক্তদের (SSC Recruitment Scam) বেতনও ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরকে হিসাব করতে বলুন, এঁদের এখনও পর্যন্ত কত টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। সব ফেরত নিতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Covid in China: চিনে আগামী এক সপ্তাহে শিখরে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Covid in China: চিনে আগামী এক সপ্তাহে শিখরে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid in China) চোখ রাঙানি কমার লক্ষণই নেই। ফি বছর নতুন ঢেউ নিয়ে হাজির হচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ চিন। চিনে সংক্রমণ কমার কোনও নাম নেই। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিবেশী দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানের থেকে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলে অভিযোগ করেছে সে দেশের জনগণ। অভিযোগ, করোনার জেরে চিনে লাগাতার মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে তা স্বীকার করতে রাজি নয় জিনপিং সরকার।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    এরই মধ্যে মহামারি বিশেষজ্ঞদের দাবিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিনে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে আগামী ২ মাসে ৩ টি করোনার (Covid in China) ঢেউ আছড়ে পড়বে। যাতে বহু মানুষ মারা যেতে পারেন। আগামী এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ শিখরে পৌঁছবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ৫ হাজারে। বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, এখন যে ঢেউ আছড়ে পড়েছে সেটি আসলে প্রথম। এরপর আরও ২টি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে মহামারি বিশেষজ্ঞদের অনুমান, রাজধানী বেজিংয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ করোনায় সংক্রমিত। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবন্দি। হাসপাতালগুলিতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের ভিড়।   

    সংক্রমণ এতটাই বেড়েছে যে, সোমবার রাজধানী বেজিংয়ে ২ জনের মৃত্যুও হয়েছে। যদিও করোনায় চিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের শহরগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার মূল কারণ করোনা (Covid in China) ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ওমিক্রনের দুটি উপ-ভ্যারিয়েন্ট, BA.5.2 এবং BF.7 দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রাজধানী বেজিং BF.7-এর সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, BF.7 কে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের আখ্যা দিয়েছে। 

    বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, ওমিক্রনের উপ-ভ্যারিয়েন্টই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, তবে তারা ডেল্টা রূপের মতো বিপজ্জনক নয়। নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে গলায় মারাত্মক সংক্রমণ, শরীরে ব্যথা, হালকা বা খুব বেশি জ্বর হতে পারে। ২২ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আক্রান্ত (Covid in China) হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার চিনবাসী।

    চিন প্রশাসনের দাবি, টিকাকরণের জেরে চিনে (Covid in China) মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে আগামী বছর সে দেশে ১০ লক্ষ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হতে পারে বলে দাবি করেছেন আমেরিকার এক গবেষক। তাঁর দাবি, ২০২৩ সালে চিনে করোনা বিস্ফোরণ হতে পারে।

    চিন প্রশাসনের দেওয়া তথ্য (Covid in China) অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ৬০ বছরের বেশি জনসংখ্যার ৮৭% সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ৮০ বছরের বেশি বয়সী বয়স্কদের মধ্যে মাত্র ৬৬.৪ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid Alert: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, কী কী বিধি জারি করল কেন্দ্র?

    Covid Alert: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, কী কী বিধি জারি করল কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। চিনে ফের আছড়ে পড়েছে কোভিড (Covid Alert) ঢেউ। ভারতেও ইতিমধ্যেই সন্ধান মিলেছে করোনার নয়া প্রজাতির। ঝুঁকি এড়াতে আগাম সতর্কতা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা সহ নতুন কোভিড বিধি লাগু করার পাশাপাশি বিমানবন্দরেও একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। কোভিডের এই নতুন আতঙ্কে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাল গোটা দেশ?  

    বিমানবন্দরে আগত প্রত্যেক যাত্রীর সঙ্গে করোনা (Covid Alert) ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র থাকতে হবে। এছাড়া আগের মতোই করোনা বিধি মেনে বিমানবন্দরে দূরত্ববিধি মেনে চলা, সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কোনও যাত্রীর মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইসোলেট করা হবে।

    আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষা ছাড়া তাজমহলে প্রবেশ নয়, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    কোন রাজ্য কী ব্যবস্থা নিল? 

    • কর্নাটক সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে বদ্ধ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির ক্ষেত্রেও পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।  
    • উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে করোনা (Covid Alert) পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া আগ্রার তাজমহলে প্রবেশ করা যাবে না। 
    • গুজরাটে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তিনজনের হদিশ মেলার পরেই তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যজুরে এক লক্ষ কোভিড বেডের বন্দবস্ত করা হয়েছে। আপাতত গুজরাটে ২৩ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। 
    • দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ বিষয়ে বলেন, “আমি মোটেই আতঙ্কিত নই। এখন রোজ আড়াই হাজার পরীক্ষা হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে দৈনিক এক লক্ষ পরীক্ষা অবধি করা হবে। এই মুহূর্তে আট হাজার কোভিড বেড রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে ছত্রিশ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হবে।”  
    • কেন্দ্রের নির্দেশিকার পর তৎপর পশ্চিমবঙ্গও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আমরা একটি বিশেষ কমিটি গঠন করছি।” গঙ্গাসাগর মেলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “মানুষ কী উৎসব পালন করবে না? এখনও অবধি এখানে কোনও আক্রান্তের খবর মেলেনি। আমরা মানুষকে কোভিড বিধি মেনে চলতে বলব।”
    • মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে প্রত্যেক পুরসভাকে কোভিড পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্ত পাঁচ পয়েন্টের প্ল্যান অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। টেস্ট,ট্র্যাক, ট্রিট, ভ্যাক্সিনেট, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
    • পাঞ্জাব সরকার এখনও কোভিড-বিধি লাগু করতে রাজি নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেতন সিং জৌরামাজরা বলেন, “আমাদের রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৯। ১৬ জেলায় এখনও আক্রান্তের কোনও খবর নেই।”
    • কেরল সরকার সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি জানিয়েছে এখনও ভয়ের কোনও কারণ নেই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশরাও, নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশরাও, নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার থেকে অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশ করা প্রার্থীরাও। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাথমিকের নিয়োগে কেন্দ্রীয় টেট (সিটেট) উত্তীর্ণরাও আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তবে পরবর্তীকালে তাঁদের চাকরির সুপারিশে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে হাই কোর্ট।

    এত দিন রাজ্যে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র রাজ্যের আয়োজিত টেট পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীরাই অংশ নিতে পারতেন। কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের অংশগ্রহণ করার কোনও সুযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পরে তাঁরাও এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই আগে থেকে এই নিয়ম চালু আছে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারেন। কিন্তু এ রাজ্যে এতদিন এই নিয়ম ছিল না। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন এক কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী। মামলার শুনানিতে বৈষম্যের বিষয়টি উল্লেখ করেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এই নির্দেশের ফলে রাজ্যের নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরাও। শেষ পর্যন্ত রাজ্যে চাকরির নিয়োগপত্র তাঁরা হাতে পাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরাই মূলত কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় বসেন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এতদিন কেবল পশ্চিমবঙ্গ কাউন্সিল বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরাই অংশগ্রহণ করতে পারতেন। এবার হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদেরও রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার অনুমতি (Justice Abhijit Gangopadhyay) দেওয়ার পরে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিযোগিতা আরও খানিকটা বাড়ল।

    চাকরিপ্রার্থীদের পাশেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) পর্যবেক্ষণে বলেন, “এই ধরনের কড়া নির্দেশ নতুন কিছু নয়।” এসএসসি হোক বা প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির মামলা, বারবার একাধিক কড়া এবং ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বরাবর। এবারও কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার নির্দেশে তেমনটাই দেখা গেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coronavirus: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    Coronavirus: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই চিন-সহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এ দেশেও। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। এদিন সংসদে বিবৃতি পেশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সংসদে তিনি বলেন, “কোভিড অতিমারি শেষ হয়ে যায়নি। সচেতন থাকুন। তবে দেশের কোভিড (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কোনও আতঙ্কের কারণ নেই।”

    কী বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী?   

    এদিন সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য আরও বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বের বহু দেশে কোভিডের (Coronavirus) কেস বেড়েছে। কিন্তু ভারতে এখনও তেমন প্রভাব পড়েনি। আমরা চিনের ক্রমবর্ধমান কোভিড কেস এবং এর কারণে মৃত্যুর ওপর নজর রাখছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সক্রিয়। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা করেছে। এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন শট দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি। রাজ্যগুলিকে কোভিডের নতুন রূপ শনাক্ত করতে জিনোম-সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” 

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “উৎসব এবং নতুন বছরের মরশুমের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যগুলিকে বুস্টার ডোজ (Coronavirus) সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে সচেতন করতে হবে। আমরা দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে র‍্যান্ডম আরটিপিসিআর স্যাম্পলিংও শুরু করেছি। আমরা মহামারি মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে কোভিড এখনও শেষ হয়ে যায়নি।”

    আরও পড়ুন: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের (Coronavirus) ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে ভারতে। ওড়িশা এবং গুজরাটে মোট ৪ জনের দেহে ওমিক্রন বিএফ.৭-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওমিক্রনের আগের রূপের মতোই এটিও তীব্র সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পর্যালোচনা বৈঠকে মূলত বুস্টার টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ দু’টি টিকা নিলেও এখনও পর্যন্ত তৃতীয় টিকা বা বুস্টার নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ।

    ভারতে ওমিক্রন বিএফ.৭ -এর (Coronavirus) প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে অক্টোবর মাসে। গুজরাটের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে ধরা পড়ে ওই ভ্যারিয়েন্ট। এর পরে মোদির রাজ্যেই আরও এক আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এ ছাড়া, ওড়িশায় ২ জনের দেহে ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Jitendra Tiwari: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    Jitendra Tiwari: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনই গ্রেফতার করা যাবে না বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে। জিতেন্দ্র-জায়াকে (Jitendra Tiwari) রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তাঁকে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে বলেও পরিষ্কার জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এছাড়া সপ্তাহে ২ দিন ২ ঘণ্টা করে তাঁকে তদন্তকারীরা জেরা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

    কী বলেছে আদালত? 

    আদালতের তরফে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, পদপিষ্ট হয়ে যেখানে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে তদন্তে সহযোগিতা করতেই হবে। তবে চৈতালি তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) ৩ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন তিনি। এছাড়া সোমবার ও শনিবার ২ ঘণ্টা করে চৈতালিদেবীকে জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও 

    উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর নিজের ওয়ার্ডে এক শিবচর্চা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। সেই অনুষ্ঠানে ৫,০০০ কম্বল বিতরণ করার কথা ছিল। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মঞ্চ থেকে নামতেই, ওই এলাকায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১ নাবালিকাসহ মোট ৩ জনের। সেই ঘটনায় চৈতালি তিওয়ারি সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তার পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার চৈতালিদেবীকে জেরা করতে আসানসোলে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু বুধবার থেকেই সেই বাড়িতে তালাবন্ধ। ফলে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। 

    ওই মামলায় নাম থাকা আরও কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচের ফলে এই মামলায় চৈতালিকে (Jitendra Tiwari) এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। তবে তাঁকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলেই হাজিরা দিতে হবে চৈতালিকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

  • Kolkata Dengue: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও

    Kolkata Dengue: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত পড়লেই ডেঙ্গি উধাও হয়ে যাবে। তখন আর চিন্তা করতে হবে না। বিধানসভায় দাড়িয়ে মাস খানেক আগে এমনই অভয় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি বেশ অন্যরকম। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ডেঙ্গির (Kolkata Dengue) চোখ রাঙানি রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, বিপদ কিন্তু বাড়বে।  

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেখা গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে দৈনিক আক্রান্ত ছিলো ১৮৯ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে হয় ১৯২ জন। চলতি সপ্তাহেও দৈনিক সংক্রমণ (Kolkata Dengue) শতাধিক হয়েছে বলেই আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শীতে মশার (Kolkata Dengue) দাপট কমে। আবহাওয়ার তারতম্যের জেরেই মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ কমে। শীতে মশার প্রজনন শক্তি কমে যায়। আর মশা মূলত বংশবিস্তারের জন্য কামড়ায়। তাই শীতে মশা বিশেষ উৎপাত নেই। কিন্তু এই ডিসেম্বরে কিন্তু মশার দাপট অব্যহত।

    কী বলেছে আবহাওয়া দফতর? 

    আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রির কম হয়নি। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের জায়গায় তাপমাত্রার পারদ বিশেষ নামেনি। তাছাড়া ঘূর্ণাবর্তের জন্য কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে সে নিয়েও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে, মশার (Kolkata Dengue) বংশবিস্তারে অনীহা দেখা যাচ্ছে না। তাই মশাবাহিত রোগের থেকেও মুক্তি ঘটছে না।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি মুক্তির জন্য এই সময় আদর্শ হওয়া উচিত। কারণ, এখন বৃষ্টির প্রকোপ কম। তাই আশেপাশে পরিষ্কার করা সহজ। যেসব জায়গায় নোংরা জমা থাকে, সে সব জায়গা শুকনো সময়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়। তাছাড়া নর্দমা পরিষ্কার করা জরুরি যাতে মশা (Kolkata Dengue) জন্মাতে না পারে। এলাকার যে সব জায়গায় জল জমে, সেগুলো ভরাট করার কাজ করা যায়। শীতে মশার দাপট কমাতে পারলে, পরিকাঠামোর উন্নতি করতে পারলে, তবেই ডেঙ্গির নতুন করে বাড়বাড়ন্ত রুখতে পারবে।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় আসছেন মোদি, হাওড়ায় করবেন জনসভা, রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    যদিও বাস্তবে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো বা এলাকা পরিষ্কারের (Kolkata Dengue) মতো সাধারণ কাজগুলোও ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অধিকাংশ পুরএলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন। অনেকেই মনে করেছেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলে দিয়েছেন শীতকালে চিন্তা নেই, সেখানে প্রশাসনের সাধারণ কর্মীরা কাজ করতে কীভাবে তৎপর হবে? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, মানুষকেই সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। কারণ, শীতে অনেকেই ভাবেন ডেঙ্গি হবে না। তাই জ্বর থাকলেও রক্ত পরীক্ষায় অনীহা দেখা যায়। কিন্তু সময় নষ্ট করলেই বিপদ। জ্বর (Kolkata Dengue) হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি কিনা যাচাই করতে হবে। কারণ, শীতের আমেজ আসলেও ডেঙ্গি থেকে রাজ্যবাসীর রেহাই নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share