Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারের দুই হাইভোল্টেজ সভার আগেই কেঁপে উঠল ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক তৃণমূল নেতার বাড়ি। আজ একদিকে ডায়মন্ডহারবারে সভা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অন্যদিকে কাঁথিতে সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    আর তার আগেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বহুদূর পর্যন্ত তা শোনা যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত তিনজনই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মৃতদের নাম রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, “ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত। ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘটনা। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না বোমা তৈরি করছিল সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। আমি NIA তদন্তের দাবি করছি।”

     

    শুক্রবার রাতেই বিস্ফোরণে ঝলসে যান ভূপতিনগরের তিন ব্যক্তি। ঝলসে যাওয়া দেহগুলো উদ্ধার হয় ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির অদূরেই। রাজকুমারের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মৃতদেহগুলি বের করে নিয়ে গিয়েছে। রাজকুমারের দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। এই বোমাগুলি কেন বাঁধা হচ্ছিল, আর কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

               

  • SSC Candidate List: হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC Candidate List: হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিতে ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ (SSC Candidate List) করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই সেই নির্দেশ পালন করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিজেদের ওয়েবসাইটে এসএসসি সেই তালিকা প্রকাশ করেছে। ১৮৩ জন শিক্ষক যাঁরা ভুয়ো সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁদের নাম, রোল নম্বর, অ্যাপ্লিকেশন নম্বর থেকে শুরু করে কোন বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাও জানানো হয়েছে ওই তালিকায়। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্কের পাশাপাশি ইতিহাস, ভূগোল, জীবন বিজ্ঞান এমনকি পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষকরাও রয়েছেন সেই  তালিকায়। 

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮৩ ভুয়ো নিয়োগের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    আজই সকালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়ে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নবম-দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা (SSC Candidate List) প্রকাশ করতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, “শুক্রবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে বেলা আদালতের নির্দেশ মেনে তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। তালিকায় (SSC Candidate List) যাদের নাম রয়েছে সবাই- ই বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছে। ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে ৫৭ জনই ইংরেজির শিক্ষক বা শিক্ষিকা। এ ছাড়া ৩০ জন ভূগোলের, ২২ জন জীবন বিজ্ঞানের, ২১ জন বাংলায়, অঙ্ক এবং পদার্থ বিজ্ঞানে ১৮ জন করে এবং ইতিহাসে ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

    দেখে নিন সেই তালিকা:

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মামলাকারী এবং সিবিআই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেআইনি সুপারিশ ‘১৮৩’ তথ্য জানাতে নির্দেশ এসএসসি কে। গাজিয়াবাদ ও এসএসসির দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্ক থেকে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিটের যে নমুনা দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। এর পরেই এসএসসির ((SSC Candidate List) উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, কোনও রকম ভয় পাবেন না। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে। তিনি বলেন, ওএমআর শিটে ৩ আর এসএসসি দেখাচ্ছে ৫৩! সুবীরেশ ভট্টাচার্য কেন মুখ খুলছেন না, এদিন সে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছে না? মুখ খোলানোর কৌশল প্রয়োগ করুক সিবিআই। দিল্লি নিয়ে যাক।  এদিন সিবিআইকে বিচারপতির নির্দেশ, দুপুর তিনটের সময় এসে আমাকে জানান যে সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন কিনা। তারপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অকল্পনীয় নির্দেশ দেব। এরা সরকারকে  সমস্যায় ফেলছে। কমিশনের অফিসে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এসএসসি (SSC Scam) এবং সিবিআইকে ভুয়ো চাকরি প্রার্থী বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে তথ্য পেশ করতে গিয়ে কিছুদিন আগেই ওএমআর জালিয়াতির কথা উল্লেখ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জাল শিক্ষকের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসির ওয়েবসাইটে। বৃহস্পতিবার ওএমআর জালিয়াতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কোন প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্রের নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে, আদালতে তা পরিস্কার করা হয়েছে।

    রিপোর্টে কী জানিয়েছে সিবিআই? 

    সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, মোট চারটি নিয়োগ পরীক্ষার ২৩ লক্ষ ওএমআর শিট বাছাই করা হয়েছিল সল্টলেকের এসএসসির (SSC Scam) অফিসে। পরবর্তীতে একাধিক উত্তরপত্রে নম্বর বাড়ানো হয়। তিনটি হার্ড ডিস্ক খতিয়ে দেখেই এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

    গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, এনওয়াইএসএ নামে একটি সংস্থাকে ওই চার নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই- এর আরও দাবি, এসএসসি (SSC Scam) অফিস থেকে যে ডেটাবেস পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র মাদার ডেটাবেসের তথ্যের কোনও মিল নেই। অর্থাৎ শিট স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকা সংস্থার দেওয়া নম্বর ইচ্ছামতো বদলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিধাননগরে এসএসসি-র দফতরেই যন্ত্র এনে সমস্ত ওএমআর শিট স্ক্যান করে তারা। তার পর স্ক্যান করা কপি ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হার্ড ডিস্কে ভরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছিল তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তার পর সেই নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করে এসএসসি। কিন্তু হার্ড ডিস্কের নম্বর ইচ্ছামতো বদলে তারপর আপলোড করেন এসএসসি আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    গোয়েন্দারা আদালতকে জানিয়েছেন, প্রথম হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, দ্বিতীয় হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। আর তৃতীয় হার্ড ডিস্কটিতে রয়েছে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওএমআরের স্ক্যান করা তথ্য। গাজিয়াবাদে পঙ্কজ বনশল নামে এক ব্যক্তির ঠিকানা থেকে এই তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করে সিবিআই। পঙ্কজ বনশল এনওয়াইএসএ-র প্রাক্তন কর্মী বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের পরে নম্বর-সহ ডেটাবেসে রেখে দেওয়া হয়। সিবিআই দাবি করে, তিনটি হার্ড ডিস্ক এবং কমিশনের তথ্যভান্ডার পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, উত্তরপত্র মূল্যায়নে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। তদন্তের সময় কমিশনের (SSC Scam) ডেটাবেসও বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

     

  • Delhi Murder: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    Delhi Murder: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যায় (Delhi Murder) অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ফাঁসির সাজার দাবি করলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। আফতাবের পরিবারের  সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বিকাশের আক্ষেপ, পুলিশ আরও আগে তদন্ত করলে তাঁর মেয়ে হয়তো আজ বেঁচে থাকত। 

    এই প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder) যথাযথ তদন্ত করা উচিত। আফতাবকে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। ওঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার। ওদেরও শাস্তি প্রাপ্য।’’

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    বিকাশের দাবি, অনেক দিন আগেই মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানালেও পুলিশের তরফে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের মানিকপুর এবং বসই থানার অসহযোগিতায় আমি সমস্যায় পড়ি। সময় মতো পুলিশ পদক্ষেপ নিলে আমার মেয়েটা হয়তো বেঁচে থাকত (Delhi Murder)। আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তা যেন অন্য  কারোর সঙ্গে না হয়।” 

    শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করার আগে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শ্রদ্ধার বাবা। এই মামলায় দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ (Delhi Murder) নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দেবে ফড়ণবীস। বিকাশের দাবি, “তুলিঞ্জ, বসই এবং নালাসোপারা থানার পুলিশ তদন্ত বিলম্বিত করছে। এখন অবশ্য দিল্লি এবং বসই পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছে।” 

    ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আফতাব 

    এদিকে শুক্রবার আরও ১৪ দিনের জন্য আফতাবের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুনের অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এই মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত নতুন নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসছে। ইতিমধ্যেই আফতাবের পলিগ্রাফ এবং নারকো টেস্ট করানো হয়েছে। লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুনের কথা নিজে মুখে স্বীকার করেছে আফতাব। নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার (Delhi Murder) কথা স্বীকার করেছে আফতাব। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও জানিয়েছে আফতাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকার খোঁজে তদন্ত চালিয়ে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। মানিকের স্ত্রী, পুত্র-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বুধবারই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট বা প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার ইডির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৬১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স এবং মিউচুয়াল ফান্ড মিলিয়ে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই ৬১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার লেনদেন হয়েছে। যদিও মানিক তাঁর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই।

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী! 

    ইডির অভিযোগ, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টেট দুর্নীতির টাকা সরানো হয়েছে। এছাড়া শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ‌্যমেও টাকা সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডির নজরে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে শৌভিকের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি। কোন টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল এই সম্পত্তি, এখন তাই খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডির তথ্য অনুযায়ী, মানিক ও তাঁর ছেলের নামে দু’টি আমবাগান রয়েছে। তাছাড়া নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার মঘড়াইক্ষেত্র গ্রামে মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের দশ একর জমি আছে। 

    ইডির নজরে মানিকের সম্পত্তি 

    ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ছেলের নামে কালীগঞ্জে এক বিঘা আমবাগান কেনা হয়েছিল। সেই বাগান মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। পরে সেই গ্রামেই আরও ৩৬ ছটাক আমবাগান কিনেছিলেন মানিকপুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। সেই জমি কেনা হয় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে। এছাড়াও যাদবপুরে ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল‌্যাট রয়েছে মানিকের। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য বিমা সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তাছাড়া যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে আরও এক ফ্ল্যাট রয়েছে মানিকের। সেটা দেড় হাজার বর্গফুটের। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয় সেই ফ্ল্যাট। এর জন্যেও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্ল্যাটগুলির ডাউন পেমেন্টের টাকা কোথা থেকে এল? এখন সেটাই ভাবাচ্ছে ইডি গোয়েন্দাদের।

    ইডির তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের সক্রিয় ভূমিকা তো ছিলই। পাশাপাশি বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলিকে অনুমোদন ও ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তুলতেন মানিক ও পার্থ। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বন্ধু ও পরিজনদের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন। যাতে সহজেই দুর্নীতির টাকা লোপাট করা যায়। মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছিল এরকমই অ্যাকাউন্ট। তাতেও টাকা পাচার করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য ২০১৬ সালে মারা যাওয়ার পরেও তাঁর নামের অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Nirmala Sitharaman: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০০ জন মহিলার তালিকায় নির্মলা সীতারমন

    Nirmala Sitharaman: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০০ জন মহিলার তালিকায় নির্মলা সীতারমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারও ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০০ জন মহিলার তালিকায় স্থান পেলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। এই নিয়ে টানা ৪ বার এই তালিকায় জায়গা করে নিলেন তিনি। ক্ষমতাশালীদের তালিকায় ৩৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। 

    এর আগে আরও তিনবার ফোর্বসের এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। ২০১৯ সালে নির্মলা সীতারমনের স্থান ছিল ৩৪ নম্বরে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে অর্থমন্ত্রী ছিলেন যথাক্রমে ৪১ এবং ৩৭ নম্বর স্থানে। এই ঐতিহ্যশালী পত্রিকার বিশেষ সেগমেন্টে জায়গা করে নেওয়ার জন্যে অর্থমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

     আর কোন ভারতীয় স্থান পেয়েছেন তালিকায়? 

    এই তালিকায় এবছর জায়গা পেয়েছেন একজন বাঙালি কন্যাও। তিনি হলেন ‘স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (সেল) চেয়ারপার্সন সোমা মণ্ডল। তিনি রয়েছেন ৬৭তম স্থানে। সোমা মণ্ডলই প্রথম মহিলা যিনি ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সেলের চেয়ারপার্সনের পদে বসে ইতিহাস গড়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানি অর্থনৈতিকভাবে লাভের মুখ দেখেছে। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, শুধুমাত্র তাঁর চেয়ারপার্সন পদের প্রথম বছরেই কোম্পানির রাজস্ব প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২০০০ কোটি টাকা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সত্যিই কি শীতকালে দই খেলে অসুখ হয়? কিছু ভুল ধারণা ভাঙলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা 

    নির্মলা সীতারমন, সোমা মণ্ডল ছাড়া বায়োকনের এগজিকিউটিভ চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার-শ এবং নাইকার কর্ণধার ফাল্গুনী নায়ারও প্রথম ১০০ -য় জায়গা করে ন‌িয়েছেন। এই বছর কিরণ এবং ফাল্গুনী যথাক্রমে ৭২ ও ৮৯তম স্থানে রয়েছেন। এর আগেও তাঁরা এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন।

    এছাড়াও তালিকায় থাকা অন্য ভারতীয় মহিলারা হলেন এইচসিএলটেক চেয়ারপার্সন রোশনী নাদার মালহোত্রা। তিনি ৫৩তম স্থানে রয়েছেন। সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বাখ ৫৪তম স্থানে রয়েছেন।  

    তালিকায় ৩৯জন সিইও, ১০জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১১জন বি‌লিওনেয়ার জায়গা করে নিয়েছেন যাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ হল ১১৫০০ কোটি ডলার।

    নাইকার কর্ণধার ফাল্গুনী নায়ার সম্পর্কে ফোর্বস লিখেছে, একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে তিনি অন্য উদ্যোগপতিদের (Nirmala Sitharaman) স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করেছেন। প্রায় ২ দশক এই ক্ষেত্রে কাজ করার পরে তিনি ২০১২ সালে নিজের কোম্পানি শুরু করেন। সেখানে বিনিয়োগ করেন ২০ লক্ষ ডলার। ২০২১ সালে তাঁর কোম্পানির শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তির পরেই ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা হন তিনি।  

    একইভাবে শিব নাদারের এইচসিএল টেকনোলজিসকে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তাঁর কন্যা রোশনী নাদার মালহোত্রা। এমনটাই দাবি পত্রিকার। গত ১ মার্চ সেবির প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন পদে বসেছিলেন মাধবী পুরী বাখ। 

    বায়োকনের কর্ণধার কিরণ মজুমদার-শ এর আগেও ফোর্বসের ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন (Nirmala Sitharaman)। ১৯৭৮ সালে তিনি এই কোম্পা‌নি চালু করেছিলেন। রাজস্বের নিরিখে বর্তমানে এটি দেশের বৃহত্তম বায়োফার্মাসিকিউটিক্যাল ফার্ম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেনস্থার শিকার ধ্রুপদী গায়ক উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। অভিযোগের তির কলকাতা পুলিশের দিকে। গাড়ি আটকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল  পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ করেছে সঙ্গীত শিল্পীর পরিবার। পরিবারের দাবি, চালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার প্রগতি ময়দান থানায়। চালক গ্রেফতারির খবর শুনে সেখানে প্রথমে যান রশিদ খানের স্ত্রী ও কন্যা। পরবর্তীতে গাড়ির মালিক হিসেবে রশিদ খানকেও ডেকে পাঠানো হয়। কেন গাড়িটি আটক করা হল? সেটাও পুলিশ পরিস্কার করেনি বলে অভিযোগ।  

    বুধবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। রশিদ খানের (Ustad Rashid Khan) স্ত্রী অভিযোগ করেন, থানায় তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    কী ঘটে? 

    শিল্পীর স্ত্রী জানান, মঙ্গলবার রাতে গানের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরেন রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। এরপর তাঁর এক সহ শিল্পীকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন রশিদ খানের এক ম্যানেজার। অভিযোগ, বেলেঘাটা ক্রসিং-এর কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নাকা চেকিং হয়। সেই সময় ওই ম্যানেজারের কাছে ২০০০ টাকা ‘ঘুষ’ চাওয়া হয়। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে ‘কেস’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর চালককে ডেকে চেক করে বলা হয় তিনি মদ্যপ। চালককে গ্রেফতার করে গাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    যদিও চালকের দাবি, তিনি মদ্যপ ছিলেন না। পুলিশের হাতে থাকা মেসিনে পরীক্ষার পর তাঁকে এনআরএস নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কোনও পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একটি ট্যুইট করে তিনি বলেন, “ভোর ৪ টেয় উস্তাদ রশিদ খানকে (Ustad Rashid Khan) থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত শিল্পীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

     

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “প্রথমে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিল অন্যথায় তারা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর হুমকি দেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা গাড়িটি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে। সেলিব্রেটিরা (Ustad Rashid Khan) যদি এমন হয়রানির শিকার হন তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা ভাবুন।” তিনিও এই রকম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Gilgit Baltistan: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    Gilgit Baltistan: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (CPEC) কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে মরিয়া পাক প্রশাসন। কিন্তু পাকিস্তানের এই ক্রমাগত চেষ্টায় ক্ষুব্ধ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করছে চিন। সম্প্রতি পাক সেনাকে গিলগিট বালতিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষার অজুহাতে সেনা এলেও আদতে তাঁদের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণে চিনকে সাহায্য করা।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ আটকালেই জঙ্গি-কার্যকলাপ কমে যাবে, মত অজিত ডোভালের

    কেন এই ক্ষোভ? 

    প্রাকৃতিক সম্পদের উপস্থিতি যেকোনও অঞ্চলের অগ্রগতির ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। উন্নতির অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই এলাকা বরাবরই উপেক্ষিত। এই অঞ্চলে কোটি কোটি টাকার খনিজ এবং জল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও, প্রশাসনের উদাসীনতায় এই এলাকার বাসিন্দারা চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন  হয়।

    সম্প্রতি বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) মুখ্যমন্ত্রী খালিদ খুরশিদ খান ইসলামাবাদকে এই অঞ্চলের দুর্দশার জন্যে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই অঞ্চলের অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বালতিস্তানের জন্যে অর্থ বরাদ্দ মাত্র ২ কোটি ৩০ লক্ষ পাক মুদ্রা। তাঁর কথায়, “অঞ্চলটিকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পাক প্রশাসন।” 

    সিপিইসির ব্যানারে গিলগিট বালতিস্তানে (Gilgit Baltistan) মেগা ড্যাম, তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ইউরেনিয়াম ও ভারী ধাতু উত্তোলনের কাজও শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় জীবিকা এবং বাসিন্দাদের জীবনযাপনে খারাপ প্রভাব পড়ছে। উল্লেখ্য, বালতিস্তান গোটা পাকিস্তানের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি জল সরবরাহ করে। চিনা মেগা প্রকল্পগুলি স্থানীয় জলবায়ুর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে দূষণ বাড়ছে এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

    এই অঞ্চলে নিযুক্ত চিনা কোম্পানিগুলি পরিবেশ নিয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগের প্রতি একেবারের সংবেদনশীল নয়। গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) বাসিন্দাদের অভিযোগ কারাকোরাম মহাসড়কের সম্প্রসারণের জন্যে যে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হয়েছে তার জন্যে দায়ী চিনের একটি সংস্থা চায়না রোডস অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন। 

    এমনকি এই চিনা সংস্থাগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করলেও কোনও রাজস্ব দিতে রাজি নয়। বিদেশী কোম্পানিগুলিও গিলগিট সরকারকে কর প্রদান করে না। কারণ তারা ইসলামাবাদ-ভিত্তিক ফেডারেল প্রতিষ্ঠান গিলগিট-বালতিস্তান (Gilgit Baltistan) কাউন্সিল (GBC) নামের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করে। এই সংস্থার এই অঞ্চলের বন, জলের রিজার্ভ সম্পর্কিত আইনী বিষয়গুলির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গিলগিট প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই পাক সরকার বিদেশি সংস্থাগুলিকে বাণিজ্য, ট্রানজিট রুট এবং খনির লাইসেন্স প্রদান করে।

    যদিও ইসলামাবাদ বাণিজ্য ও ট্রানজিট, জলসম্পদ, ট্রফি শিকার, ইকো-ট্যুরিজম, খনিজ অনুসন্ধান এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফেডারেল কর মিলিয়ে এই অঞ্চল থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। কিন্তু তবুও এই আয়ের কোনও বড় অংশ অঞ্চলের (Gilgit Baltistan) উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয় না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

     

  • Ajit Doval: সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ আটকালেই জঙ্গি-কার্যকলাপ কমে যাবে, মত অজিত ডোভালের

    Ajit Doval: সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ আটকালেই জঙ্গি-কার্যকলাপ কমে যাবে, মত অজিত ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসে যারা আর্থিক মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ভারত-মধ্য এশিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার গোটা এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন তিনি।  

    বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বলেন, “আফগানিস্তান একটি বড় ইস্যু। এই রিজিয়নে সন্ত্রাসবাদের উপস্থিতি বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। অর্থনৈতিক যোগান সন্ত্রাসবাদকে পুষ্ট করে। সেই ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদকে যারা অর্থনৈতিকভাবে মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করাটাও আমাদের প্রধান দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাতেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?    

    এই বৈঠকে ভারতের পাশাপাশি কাজাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আরও বলেন, “মধ্য এশিয়া আমাদের সম্প্রসারিত প্রতিবেশী। যাদের সঙ্গে আমাদের সভ্যতার যোগসূত্র ছিল। এই রিজিয়নের ব্যাপারটা আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সমৃদ্ধ মধ্য এশিয়া সকলের কাম্য।”

    বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? 

    বৈঠকের পরে একটি যৌথ বিবৃতিতে (Ajit Doval) উল্লেখ করা হয়েছে, ৬টি দেশ একটি ব্যাপারে সহমত হয়েছে যে জঙ্গি সংগঠনের প্রসার, জঙ্গি দলে নিয়োগ, অর্থ যোগানের চেষ্টা গোটা রিজিয়নে একটা উদ্বেগের বিষয়। এক্ষেত্রে জঙ্গিদের রুখতে যৌথ উদ্যোগের উপরেও জোর দেওয়া হবে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, অস্ত্র ও মাদক পাচার, আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদ, বিকৃত তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে সাইবার স্পেসের অপব্যবহার, মানববিহীন এরিয়াল সিস্টেমের ব্যবহার জঙ্গিবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ।  

    উল্লেখ্য মধ্য এশিয়াতে নিজের থাবা বসাতে উদ্যোগী চিন। চিনকে নিরস্ত্র করতে এবার মধ্য এশিয়ার সুরক্ষার দিকে জোর দিচ্ছে ভারতও (Ajit Doval)। আফগানিস্তানের তালিবান শাসনও গোটা বিশ্বের জন্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

    ৬টি দেশের পদস্থ আধিকারিক কড়া ভাষায় সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করেছেন (Ajit Doval)। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও তার জেরে এই রিজিয়নের নিরাপত্তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখনও অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে, যেখানে এখনও বিদ্যুতের আলো (Electrification) পৌঁছয়নি। সূর্য ডুবলে টর্চলাইট বা কেরোসিনের আলোই ভরসা। আর সেই অন্ধকার রাস্তার সুযোগ নিয়ে দেদারে চলছে বহু অনৈতিক কাজকর্ম। একটি জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ ওঠে অন্ধকার রাস্তায় ঘটছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। সেই মতো প্রত্যন্ত কতগুলি রাস্তায় আলো নেই, তা জানতে চায় হাইকোর্ট। সেই রিপোর্ট আসতেই বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রত্যন্ত গ্রাম সহ রাজ্যের কোন কোন রাস্তায় বিদ্যুতের অভাব রয়েছে বা বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি তা খতিয়ে দেখতে  ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করল আদালত। এই নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    জেলাভিত্তিক কমিটিতে রাখা হয়েছে সেই জেলার জেলাশাসক বা তাঁর মনোনীত কোনও প্রতিনিধি, জেলার পুলিশ সুপার বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক ও জোনাল ম্যানেজার এবং মামলাকারী আইনজীবী নীলাদ্রি সাহাকে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    কেন এই নির্দেশ?

    রাজ্যে পর পর কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। সম্প্রতি অন্ধকার (Electrification) রাস্তায় একটি ধর্ষণের ঘটনাও সামনে এসেছে। সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে মামলার শুনানিতে।

    রাজ্যের কোথায় কোথায় এখনও বিদ্যুৎ (Electrification) পৌঁছয়নি, বিদ্যুৎ দফতর এবং বণ্টন সংস্থার কাছে সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল হাইকোর্ট। সেখানে দেখা যায় রাজ্যের অনেক রাস্তাতেই এখনও বিদ্যুতের আলো নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, অনেক জায়গায় বাতি লাগানোর কাজ চলছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ আগের থেকে ভাল। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। শুরুতে পুরুলিয়ার জন্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার পর অন্য জেলাতেও এমন কমিটি গঠনের পথে হাঁঠতে চায় হাই কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share