Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • UGC: চার বছরের স্নাতকের পরেই পিএইচডির সুযোগ, নতুন নিয়ম আনছে ইউজিসি

    UGC: চার বছরের স্নাতকের পরেই পিএইচডির সুযোগ, নতুন নিয়ম আনছে ইউজিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে ভারতীয় শিক্ষানীতিতে। পরিবর্তিত শিক্ষানীতিতে, পিএইচডি করার জন্যে আর মাস্টার্স বাধ্যতামূলক থাকবে না। চার বছরের স্নাতক কোর্সের পরেই যোগ দেওয়া যাবে গবেষণার কোর্সে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, চার বছরের স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা সরাসরি পিএইচডি করতে পারবেন। তাদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রির প্রয়োজন হবে না।   
     
    চার বছরের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের (এফওয়াইইউপি) সুবিধার কথা জানিয়ে এম জগদেশ কুমার (UGC) বলেন, “প্রথম সুবিধা হল পিএইচডি প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য তাদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। তারা এর জন্য একটি সিঙ্গেল বা ডাবল মেজরও নিতে পারে।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    ইউজিসি (UGC) চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার এও জানিয়েছেন যে, চার বছরের স্নাতক প্রোগ্রাম সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত তিন বছরের স্নাতক কোর্সটি বন্ধ করা হবে না। তিনি আরও বলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তিন বা চার বছরের প্রোগ্রামের (এফওয়াইউপি) মধ্যে বেছে নেওয়ার বিকল্প দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য অনার্স ডিগ্রির চার বছরের প্যাটার্নে স্থানান্তর করা বাধ্যতামূলক হবে কি না। ইউজিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

    কী সেই নতুন নিয়ম? 

    সম্প্রতি অনার্স ডিগ্রি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন (UGC)। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে বদলে যাচ্ছে অনার্স ডিগ্রির নিয়ম। এতদিন পর্যন্ত অনার্স কোর্সের মেয়াদ ছিল তিন বছর। নতুন শিক্ষবর্ষ থেকে তিন বছরের বদলে চার বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এই সংক্রান্ত নতুন নিয়মের খসড়াও তৈরি করেছে তারা।

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ‘কারিক্যুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক ফর ফোর-ইয়ার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামস’ নামে খসড়া প্রস্তাবটি তৈরি করা হয়েছে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) নতুন নিয়মের কথা ঘোষণা করবে। 

    খসড়া প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ৩ বছরে স্নাতক হতে গেলে শিক্ষার্থীকে ১২০ ক্রেডিট পয়েন্ট লাভ করতে হবে। অন্য দিকে, ৪ বছরে স্নাতক হতে গেলে শিক্ষার্থীর ১৬০ ক্রেডিট পয়েন্ট প্রয়োজন। খসড়া প্রস্তাবটিতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও পড়ুয়া ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চান, তবে তাদের চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি (UGC) চলাকালীনই রিসার্চ প্রজেক্ট বেছে নিতে হবে। এতে তারা কোর্সের মেয়াদ শেষে রিসার্চ স্পেশালাইজেশনের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি পাবেন।

    বর্তমানে যারা ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেমে’ তিন বছরের অনার্স ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছেন এবং পড়াশোনা করছেন, তাঁরা চাইলে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রিতে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের (UGC) তরফে অফলাইন ও অনলাইনে ক্লাস সহ একাধিক পদ্ধতিতে দুই কোর্সকে মিলিত করে দেওয়া হতে পারে।

    আবার এই নতুন নিয়মের প্রস্তাবে পড়ুয়াদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যেমন-ইউজিসি-এর (UGC) তরফে জানানো হয়েছে, চার বছরের অনার্স কোর্স পড়ার মাঝে কোনও পড়ুয়া যদি পড়াশোনা ছেড়ে দেন ও তবে তিনি পরে আবার তা শুরু করার সুযোগ পাবেন। তবে অনার্স কোর্স ছেড়ে যাওয়ার তিন বছরের মধ্যে তা শুরু করতে হবে। আবার কোর্সটি শেষ করার জন্য পড়ুয়া ৭ বছর সময় পাবেন।

    এছাড়াও পড়ুয়ারা চাইলে দ্বিতীয় সেমেস্টারে নিজেদের স্নাতক ডিগ্রির মূল বিষয় পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন। কোনও পড়ুয়া চাইলে একসঙ্গে দুটি বিষয় নিয়েও স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে পারবেন। স্নাতক ডিগ্রির জন্য পড়ুয়াদের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে।

    খসড়া প্রস্তাবে (UGC) বিভিন্ন শাখা, অন্যান্য কোর্স ও তার নিয়ম নিয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষার কোর্স, পরিবেশ শিক্ষা,  ডিজিটাল ও প্রযুক্তিগত সমাধান, স্বাস্থ্য, যোগশিক্ষা, ক্রীড়া ও শরীরচর্চা নিয়েও কোর্সের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • AIIMS cyber attack: এইমস সাইবার হামলায় চিনা যোগ? কী বলছেন তদন্তকারীরা

    AIIMS cyber attack: এইমস সাইবার হামলায় চিনা যোগ? কী বলছেন তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে হামলায় (AIIMS cyber attack) রয়েছে চিনা যোগ। বুধবার এমনটাই নিশ্চিত করলেন সরকারি আধিকারিকরা। সরকারি আধিকারিক আরও জানান, হ্যাক হওয়া পাঁচটি সার্ভারের তথ্য পুনরুদ্ধার করেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, “এইমস-এর ওপর হওয়া সাইবার হামলার নেপথ্যে ছিল চিন। এফআইআর-এ এই সংক্রান্ত পূর্ণ তথ্য রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে এই হামলা চিন থেকে করা হয়। এইমস-এর ১০০টি সার্ভারের মধ্যে ৫টি সার্ভারে হ্যাক করেছিল হ্যাকাররা। আরও ক্ষতি হতে পারত এই হ্যাকের কারণে। কিন্তু সেই ক্ষতি আটকানো সম্ভব হয়েছে। হামলার শিকার হওয়া ৫টি সার্ভারের তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।”

    তথ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে 

    প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর সাইবার হামলার (AIIMS cyber attack) বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল দিল্লি এইমস। সাইবার হামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই সার্ভারের নিরাপত্তায় নিযুক্ত দুই কর্মীকে সাসপেন্ড করেছিলএইমস কর্তৃপক্ষ। সেই হামলার প্রায় তিন সপ্তাহ পর তথ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। একটি বিবৃতিতে এইমস কর্তৃপক্ষ জানায়, সার্ভারে ই-হাসপাতালের তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। নতুন করে পরিষেবা চালু করার আগে নেটওয়ার্ককে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। কারণ তথ্যের পরিমাণ অনেক। পাশাপাশি হাসপাতালের সার্ভারের সংখ্যাও অনেক। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্যও সাইবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।    
     
    এইমস-এর (AIIMS cyber attack) বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আপাতত আউটডোর, ইনডোর, ল্যাব পরিষেবা ম্যানুয়াল মোডে চলছে।” ডিসেম্বরের শুরুতে, দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল এইমসে সাইবার হামলার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবের একটি দলকে সাইবার হামলার উৎস সনাক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সংক্রামিত সার্ভার পরীক্ষা করেই সিএফএসএল জানায়, এই হামলা চিন থেকে চালানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ছাপরা বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

    প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শেষে সাইবার হানা হয় দিল্লি এইমসে (AIIMS cyber attack)। হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা দাবি করে। সাইবার হামলায় একপ্রকার থমকে যায় হাসপাতালের অনলাইন পরিষেবা। জরুরি, বহির্বিভাগ এবং ল্যাবরেটরি ম্যানুয়ালি পরিচালনা করা হয়। সপ্তাহে খানেকের বেশি সার্ভার ডাউন ছিল।

    ঘটনার পর আশঙ্কা করা হচ্ছিল ৩-৪ কোটি রোগীর তথ্য ফাঁস হতে পারে (AIIMS cyber attack)। এইমসের সার্ভারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, আমলা, বিচারক-সহ বহু ভিআইপির রোগীর তথ্য রয়েছে। তা উদ্ধারেই তদন্তকারী সংস্থার সুপারিশে হাসপাতালের কম্পিউটারে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত ২৫ নভেম্বর দিল্লি পুলিশে সাইবার সন্ত্রাসের মামলা নথিভুক্ত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chapra Hooch Tragedy: ছাপরা বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

    Chapra Hooch Tragedy: ছাপরা বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের চোলাই মদ কাণ্ডে (Chapra Hooch Tragedy) বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এখন অবধি বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনার জেরে বুধবার উত্তপ্ত হয় বিহার বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধী বিজেপি বিধায়কেরা। আর এরই মাঝে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। নীতিশ বলেন, “মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। যে মদ খাবে, সে মরবে।” নীতিশ কুমারের ওই মন্তব্য নিয়ে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। জেডিইউ প্রধান আরও বলেন, “এর আগে যখন চোলাই মদে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, তখন মৃতদের পরিবারকে উপযুক্ত অর্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আগের ঘটনা মনে করে এবার প্রত্যেকের সজাগ থাকা উচিত ছিল।”

    আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে পারদপতন শহরে, জেলাতেও জাঁকিয়ে শীত

    সম্প্রতি বিহারের সারান জেলার ছাপরায় বিষমদ খেয়ে অনেকে অসুস্থ (Chapra Hooch Tragedy) হয়ে পড়েন ৷ আপাতত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেকে অসুস্থ৷ বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা ৷ এই নিয়ে বুধবার বিহার বিধানসভায় হইহট্টগোল হয় ৷ যার জেরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মেজাজ হারান৷ এরই মাঝে আরও এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন নীতিশের মন্ত্রীসভার সদস্য শিল্পমন্ত্রী সমীর মহাশেঠ। শিল্পমন্ত্রীর বলেন, ‘‘বিষ খেয়ে মানুষ মারা গেলে বিহারে কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এই ভাবে, বিহার উপরে উঠতে পারবে না৷ মানুষের মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করলে, তা হবে সবচেয়ে ভালো।’’ 

    তিনি আরও বলেন, “বিহারে বিষ আসছে, তা মন্ত্রীরা আগেই জানেন। অনেক আগেই রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ (Chapra Hooch Tragedy) হওয়ায় প্রশাসনের ফাঁকফোকরের দায় কে নেবে? রাজ্যে মদ নিষিদ্ধের কৃতিত্ব যদি সরকার নিতে পারে, তাহলে নকল মদের কারণে মৃত্যুর দায় কে নেবে?” শিল্পমন্ত্রীর এই মন্তব্যে যে অস্বস্তিতে নীতিশ সরকার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    ছাপরাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় বিরোধীরা বার বার স্লোগান তুললে এক সময় মেজাজ হারান নীতীশ। উত্তেজিত স্বরে তিনি বলেন, “তো কী হয়েছে? তোমরা মাতাল (Chapra Hooch Tragedy) হয়ে গিয়েছ।” নীতীশের এমন মন্তব্যের পরেও স্লোগান দেওয়া চালিয়ে যান বিরোধী বিধায়কেরা। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন। সে সময় বিজেপির সহযোগী ছিলেন তিনি। কাগজে-কলমে বিহারে মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কয়েক বছরে একাধিক বার বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিহারে।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Delhi Accident: দিল্লিতে ফুটপাতে থাকা তিন শিশুকে ধাক্কা বেসামাল গাড়ির, সিসিটিভি ফুটেজে ভয়ঙ্কর দৃশ্য

    Delhi Accident: দিল্লিতে ফুটপাতে থাকা তিন শিশুকে ধাক্কা বেসামাল গাড়ির, সিসিটিভি ফুটেজে ভয়ঙ্কর দৃশ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানীতে আবার ঘটল হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা! দুর্ঘটনার (Delhi Accident) শিকার তিন শিশু। রাস্তার পাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে রোদ পোয়াচ্ছিল তিন শিশু। হঠাৎ করেই বেসামাল গাড়ি উঠে যায় ফুটপাতে। গাড়িটি ছিল একটি মারুতি গাড়ি। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয় ওই তিন শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির গুলাবিবাগ এলাকায়। এই মর্মান্তি ঘটনার ভিডিও ওই এলাকার সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে।  

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির (Delhi Accident) প্রতাপনগরের বাসিন্দা গাজেন্দ্রর গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছে ওই তিন শিশু। বয়স যথাক্রমে ১০ বছর, ৬ বছর এবং ৪ বছর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই গজেন্দ্রর গাড়িটি ফুটপাতে চলে আসে এবং সেই গাড়ির ধাক্কায় তিন শিশু গুরুতর আহত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। আহত শিশুদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তারা বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় ইতিমধ্যে গজেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পোষ্য নিয়ে বিমানে উঠতে বাধা, এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বেঙ্গালুরুর পরিবার

    কী ঘটে?     

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য,দুর্ঘটনাটি ঘটে সকাল নটার সময়। সিসিটিভি (Delhi Accident) ফুটেছে দেখা গিয়েছে, গুলাবি বাগের লীলাওয়াতি স্কুলের পাশ দিয়ে মারুতি ব্রিজা গাড়িটি চালিয়ে আসছিলেন গজেন্দ্র। দ্রুতগতিতে আসা গাড়িটি হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে যায়। তারপরই ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা তিন শিশুকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গুরুতর আহত হয় ওই তিন শিশু। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। অন্যদিকে, গজেন্দ্রর গাড়ি ধরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। এরপরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, এলাকার বাসিন্দারা গজেন্দ্রকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

     

    গজেন্দ্র মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ এক প্রত্যক্ষদর্শীর। তাঁর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গজেন্দ্রকে ইতিমধ্যে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CJI DY Chandrachud: “অনার কিলিং- এর নামে প্রতিবছর এ দেশে শয়ে শয়ে মানুষ খুন হয়”, উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    CJI DY Chandrachud: “অনার কিলিং- এর নামে প্রতিবছর এ দেশে শয়ে শয়ে মানুষ খুন হয়”, উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে অনার কিলিং- এর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “পরিবারের অমতে বিয়ে করার জন্য প্রতিবছর দেশে শত শত ছেলে-মেয়েকে হত্যা করা হয়। দেশে জাতিভেদ এখনও ভীষণভাবে প্রকট।”  

    কী বলেন প্রধান বিচারপতি?

    তিনি (CJI DY Chandrachud) আরও বলেন, “সচেতনতা তৈরি করেও অনার কিলিং যে রোখা যাচ্ছে না ভারতে। দেশ এগিয়ে গেলেও জাত-পাতের ভেদাভেদ যে এখনও মেটেনি। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ অনার কিলিং। প্রতিবছরই ভারতের একাধিক জায়গায় অনার কিলিং- এর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। পরিবারের অমতে গিয়ে ভিন জাতের ছেলেকে বিয়ে করে পরিবারের রোষের মুখে পড়ে মেয়েরা। যার পরিণতি মৃত্যু।” 

    সম্প্রতি অনার কিলিংয়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশে। কিছুতেই এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। তিনি বলেন, “এইসব মামলা কোর্ট পর্যন্ত গড়ালেও, শেষ পর্যন্ত বলি হয়ে যায় মেয়েরাই। যাঁরা এই ধরনের ঘটনা ঘটান তাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নেন।” 

    প্রধান বিচারপতি (CJI DY Chandrachud) আরও বলেন, “আইন রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন থাকলেও অনার কিলিংয়ের নামে প্রতিবছর যেভাবে একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটে তা আইনের রক্ষকদের প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। কিছু মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে ভালোবাসেন। তাঁদের কাছে পরিবারের সম্মান রক্ষার বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে তারা প্রাণ নিতেও পিছপা হয় না।”

    আইন এবং নৈতিকতা- প্রসঙ্গে ভাষণে ১৯৯১ সালে একটি মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত অনার কিলিং- এর ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি (CJI DY Chandrachud)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি মেয়ে ২০ বছরের এক যুবকের সঙ্গে ঘর ছাড়েন। যুবকটি নিম্নবর্ণের ছিলেন। এর জেরেই গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকেরা তাঁদের হত্যা করে। এই খুনকে ন্যায়সঙ্গত বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন ওই উচ্চবর্ণের গ্রামবাসীরা। কারণ তাঁরা মনে করতেন সামাজিক আচরণবিধি মেনে এই কাজ করা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে শাস্তি! গ্রেফতার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী

    তিনি (CJI DY Chandrachud) আরও বলেন, “দলিত সম্প্রদায়কে সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছি্ন্ন করতে পোশাককেও হাতিয়ার করা হয়েছে। ভারতের সংবিধানে সকলের সমান অধিকার। তারপরেও জাতিভেদ প্রথার মতো বিষয় রয়েছে এই দেশে। সংববিধান প্রদত্ত অধিকারকে সামাজিক নৈতিকতার দোহাই দিয়ে খর্ব করা যায় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

         

  • Measles: ভারতে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার, মৃত্যু ৪০ জনের

    Measles: ভারতে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার, মৃত্যু ৪০ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামে (Measles) আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১২ ডিসেম্বর অবধি দেশজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১০,৪১৬ জন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। সংসদেও উঠেছে বিষয়টি।

    কী বললেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী? 

    শুক্রবার সংসদে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, “মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা (Measles) সব থেকে বেশি, ৩০৭৫। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এরপরেই তালিকায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড। আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৮৩। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।” ২০২২ সালের নভেম্বরে হামের বাড়বাড়ন্ত হয় দেশজুড়ে। সবচেয়ে বেশি এই রোগ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট এবং কেরলে।

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত (Measles) শিশুদের অধিকাংশই প্রতিষেধকহীন, এবং আক্রান্ত অঞ্চলে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক প্রদানের পরিমাণ জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত নয়। অতিমারির শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্য বিশেষজ্ঞরাও বারংবার সতর্ক করেছিলেন, যাতে কোনও ভাবেই জাতীয় প্রতিষেধক প্রদানের কর্মসূচিটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্যথায় যে রোগগুলির প্রকোপ প্রতিষেধকে নির্মূল হয়েছে, তা ফের ফিরে আসবে। অতিমারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিষেবা। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। 

    হাম (Measles) হল মরিবিলিভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এই ভাইরাস সবার প্রথমে রোগীর শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। কাশি এবং হাঁচির দ্বারা এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত রোগীর ব্যবহার করা জিনিসে হাত দিয়ে সেই হাত চোখে কিংবা মুখে দিলে অপর ব্যক্তির শরীরে অনাসায়ে প্রবেশ করে হামের ভাইরাস। মূলত শিশুদের এই রোগ হয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত? নেপথ্যে কর জটিলতা 

    এখনও অবধি সেই অর্থে হামের (Measles) কোন ওষুধ নেই। যত্ন এবং সুষম আহার ধীরে ধীরে সুস্থ করে তুলতে পারে রোগীকে। সচেতন না হলে নিউমোনিয়ে, ব্রঙ্কাইটিস, কাশি, পেটের গণ্ডগোল নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায়।

    হাম (Measles) বা বসন্তের প্রতিকার বলতে একমাত্র টিকাকরণ। বিগত দুই বছরে করোনার জেরে হাম, রেবেলা, মাম্পসের টিকাকরণের কাজ ব্যহত হয়েছে। যার কারণে মারাত্মক ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। তবে পর্যাপ্ত ভাবে যদি হাইজিনের বিষয়টা মাথায় রাখা যায় তা হলেও অনেক ক্ষেত্রে উপকার হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ICC ODI World Cup 2023: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত? নেপথ্যে কর জটিলতা

    ICC ODI World Cup 2023: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত? নেপথ্যে কর জটিলতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩- এ এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) আয়োজক দেশ হওয়ার কথা ভারতের। এই অবধি এমনটাই ঠিক রয়েছে। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুববে না তো! জল্পনা তৈরি হয়েছে ভারত থেকে নাকি বিশ্বকাপ সরিয়েও নিতে পারে আইসিসি। এমনটা হলে দায়ী হবে কর সংক্রান্ত জটিলতা। বিভিন্ন রিপোর্ট মারফত জানা যাচ্ছে হোস্টিং রাইটস হারাতে পারে ভারত। ভারত থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া ছাড়া হয়তো কোনও উপায় নেই খোলা নেই আইসিসি’র সামনে।

    কী জটিলতা? 

    জানা গিয়েছে কর ছাড় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারত সরকারের কাছে করে ছাড় চেয়েছে আইসিসি (ICC ODI World Cup 2023)। কিন্তু তাতে রাজি নাও হতে পারে কেন্দ্র। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরিয়ে নিতে পারে আইসিসি। ২০১৬ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ও কর ছাড় সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছিল।

    ভারতের ট্যাক্স অথরিটির কাছ থেকে অন্তবর্তীকালীন ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়ার পরই ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এই দেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি (ICC ODI World Cup 2023)। ভারতের রাজস্ব ভাগ থেকে ১০.৩ শতাংশ সারচার্জ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আইসিসিকে এবং সেই মামলা এখনও লড়ছে বিসিসিআই। ২০২৩ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও আরও একটি অন্তবর্তীকালীন ট্যাক্স বেনিফিট পেয়েছে আইসিসি। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে বিষয়টিতে খুশি নয় বিসিসিআই।

    আইসিসির (ICC ODI World Cup 2023) নীতি অনুযায়ী যে দেশে আইসিসির ইভেন্ট আয়োজিত হবে সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে কর ছাড়ের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। বিসিসিআই ইতিমধ্যেই আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে তাদের এবার কিছু করার নেই। ২০১৬ সালেও কর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়নি ভারত সরকার। এর ফলে ১৯০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বিসিসিআই-এর। সরকার ছাড় না দেওয়ায় বিসিসিআই-এর রেভিনিউ থেকে সেই অর্থ কেটে নেয় আইসিসি। ২০২৩ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারত সরকার। এই জটিলতায় এখনও অনিশ্চয়তায় বিশ্বকাপের ভাগ্য।

    আরও পড়ুন: “টাইম হো গ্যায়া”, শাহী সাক্ষাতের পরই রহস্যময় ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    এদিকে এরই মাঝে বড় ঘোষণা করলেন বিসিসাই (ICC ODI World Cup 2023) সচিব জয় শাহ। জয় শাহ জানিয়েছেন, পাকিস্তানে আসন্ন সংস্করণের এশিয়া কাপে অংশ নিতে না-ও যেতে পারে ভারতীয় দল। পাশাপাশি এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে। দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলাও বন্ধ করেছে দুই দেশ। এরই মাঝে জয়ের এই ঘোষণায় উত্তাল হয় ক্রিকেট বিশ্ব। 

    জয় শাহের (ICC ODI World Cup 2023) মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা বলেন, “নিজের ইচ্ছামতো সব কিছু করতে পারে না বিসিসিআই। পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এশিয়া কাপে দল না পাঠালে ভারতের মাটিতে হতে চলা ২০২৩ বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক দেবে পাকিস্তান।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mysterious Light: কলকাতার আকাশে রহস্যময় আলো, কীসের সংকেত?

    Mysterious Light: কলকাতার আকাশে রহস্যময় আলো, কীসের সংকেত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার আকাশে রহস্যময় আলো (Mysterious Light)! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের আকাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা গেল আলোর আভা। যা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে। কলকাতা-সহ বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শুরু করে বর্ধমান বা উত্তর ২৪ পরগনা, সর্বত্রই এই আলো দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    শীত পড়তে না পড়তেই দিন ছোট হতে শুরু করেছে। বিকেল ৫ টার পরেই ডুবে যাচ্ছে সূর্য। এদিন বিকেল সাড়ে ৫ টার আশপাশে অর্থাৎ সন্ধ্যার আকাশে আলো (Mysterious Light) দেখতে পান বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। কেউ বলছেন কয়েক মুহূর্ত দেখা গিয়েছে ওই আলো, কেউ বলছেন আকাশে প্রায় তিন মিনিট ধরে আলো দেখা গিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন। অনেকেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইতিমধ্যেই। 

    কী জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? 

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আলোর তীব্রতা ছিল অত্যন্ত বেশি, দেখতে অনেকটা সার্চ লাইটের (Mysterious Light) মতো। আলোর ফোকাস ছিল ওপরের দিকে। অন্ধকার আকাশ রীতিমতো কয়েক মুহূর্তের জন্যে আলোয় ভরে যায়। এই রহস্যময় আলো নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কেউ উল্কাপাতের সম্ভাবনার কথা বলছেন, কারোর মনে হয়েছে কোনও বিমানে আগুন লেগে গিয়ে থাকতে পারে। একটিই উৎস থেকে আলো আসছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আলোর উৎস সম্পর্কে সঠিক করে কিছু জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: চার বছরের স্নাতকের পরেই পিএইচডির সুযোগ, নুতুন নিয়ম আনছে ইউজিসি    

    কলকাতার ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের ডিরেক্টর দেবী প্রসাদ দুয়ারী বলেন, “ছবি দেখে তাঁর মনে হয়েছে, এটি কোনও উল্কাপাত নয়। উল্কাপাতে সাধারণত এত তীব্র আলো (Mysterious Light) দেখা যাওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া উল্কাপাত হয় কয়েক মুহূর্তের জন্য, তাই এতগুলি জায়গা থেকে একসঙ্গে প্রায় ৩ মিনিটের জন্য সেই দৃশ্য দেখা যাওয়া সম্ভব নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • KIFF 2022: মঞ্চে অমিতাভ-জয়া, পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শাহরুখ ছাড়াই শুরু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    KIFF 2022: মঞ্চে অমিতাভ-জয়া, পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শাহরুখ ছাড়াই শুরু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র (KIFF 2022) উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। তারকা ঠাসা অনুষ্ঠানে পৌঁছতে দেরি হয় বলিউডের কিং খানের। তাঁকে ছাড়াই অমিতাভ-জয়া এবং বাংলা ইন্ডাস্ট্রির তাবড়-তাবড় অভিনেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয়ে যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পরে অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহরুখ। গত ২ বছরের কোভিড ঝড় কাটিয়ে এবার পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এর আগের দু বছর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এদিন দুপুরেই কলকাতায় পৌঁছেছেন অমিতাভ বচ্চন। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা।

    আরও পড়ুন: ছাপরা বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

    বৃহস্পতিবার (KIFF 2022) দুপুর ৩টেয় কলকাতায় পৌঁছনোর কথা ছিল শাহরুখ খানের। ২০১৯- এর মতো এবারও করলেন দেরি। শাহরুখ বিমানবন্দরে পা রাখলেন বিকেল ৪.১০ নাগাদ। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি আসেন নেতাজী ইন্দোর স্টেডিয়ামে। তাঁকে ছাড়াই ৪.৩০ মিনিটে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে স্টেডিয়ামে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তারকাখচিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবের (KIFF 2022) উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির হন রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোস। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়া বচ্চন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেশ ভাট, শত্রঘ্ন সিনহা, কুমার শানু, চঞ্চল চৌধুরী, অরিজিৎ সিং, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, রঞ্জিত মল্লিক, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে।       

    এবার চলচ্চিত্র উৎসবে (KIFF 2022) ৫৭ টি দেশের ১০৭৮ টি ছবি জমা পড়েছিল। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে ৪২ টি দেশের ১৮৩ টি ছবি। ১৪ টি বিভাগে ১০ টি ভেনুতে থাকছে ২৩১ টি ছবি। প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে থাকছে ৬৬ টি ছবি। ন্যাশনাল কম্পিটিশনে ১৪, ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশনে ১৪, এশিয়ান সিলেক্ট ৮, শর্ট ফিল্মস ২০, ডকুমেন্টারি ১০ টি ছবি প্রদর্শিত হবে। এবছর বিশেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে প্রখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার, প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, শিব কুমার শর্মা ও অ্যাঞ্জেলা লান্সবারিকে। শতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হবে দিলীপ কুমার, অসিত সেন, হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, আলি আকবর খাঁ, কে আসিফকে। যুব সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করতে এবার চলচ্চিত্র উৎসবে যুক্ত হয়েছে নতুন বিভাগ, গেম অন, যে বিভাগে প্রদর্শিত হবে খেলা সংক্রান্ত ছবি। সেই তালিকায় রয়েছে কোণি, ম্যারি কম, চকদে ইন্ডিয়া ও ভাগ মিলখা ভাগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shalini Chouhan: ছাত্রী সেজে কলেজ- র‍্যাগিং- এর পর্দাফাঁস মহিলা পুলিশ অফিসারের

    Shalini Chouhan: ছাত্রী সেজে কলেজ- র‍্যাগিং- এর পর্দাফাঁস মহিলা পুলিশ অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছদ্মবেশে বাজিমাত। ডাক্তারি পড়ুয়া সেজে র‍্যাগিং রহস্যের সমাধান। এমনই ঘটনা ঘটেছে ইন্দোরের এমজিএম মেডিক্যাল কলেজে। তিন মাস ছাত্রী সেজে মেডিক্যাল কলেজের যত্রতত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। নাম শালিনী চৌহান (Shalini Chouhan)। বয়স ২৪ বছর। তাঁর ছাত্রীসুলভ চেহারায় কারোর বিন্দুমাত্রও সন্দেহ হয়নি। মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিন থেকে ক্লাসরুম, তাঁর যাতায়াত ছিল সর্বত্র। পরনে জিন্‌স, টপ। চালচলনেও আধুনিক ছোঁয়া। যেচেই কথা বলতেন কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে আড্ডা জমে উঠত মুহূর্তেই। কাঁধে থাকত ঝোলা ব্যাগ। তাতে থাকত ঠাসা বই।

    কেউ ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি এই তরুণী (Shalini Chouhan) আদতে ওই কলেজের কেউ নন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে তাঁর দূর-দূরান্তেও কোনও যোগাযোগ নেই। সংযোগিতাগঞ্জ থানায় কর্মরত শালিনীকে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি মামলার রহস্য সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর সিনিয়ররা। বাণিজ্যের ছাত্রী শালিনী। সদ্য পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। চাকরি পাওয়ার পরেই তাঁর কাঁধে এই গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে। এমজিএম কলেজে র‌্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন থানার অফিসার ইন চার্জ তেহজ়িব কাজ়ি এবং সত্যজিৎ চৌহান। তাঁদের মনে হয় এই কাজের জন্যে শালিনীই উপযুক্ত পছন্দ। তাঁর চেহারা, বয়স সবটাই ছাত্রী হিসেবে মানিয়ে যায়। কারোর সন্দেহও হবে না। তাঁরাই শালিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন,  সবসময় পাশে থেকেছেন। কোন কোন ছাত্রের উপর নজর রাখতে হবে, শালিনীকে তা বুঝিয়েও দিয়েছেন।

    এমজিএম মেডিক্যাল কলেজে গত জুলাই মাসে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষের একদল ছাত্র র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। প্রমাণের অভাবে কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, পুলিশ তা শনাক্ত করতে পারছিল না। এরপরেই নেওয়া হয় এই অভিনব পন্থা। সংযোগিতাগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ বলেন, “মামলাটি বন্ধ করে দিতে হয় প্রমাণের অভাবে। আমাদের কাছে কোনও সূত্র, কোনও তথ্য ছিল না। তাই আমরা একটু অন্য ভাবে এই রহস্যের সমাধান করতে উদ্যোগী (Shalini Chouhan) হয়েছিলাম।”

    কী করে হল রহস্যের সমাধান? 

    শালিনী (Shalini Chouhan) ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে গল্প জমিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতেন। সুকৌশলে জেনে নিতেন প্রয়োজনীয়। তিনি যে গোয়েন্দা হতে পারেন, কারোর মনে সেকথা একবারও আসেনি। শালিনী জানিয়েছেন, এই কাজে তাঁকে প্রায়ই নানা মিথ্যা কথা বলতে হয়েছে। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে নিজের পরিচয় লুকোতে সফল হয়েছেন শালিনী। কাজটা যে মোটেই সহজ ছিল না তাও জানিয়েছেন তিনি।

    শালিনীর বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। তার এক বছরের মধ্যে মাকেও হারান শালিনী (Shalini Chouhan)। তারপর থেকেই পুলিশে চাকরি করার স্বপ্ন দেখতেন। শালিনীর সঙ্গে ছদ্মবেশে ছিলেন আরও কিছু পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    কলেজের মোট ১১ জন ছাত্রকে চিহ্নিত করেছেন শালিনী (Shalini Chouhan)। তিনি বলেন, ‘‘আমি বসে বসে শুধু এই ১১জনকে দেখতাম। ওঁদের আচরণ ঔদ্ধত্যপূর্ণ। নিজেদের মধ্যে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা র‌্যাগিং করতেন।’’

    এই উচ্চবর্ষের পড়ুয়ারা জুনিয়রদের দিয়ে নানা রকম আপত্তিকর কাজ করিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ছদ্মবেশে অপরাধীদের শনাক্ত করতে না নামলে এই মামলার কোনও সুরাহা করা যেত না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share